
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময়ও অর্ণবের সঙ্গে ছিল ‘তৌহিদী জনতা’।
শাহবাগ থানা ও আদালতে অবস্থান নেওয়া এই ‘তৌহিদী জনতা’ কারা? তা যাচাই-বাছাই করেছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট চেক বিভাগের বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ওই পোস্টে কদরুদ্দিন লিখেছেন, হেনস্তাকারীকে বের করে এনে গলায় ফুল, হাতে পবিত্র কোরআন আর মাথায় পাগড়ি পরিয়ে মিছিল দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে আরও অনেক ঘটনার মতো ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে প্রচার করা হচ্ছে। এখানে ‘তৌহিদী জনতা’ বলতে ‘ধার্মিক আমপাবলিক’ বলেই বোঝানো হচ্ছে।
কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে আরও কয়েকটি ঘটনার ছবি বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, শাহবাগের এ ঘটনা (এবং এরকম ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে চালানো) আরও অনেক ঘটনা র্যানডম ‘ধার্মিক আমপাবলিক’-এর তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে উৎসারিত স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়, বরং এগুলো কো-অর্ডিনেটেড ঘটনা।
আমি সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার কিছু ছবি/ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনা তিনটি হলো, গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম আলো পত্রিকার সামনে দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভ এবং গরু জবাই কর্মসূচি, ডেইলি স্টার পত্রিকার ভবনের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ও জুমার নামাজ আদায় কর্মসূচি এবং গতকাল রাতে শাহবাগ থানায় আটক নারী হয়রানিকারী যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনা।
এই তিন ঘটনায় কয়েক শ লোককে জড়ো করে সামনের সারিতে থেকে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া অন্তত তিনজন সব জায়গায় কমন।
তাঁদের মধ্যে দুজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। একজন আবু সাঈদ শের মোহাম্মদ খান, যাঁর ফেসবুক প্রোফাইল Sher Muhammad। শের মোহাম্মদকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার অর্থ সরবরাহকারী সদস্য হিসেবে আটক করে র্যাব। অনলাইন শরিয়াহ গ্র্যাজুয়েশন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ৫ আগস্টের পর আল-কায়েদার কালো পতাকার সমর্থনে প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাঁকে। ২০১৫ সালে হাটহাজারিতে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে। শাহবাগের গত রাতের ঘটনায় তাকে ‘আমির‘ হিসেবে ঘোষণা করে একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, (যাঁর পরিচয় নিচে দেওয়া হল)।
দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। তিনি প্রথম আলোর সামনের বিক্ষোভে এবং সেখান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে থানা থেকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শাহবাগ থেকে নারী হয়রানিকারী ছাড়িয়ে নিতেও তিনি যশোর থেকে ঢাকায় এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিক্রমপুরী তাঁর ওয়াজ, অনলাইন বয়ান ও ফেসবুকে অতি উগ্র কথাবার্তা প্রচারের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মাওলানা আব্দুল মালেককে মুনাফেক ও ‘তাগুতের কুকুর’ বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া তিনি ‘অ্যান্টি শাতিম মুভমেন্ট’ নামে একটি ফেসবুক পেজ চালান, যেখানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক পোস্টে ’শাতিমে রসুল’ হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাকে হত্যার আহ্বান জানানো হয়।

গণতন্ত্র চর্চাকারী মুসলিমদের ‘কাফির’ মনে করে তিনি নিয়মিত পোস্ট করেন এবং বয়ান করেন। নাস্তিকদের হত্যা করার জন্যও তিনি উসকানি দেন। আইএসকে খারেজি মনে করলেও আল-কায়দা ও তালেবানকে হকপন্থী দল বলে প্রচারণা চালান।
২০২১ সালে তাঁকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আতাউর কারাগারে থাকা জঙ্গিদের মুক্তির জন্য কাজ করা বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। এবং ৫ আগস্টের পর তিনি তাঁর দলবল নিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গিদের মুক্ত করে আনার জন্য জড়ো হয়ে কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
তৃতীয় আরেকজনকে ওপরের তিনটি ঘটনায়ই শের মোহাম্মদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে, কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি।
অর্থাৎ, ‘তৌহিদী জনতা‘র স্বতঃস্ফূর্ত কাণ্ড বলে প্রচার চালানো হলেও দেখা যাচ্ছে এই ঘটনাগুলোতে মানুষ জড়ো করার পেছনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয় ব্যক্তিদের কো-অর্ডিনেশনের বিষয়টি স্পষ্ট।
‘তৌহিদী জনতার’ অপর এক যুবক আরমান উদ্দিন সম্পর্কে শিশির লিখেছেন, গতকাল থেকে শাহবাগের ঘটনায় এই ছেলের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। সে ঘটনাস্থল থেকে নানান আপডেট দিচ্ছিল নারী হয়রানিকারী ছেলেটিকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে। মানে, শাহবাগের মবে সে অন্যতম সক্রিয় একজন ছিল।
কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে আইডিটি লক করেছে তার পুরোনো কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর। ওই সব পোস্টে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের তার এলাকার নেতাদের নানান সময়ে অভিনন্দন জানাতে।
আমার আগের পোস্টটির পর কয়েকজন আমাকে বইমেলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে হামলায়ও শাহবাগ থানার (ও প্রথম আলো ডেইলি স্টারে জমায়েত করা) গ্রুপটির জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

আমি বইমেলায় হামলার সময়ের ও পরবর্তী কয়েকটি ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি ‘আরমান উদ্দিন’ নামের এই ছেলে সব্যসাচীর স্টলে জড়ো হওয়া গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিল। তবে বিক্রমপুরী/শের মোহাম্মদকে বইমেলার কোনো ভিডিওতে দেখা যায়নি বা তাদের গ্রুপের সঙ্গে আরমান উদ্দিন বা ওই দিনের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া অন্যদের সংযোগ থাকার তেমন কোনো ভিজুয়াল অ্যাভিডেন্স এখনো পর্যন্ত পাইনি।
তবে বিষয়টি ইন্টারেস্টিং যে, বইমেলায় মব হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া আরমান উদ্দিন শাহবাগের মবেও সক্রিয় ছিলেন।
কদরুদ্দিন শিশির আরও লেখেন, তৃতীয় যে ব্যক্তিটির পরিচয় তখন পাইনি, তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ তামিম (তাঁর ফেসবুক আইডি মতে)। তিনি সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে অনলাইনে পাওয়া ওই কলেজের একটি ভিডিও থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ছাড়া তাঁর বাসা মিরপুর ১০ এলাকায় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি তামিমকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
ওই বাসিন্দা আরও জানান, তামিম কয়েক বছর আগের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে বের হন। তামিমের ফেসবুক আইডিতে ৫ আগস্টের পর এক পোস্টেও তার ২০১৫ সালে কারাগারে থাকার স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনের কারণ কী ছিল তা উল্লেখ নেই। আমিও অনলাইনে কোনো ক্রেডিবল সূত্র থেকে তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনের কারণটি পাইনি। পেলে পোস্টে আপডেট করে দেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময়ও অর্ণবের সঙ্গে ছিল ‘তৌহিদী জনতা’।
শাহবাগ থানা ও আদালতে অবস্থান নেওয়া এই ‘তৌহিদী জনতা’ কারা? তা যাচাই-বাছাই করেছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট চেক বিভাগের বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ওই পোস্টে কদরুদ্দিন লিখেছেন, হেনস্তাকারীকে বের করে এনে গলায় ফুল, হাতে পবিত্র কোরআন আর মাথায় পাগড়ি পরিয়ে মিছিল দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে আরও অনেক ঘটনার মতো ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে প্রচার করা হচ্ছে। এখানে ‘তৌহিদী জনতা’ বলতে ‘ধার্মিক আমপাবলিক’ বলেই বোঝানো হচ্ছে।
কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে আরও কয়েকটি ঘটনার ছবি বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, শাহবাগের এ ঘটনা (এবং এরকম ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে চালানো) আরও অনেক ঘটনা র্যানডম ‘ধার্মিক আমপাবলিক’-এর তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে উৎসারিত স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়, বরং এগুলো কো-অর্ডিনেটেড ঘটনা।
আমি সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার কিছু ছবি/ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনা তিনটি হলো, গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম আলো পত্রিকার সামনে দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভ এবং গরু জবাই কর্মসূচি, ডেইলি স্টার পত্রিকার ভবনের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ও জুমার নামাজ আদায় কর্মসূচি এবং গতকাল রাতে শাহবাগ থানায় আটক নারী হয়রানিকারী যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনা।
এই তিন ঘটনায় কয়েক শ লোককে জড়ো করে সামনের সারিতে থেকে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া অন্তত তিনজন সব জায়গায় কমন।
তাঁদের মধ্যে দুজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। একজন আবু সাঈদ শের মোহাম্মদ খান, যাঁর ফেসবুক প্রোফাইল Sher Muhammad। শের মোহাম্মদকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার অর্থ সরবরাহকারী সদস্য হিসেবে আটক করে র্যাব। অনলাইন শরিয়াহ গ্র্যাজুয়েশন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ৫ আগস্টের পর আল-কায়েদার কালো পতাকার সমর্থনে প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাঁকে। ২০১৫ সালে হাটহাজারিতে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে। শাহবাগের গত রাতের ঘটনায় তাকে ‘আমির‘ হিসেবে ঘোষণা করে একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, (যাঁর পরিচয় নিচে দেওয়া হল)।
দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। তিনি প্রথম আলোর সামনের বিক্ষোভে এবং সেখান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে থানা থেকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শাহবাগ থেকে নারী হয়রানিকারী ছাড়িয়ে নিতেও তিনি যশোর থেকে ঢাকায় এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিক্রমপুরী তাঁর ওয়াজ, অনলাইন বয়ান ও ফেসবুকে অতি উগ্র কথাবার্তা প্রচারের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মাওলানা আব্দুল মালেককে মুনাফেক ও ‘তাগুতের কুকুর’ বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া তিনি ‘অ্যান্টি শাতিম মুভমেন্ট’ নামে একটি ফেসবুক পেজ চালান, যেখানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক পোস্টে ’শাতিমে রসুল’ হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাকে হত্যার আহ্বান জানানো হয়।

গণতন্ত্র চর্চাকারী মুসলিমদের ‘কাফির’ মনে করে তিনি নিয়মিত পোস্ট করেন এবং বয়ান করেন। নাস্তিকদের হত্যা করার জন্যও তিনি উসকানি দেন। আইএসকে খারেজি মনে করলেও আল-কায়দা ও তালেবানকে হকপন্থী দল বলে প্রচারণা চালান।
২০২১ সালে তাঁকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আতাউর কারাগারে থাকা জঙ্গিদের মুক্তির জন্য কাজ করা বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। এবং ৫ আগস্টের পর তিনি তাঁর দলবল নিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গিদের মুক্ত করে আনার জন্য জড়ো হয়ে কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
তৃতীয় আরেকজনকে ওপরের তিনটি ঘটনায়ই শের মোহাম্মদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে, কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি।
অর্থাৎ, ‘তৌহিদী জনতা‘র স্বতঃস্ফূর্ত কাণ্ড বলে প্রচার চালানো হলেও দেখা যাচ্ছে এই ঘটনাগুলোতে মানুষ জড়ো করার পেছনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয় ব্যক্তিদের কো-অর্ডিনেশনের বিষয়টি স্পষ্ট।
‘তৌহিদী জনতার’ অপর এক যুবক আরমান উদ্দিন সম্পর্কে শিশির লিখেছেন, গতকাল থেকে শাহবাগের ঘটনায় এই ছেলের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। সে ঘটনাস্থল থেকে নানান আপডেট দিচ্ছিল নারী হয়রানিকারী ছেলেটিকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে। মানে, শাহবাগের মবে সে অন্যতম সক্রিয় একজন ছিল।
কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে আইডিটি লক করেছে তার পুরোনো কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর। ওই সব পোস্টে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের তার এলাকার নেতাদের নানান সময়ে অভিনন্দন জানাতে।
আমার আগের পোস্টটির পর কয়েকজন আমাকে বইমেলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে হামলায়ও শাহবাগ থানার (ও প্রথম আলো ডেইলি স্টারে জমায়েত করা) গ্রুপটির জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

আমি বইমেলায় হামলার সময়ের ও পরবর্তী কয়েকটি ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি ‘আরমান উদ্দিন’ নামের এই ছেলে সব্যসাচীর স্টলে জড়ো হওয়া গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিল। তবে বিক্রমপুরী/শের মোহাম্মদকে বইমেলার কোনো ভিডিওতে দেখা যায়নি বা তাদের গ্রুপের সঙ্গে আরমান উদ্দিন বা ওই দিনের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া অন্যদের সংযোগ থাকার তেমন কোনো ভিজুয়াল অ্যাভিডেন্স এখনো পর্যন্ত পাইনি।
তবে বিষয়টি ইন্টারেস্টিং যে, বইমেলায় মব হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া আরমান উদ্দিন শাহবাগের মবেও সক্রিয় ছিলেন।
কদরুদ্দিন শিশির আরও লেখেন, তৃতীয় যে ব্যক্তিটির পরিচয় তখন পাইনি, তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ তামিম (তাঁর ফেসবুক আইডি মতে)। তিনি সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে অনলাইনে পাওয়া ওই কলেজের একটি ভিডিও থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ছাড়া তাঁর বাসা মিরপুর ১০ এলাকায় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি তামিমকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
ওই বাসিন্দা আরও জানান, তামিম কয়েক বছর আগের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে বের হন। তামিমের ফেসবুক আইডিতে ৫ আগস্টের পর এক পোস্টেও তার ২০১৫ সালে কারাগারে থাকার স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনের কারণ কী ছিল তা উল্লেখ নেই। আমিও অনলাইনে কোনো ক্রেডিবল সূত্র থেকে তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনের কারণটি পাইনি। পেলে পোস্টে আপডেট করে দেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময়ও অর্ণবের সঙ্গে ছিল ‘তৌহিদী জনতা’।
শাহবাগ থানা ও আদালতে অবস্থান নেওয়া এই ‘তৌহিদী জনতা’ কারা? তা যাচাই-বাছাই করেছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট চেক বিভাগের বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ওই পোস্টে কদরুদ্দিন লিখেছেন, হেনস্তাকারীকে বের করে এনে গলায় ফুল, হাতে পবিত্র কোরআন আর মাথায় পাগড়ি পরিয়ে মিছিল দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে আরও অনেক ঘটনার মতো ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে প্রচার করা হচ্ছে। এখানে ‘তৌহিদী জনতা’ বলতে ‘ধার্মিক আমপাবলিক’ বলেই বোঝানো হচ্ছে।
কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে আরও কয়েকটি ঘটনার ছবি বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, শাহবাগের এ ঘটনা (এবং এরকম ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে চালানো) আরও অনেক ঘটনা র্যানডম ‘ধার্মিক আমপাবলিক’-এর তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে উৎসারিত স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়, বরং এগুলো কো-অর্ডিনেটেড ঘটনা।
আমি সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার কিছু ছবি/ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনা তিনটি হলো, গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম আলো পত্রিকার সামনে দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভ এবং গরু জবাই কর্মসূচি, ডেইলি স্টার পত্রিকার ভবনের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ও জুমার নামাজ আদায় কর্মসূচি এবং গতকাল রাতে শাহবাগ থানায় আটক নারী হয়রানিকারী যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনা।
এই তিন ঘটনায় কয়েক শ লোককে জড়ো করে সামনের সারিতে থেকে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া অন্তত তিনজন সব জায়গায় কমন।
তাঁদের মধ্যে দুজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। একজন আবু সাঈদ শের মোহাম্মদ খান, যাঁর ফেসবুক প্রোফাইল Sher Muhammad। শের মোহাম্মদকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার অর্থ সরবরাহকারী সদস্য হিসেবে আটক করে র্যাব। অনলাইন শরিয়াহ গ্র্যাজুয়েশন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ৫ আগস্টের পর আল-কায়েদার কালো পতাকার সমর্থনে প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাঁকে। ২০১৫ সালে হাটহাজারিতে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে। শাহবাগের গত রাতের ঘটনায় তাকে ‘আমির‘ হিসেবে ঘোষণা করে একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, (যাঁর পরিচয় নিচে দেওয়া হল)।
দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। তিনি প্রথম আলোর সামনের বিক্ষোভে এবং সেখান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে থানা থেকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শাহবাগ থেকে নারী হয়রানিকারী ছাড়িয়ে নিতেও তিনি যশোর থেকে ঢাকায় এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিক্রমপুরী তাঁর ওয়াজ, অনলাইন বয়ান ও ফেসবুকে অতি উগ্র কথাবার্তা প্রচারের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মাওলানা আব্দুল মালেককে মুনাফেক ও ‘তাগুতের কুকুর’ বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া তিনি ‘অ্যান্টি শাতিম মুভমেন্ট’ নামে একটি ফেসবুক পেজ চালান, যেখানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক পোস্টে ’শাতিমে রসুল’ হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাকে হত্যার আহ্বান জানানো হয়।

গণতন্ত্র চর্চাকারী মুসলিমদের ‘কাফির’ মনে করে তিনি নিয়মিত পোস্ট করেন এবং বয়ান করেন। নাস্তিকদের হত্যা করার জন্যও তিনি উসকানি দেন। আইএসকে খারেজি মনে করলেও আল-কায়দা ও তালেবানকে হকপন্থী দল বলে প্রচারণা চালান।
২০২১ সালে তাঁকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আতাউর কারাগারে থাকা জঙ্গিদের মুক্তির জন্য কাজ করা বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। এবং ৫ আগস্টের পর তিনি তাঁর দলবল নিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গিদের মুক্ত করে আনার জন্য জড়ো হয়ে কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
তৃতীয় আরেকজনকে ওপরের তিনটি ঘটনায়ই শের মোহাম্মদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে, কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি।
অর্থাৎ, ‘তৌহিদী জনতা‘র স্বতঃস্ফূর্ত কাণ্ড বলে প্রচার চালানো হলেও দেখা যাচ্ছে এই ঘটনাগুলোতে মানুষ জড়ো করার পেছনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয় ব্যক্তিদের কো-অর্ডিনেশনের বিষয়টি স্পষ্ট।
‘তৌহিদী জনতার’ অপর এক যুবক আরমান উদ্দিন সম্পর্কে শিশির লিখেছেন, গতকাল থেকে শাহবাগের ঘটনায় এই ছেলের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। সে ঘটনাস্থল থেকে নানান আপডেট দিচ্ছিল নারী হয়রানিকারী ছেলেটিকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে। মানে, শাহবাগের মবে সে অন্যতম সক্রিয় একজন ছিল।
কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে আইডিটি লক করেছে তার পুরোনো কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর। ওই সব পোস্টে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের তার এলাকার নেতাদের নানান সময়ে অভিনন্দন জানাতে।
আমার আগের পোস্টটির পর কয়েকজন আমাকে বইমেলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে হামলায়ও শাহবাগ থানার (ও প্রথম আলো ডেইলি স্টারে জমায়েত করা) গ্রুপটির জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

আমি বইমেলায় হামলার সময়ের ও পরবর্তী কয়েকটি ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি ‘আরমান উদ্দিন’ নামের এই ছেলে সব্যসাচীর স্টলে জড়ো হওয়া গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিল। তবে বিক্রমপুরী/শের মোহাম্মদকে বইমেলার কোনো ভিডিওতে দেখা যায়নি বা তাদের গ্রুপের সঙ্গে আরমান উদ্দিন বা ওই দিনের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া অন্যদের সংযোগ থাকার তেমন কোনো ভিজুয়াল অ্যাভিডেন্স এখনো পর্যন্ত পাইনি।
তবে বিষয়টি ইন্টারেস্টিং যে, বইমেলায় মব হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া আরমান উদ্দিন শাহবাগের মবেও সক্রিয় ছিলেন।
কদরুদ্দিন শিশির আরও লেখেন, তৃতীয় যে ব্যক্তিটির পরিচয় তখন পাইনি, তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ তামিম (তাঁর ফেসবুক আইডি মতে)। তিনি সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে অনলাইনে পাওয়া ওই কলেজের একটি ভিডিও থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ছাড়া তাঁর বাসা মিরপুর ১০ এলাকায় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি তামিমকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
ওই বাসিন্দা আরও জানান, তামিম কয়েক বছর আগের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে বের হন। তামিমের ফেসবুক আইডিতে ৫ আগস্টের পর এক পোস্টেও তার ২০১৫ সালে কারাগারে থাকার স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনের কারণ কী ছিল তা উল্লেখ নেই। আমিও অনলাইনে কোনো ক্রেডিবল সূত্র থেকে তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনের কারণটি পাইনি। পেলে পোস্টে আপডেট করে দেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময়ও অর্ণবের সঙ্গে ছিল ‘তৌহিদী জনতা’।
শাহবাগ থানা ও আদালতে অবস্থান নেওয়া এই ‘তৌহিদী জনতা’ কারা? তা যাচাই-বাছাই করেছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট চেক বিভাগের বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ওই পোস্টে কদরুদ্দিন লিখেছেন, হেনস্তাকারীকে বের করে এনে গলায় ফুল, হাতে পবিত্র কোরআন আর মাথায় পাগড়ি পরিয়ে মিছিল দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে আরও অনেক ঘটনার মতো ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে প্রচার করা হচ্ছে। এখানে ‘তৌহিদী জনতা’ বলতে ‘ধার্মিক আমপাবলিক’ বলেই বোঝানো হচ্ছে।
কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে আরও কয়েকটি ঘটনার ছবি বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, শাহবাগের এ ঘটনা (এবং এরকম ‘তৌহিদী জনতার’ কাণ্ড বলে চালানো) আরও অনেক ঘটনা র্যানডম ‘ধার্মিক আমপাবলিক’-এর তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে উৎসারিত স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়, বরং এগুলো কো-অর্ডিনেটেড ঘটনা।
আমি সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার কিছু ছবি/ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনা তিনটি হলো, গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম আলো পত্রিকার সামনে দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভ এবং গরু জবাই কর্মসূচি, ডেইলি স্টার পত্রিকার ভবনের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ও জুমার নামাজ আদায় কর্মসূচি এবং গতকাল রাতে শাহবাগ থানায় আটক নারী হয়রানিকারী যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ার ঘটনা।
এই তিন ঘটনায় কয়েক শ লোককে জড়ো করে সামনের সারিতে থেকে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া অন্তত তিনজন সব জায়গায় কমন।
তাঁদের মধ্যে দুজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। একজন আবু সাঈদ শের মোহাম্মদ খান, যাঁর ফেসবুক প্রোফাইল Sher Muhammad। শের মোহাম্মদকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার অর্থ সরবরাহকারী সদস্য হিসেবে আটক করে র্যাব। অনলাইন শরিয়াহ গ্র্যাজুয়েশন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ৫ আগস্টের পর আল-কায়েদার কালো পতাকার সমর্থনে প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাঁকে। ২০১৫ সালে হাটহাজারিতে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে। শাহবাগের গত রাতের ঘটনায় তাকে ‘আমির‘ হিসেবে ঘোষণা করে একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, (যাঁর পরিচয় নিচে দেওয়া হল)।
দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। তিনি প্রথম আলোর সামনের বিক্ষোভে এবং সেখান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে থানা থেকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শাহবাগ থেকে নারী হয়রানিকারী ছাড়িয়ে নিতেও তিনি যশোর থেকে ঢাকায় এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিক্রমপুরী তাঁর ওয়াজ, অনলাইন বয়ান ও ফেসবুকে অতি উগ্র কথাবার্তা প্রচারের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মাওলানা আব্দুল মালেককে মুনাফেক ও ‘তাগুতের কুকুর’ বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া তিনি ‘অ্যান্টি শাতিম মুভমেন্ট’ নামে একটি ফেসবুক পেজ চালান, যেখানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক পোস্টে ’শাতিমে রসুল’ হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাকে হত্যার আহ্বান জানানো হয়।

গণতন্ত্র চর্চাকারী মুসলিমদের ‘কাফির’ মনে করে তিনি নিয়মিত পোস্ট করেন এবং বয়ান করেন। নাস্তিকদের হত্যা করার জন্যও তিনি উসকানি দেন। আইএসকে খারেজি মনে করলেও আল-কায়দা ও তালেবানকে হকপন্থী দল বলে প্রচারণা চালান।
২০২১ সালে তাঁকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আতাউর কারাগারে থাকা জঙ্গিদের মুক্তির জন্য কাজ করা বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। এবং ৫ আগস্টের পর তিনি তাঁর দলবল নিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গিদের মুক্ত করে আনার জন্য জড়ো হয়ে কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
তৃতীয় আরেকজনকে ওপরের তিনটি ঘটনায়ই শের মোহাম্মদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে, কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি।
অর্থাৎ, ‘তৌহিদী জনতা‘র স্বতঃস্ফূর্ত কাণ্ড বলে প্রচার চালানো হলেও দেখা যাচ্ছে এই ঘটনাগুলোতে মানুষ জড়ো করার পেছনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয় ব্যক্তিদের কো-অর্ডিনেশনের বিষয়টি স্পষ্ট।
‘তৌহিদী জনতার’ অপর এক যুবক আরমান উদ্দিন সম্পর্কে শিশির লিখেছেন, গতকাল থেকে শাহবাগের ঘটনায় এই ছেলের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। সে ঘটনাস্থল থেকে নানান আপডেট দিচ্ছিল নারী হয়রানিকারী ছেলেটিকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে। মানে, শাহবাগের মবে সে অন্যতম সক্রিয় একজন ছিল।
কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে আইডিটি লক করেছে তার পুরোনো কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর। ওই সব পোস্টে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের তার এলাকার নেতাদের নানান সময়ে অভিনন্দন জানাতে।
আমার আগের পোস্টটির পর কয়েকজন আমাকে বইমেলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে হামলায়ও শাহবাগ থানার (ও প্রথম আলো ডেইলি স্টারে জমায়েত করা) গ্রুপটির জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

আমি বইমেলায় হামলার সময়ের ও পরবর্তী কয়েকটি ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি ‘আরমান উদ্দিন’ নামের এই ছেলে সব্যসাচীর স্টলে জড়ো হওয়া গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিল। তবে বিক্রমপুরী/শের মোহাম্মদকে বইমেলার কোনো ভিডিওতে দেখা যায়নি বা তাদের গ্রুপের সঙ্গে আরমান উদ্দিন বা ওই দিনের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া অন্যদের সংযোগ থাকার তেমন কোনো ভিজুয়াল অ্যাভিডেন্স এখনো পর্যন্ত পাইনি।
তবে বিষয়টি ইন্টারেস্টিং যে, বইমেলায় মব হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া আরমান উদ্দিন শাহবাগের মবেও সক্রিয় ছিলেন।
কদরুদ্দিন শিশির আরও লেখেন, তৃতীয় যে ব্যক্তিটির পরিচয় তখন পাইনি, তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ তামিম (তাঁর ফেসবুক আইডি মতে)। তিনি সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে অনলাইনে পাওয়া ওই কলেজের একটি ভিডিও থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ছাড়া তাঁর বাসা মিরপুর ১০ এলাকায় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি তামিমকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
ওই বাসিন্দা আরও জানান, তামিম কয়েক বছর আগের উগ্রপন্থী কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে বের হন। তামিমের ফেসবুক আইডিতে ৫ আগস্টের পর এক পোস্টেও তার ২০১৫ সালে কারাগারে থাকার স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনের কারণ কী ছিল তা উল্লেখ নেই। আমিও অনলাইনে কোনো ক্রেডিবল সূত্র থেকে তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনের কারণটি পাইনি। পেলে পোস্টে আপডেট করে দেব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
২৩ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেআখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মুন্না আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের মো. শাহ আলম মিয়ার ছেলে। পরিবারের দাবি, আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে মুন্নাকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়।
আজ বেলা ২টার দিকে বাউতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মুন্নার বাবা মো. শাহ আলম মিয়া রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছেলের ফেরার অপেক্ষা করছেন। এ সময় শাহ আলম মিয়া জানান, মুন্না বেকার। মাঝে মাঝে অটোরিকশা চালালেও তিনি আলাদা ঘরে বসবাস করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সীমান্ত এলাকার এক ভারতীয় বাসিন্দার মাধ্যমে জানতে পারেন, বিএসএফ তাঁর ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।
শাহ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি আগরতলায় থাকা আমার আত্মীয়দের জানাই। তারা বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে আমার ছেলেকে দেখতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে। বর্তমানে আত্মীয়রা তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আখাউড়া কোম্পানি সদরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি জানার পর তাঁরা বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিকেল পর্যন্ত মুন্নাকে আটক করার বিষয়টি স্বীকার করেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মুন্না আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের মো. শাহ আলম মিয়ার ছেলে। পরিবারের দাবি, আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে মুন্নাকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়।
আজ বেলা ২টার দিকে বাউতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মুন্নার বাবা মো. শাহ আলম মিয়া রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছেলের ফেরার অপেক্ষা করছেন। এ সময় শাহ আলম মিয়া জানান, মুন্না বেকার। মাঝে মাঝে অটোরিকশা চালালেও তিনি আলাদা ঘরে বসবাস করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সীমান্ত এলাকার এক ভারতীয় বাসিন্দার মাধ্যমে জানতে পারেন, বিএসএফ তাঁর ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।
শাহ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি আগরতলায় থাকা আমার আত্মীয়দের জানাই। তারা বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে আমার ছেলেকে দেখতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে। বর্তমানে আত্মীয়রা তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আখাউড়া কোম্পানি সদরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি জানার পর তাঁরা বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিকেল পর্যন্ত মুন্নাকে আটক করার বিষয়টি স্বীকার করেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম...
০৭ মার্চ ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এবং কারা এই হামলার পেছনে জড়িত, তা জানতে তদন্ত চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার খ্রিষ্টান মিশন মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাগর। সে সময় মোবাইল ফোনে কারও একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুয়েক ব্যক্তি সাগরের ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এবং কারা এই হামলার পেছনে জড়িত, তা জানতে তদন্ত চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার খ্রিষ্টান মিশন মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাগর। সে সময় মোবাইল ফোনে কারও একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুয়েক ব্যক্তি সাগরের ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম...
০৭ মার্চ ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
২৩ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেশ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দেইল্লা এলাকায় অবস্থিত রাজধানী ও অছিম গাড়ির ডিপোতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সিকিউরিটি গার্ডের ছেলে মো. রাকিব সরদার ডেমরা থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার ফসিয়ার রহমান নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মাকরাইল গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস শিকদারের ছেলে। তিনি বর্তমানে ডেমরার বামৈল এলাকায় বসবাস করেন। মামলার অপর আসামি রাজধানী পরিবহনের বাসের হেলপার রানা (৩৮)।
নিহত ইদ্রিস সরদার (৬২) পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার সাকারিকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ৬–৭ মাস ধরে দেইল্লা সরদার রি-রোলিংয়ের পরিত্যক্ত মিল এলাকায় অবস্থিত রাজধানী ও অছিম গাড়ির ডিপোতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ডিউটি শেষে তিনি ডিপোতেই রাত যাপন করতেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ইদ্রিস সরদার ডিপোর মেইন গেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছিলেন। এ সময় রাজধানী পরিবহনের একটি বাস (রেজি: ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯১১২) ব্যাক গিয়ারে ডিপোতে প্রবেশ করানোর সময় লোহার গেটে ধাক্কা দেয়। এতে গেট ভেঙে তাঁর ওপর পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্টাফ কোয়ার্টার হলি এইড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ইদ্রিস সরদারের ছেলে মো. রাকিব সরদার অভিযোগ করেন, বাসের হেলপার রানা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এ ছাড়া ডিপোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ফসিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে লোহার গেটের প্রয়োজনীয় মেরামত ও ফিটিংস ঠিক না করায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। আসামিদ্বয়ের অবহেলার কারণেই তাঁর পিতার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন (পিপিএম) বলেন, মামলার পরপরই ফসিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মুরাদ হোসেন আরও বলেন, রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কারণে ফসিয়ার রহমানকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দেইল্লা এলাকায় অবস্থিত রাজধানী ও অছিম গাড়ির ডিপোতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সিকিউরিটি গার্ডের ছেলে মো. রাকিব সরদার ডেমরা থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার ফসিয়ার রহমান নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মাকরাইল গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস শিকদারের ছেলে। তিনি বর্তমানে ডেমরার বামৈল এলাকায় বসবাস করেন। মামলার অপর আসামি রাজধানী পরিবহনের বাসের হেলপার রানা (৩৮)।
নিহত ইদ্রিস সরদার (৬২) পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার সাকারিকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ৬–৭ মাস ধরে দেইল্লা সরদার রি-রোলিংয়ের পরিত্যক্ত মিল এলাকায় অবস্থিত রাজধানী ও অছিম গাড়ির ডিপোতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ডিউটি শেষে তিনি ডিপোতেই রাত যাপন করতেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ইদ্রিস সরদার ডিপোর মেইন গেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছিলেন। এ সময় রাজধানী পরিবহনের একটি বাস (রেজি: ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯১১২) ব্যাক গিয়ারে ডিপোতে প্রবেশ করানোর সময় লোহার গেটে ধাক্কা দেয়। এতে গেট ভেঙে তাঁর ওপর পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্টাফ কোয়ার্টার হলি এইড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ইদ্রিস সরদারের ছেলে মো. রাকিব সরদার অভিযোগ করেন, বাসের হেলপার রানা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এ ছাড়া ডিপোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ফসিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে লোহার গেটের প্রয়োজনীয় মেরামত ও ফিটিংস ঠিক না করায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। আসামিদ্বয়ের অবহেলার কারণেই তাঁর পিতার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন (পিপিএম) বলেন, মামলার পরপরই ফসিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মুরাদ হোসেন আরও বলেন, রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কারণে ফসিয়ার রহমানকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম...
০৭ মার্চ ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
২৩ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেনুরুল আমিন হাসান, উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা)

রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যুবলীগ নেতা শাহজাহানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও হত্যাকারীদের একটি মাথার ক্যাপ জব্দ করে পুলিশ। শাহজাহান আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি এবং ইন্টারনেট ও ডিশ ব্যবসায়ী ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিহত শাহজাহানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার বাদী হয়ে ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহজাহানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তাঁর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল চাঁদাবাজেরা। একপর্যায়ে চাঁদা না পেয়ে তাঁর ডিশ ও ইন্টারনেটের ব্যবসা দখল করতে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে নিহত শাহজাহানের চাচাতো ভাই সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগেও শাহজাহান ভাই ভাবিকে বলেছিলেন, আমি হয়তো বেশি দিন থাকব না। তুমি আমার ছেলেমেয়েদের দেখে রেখো।’ তিনি বলেন, ‘শাহজাহান ভাই যুবলীগের বিমানবন্দর থানার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। ২০২৪ সালের পর থেকে তাঁর কাছ সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাঁর কিছু ব্যবসা-বাণিজ্যও তারা দখল করে নিয়েছিল।’
সোহেল জানান, নদ্দাপাড়া এলাকায় শাহজাহানের একটি ফ্ল্যাট কেনা ছিল। রাতে তিনি ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে থাকতেন।
আরেক চাচাতো ভাই নাহিদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ৫ আগস্টের পর চাঁদার জন্য একাধিকবার শাহজাহানকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। এ ছাড়া বহুবার তৎকালীন ওসিকে জানানো হয়েছিল।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।
হত্যাকাণ্ডের কারণ ও কারা হত্যা করেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছি। গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও এমনটা জানিয়েছে।’

রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঁদা না দেওয়ায় যুবলীগের নেতা শাহজাহান ডিলারকে (৪৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে খুন করা হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। হুমকি পেয়ে থানায় অভিযোগও দিয়েছিলেন শাহজাহান। নিহত শাহজাহানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যুবলীগ নেতা শাহজাহানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও হত্যাকারীদের একটি মাথার ক্যাপ জব্দ করে পুলিশ। শাহজাহান আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি এবং ইন্টারনেট ও ডিশ ব্যবসায়ী ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিহত শাহজাহানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার বাদী হয়ে ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহজাহানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তাঁর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল চাঁদাবাজেরা। একপর্যায়ে চাঁদা না পেয়ে তাঁর ডিশ ও ইন্টারনেটের ব্যবসা দখল করতে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে নিহত শাহজাহানের চাচাতো ভাই সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগেও শাহজাহান ভাই ভাবিকে বলেছিলেন, আমি হয়তো বেশি দিন থাকব না। তুমি আমার ছেলেমেয়েদের দেখে রেখো।’ তিনি বলেন, ‘শাহজাহান ভাই যুবলীগের বিমানবন্দর থানার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। ২০২৪ সালের পর থেকে তাঁর কাছ সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাঁর কিছু ব্যবসা-বাণিজ্যও তারা দখল করে নিয়েছিল।’
সোহেল জানান, নদ্দাপাড়া এলাকায় শাহজাহানের একটি ফ্ল্যাট কেনা ছিল। রাতে তিনি ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে থাকতেন।
আরেক চাচাতো ভাই নাহিদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ৫ আগস্টের পর চাঁদার জন্য একাধিকবার শাহজাহানকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। এ ছাড়া বহুবার তৎকালীন ওসিকে জানানো হয়েছিল।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।
হত্যাকাণ্ডের কারণ ও কারা হত্যা করেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছি। গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও এমনটা জানিয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ‘পর্দা না করা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় মোস্তফা আসিফ অর্ণব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনতে বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে স্বঘোষিত ‘তৌহিদী জনতা’ থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম...
০৭ মার্চ ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে মুন্না (১৮) নামের এক তরুণকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
২৩ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাগর মিয়া নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. সাগর মিয়া (৩৫) শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরা থানাধীন দেইল্লায় বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে পড়ে এক সিকিউরিটি গার্ড নিহতের ঘটনায় ডিপোর ইনচার্জ ফসিয়ার রহমানকে (৬৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৬ মিনিট আগে