Ajker Patrika

গায়ের জোরে ভবন সরকারি কলোনিতে

  • ২০টি আবাসিক ভবনের কয়েকটিতে গড়া হয়েছে অবৈধ স্থাপনা।
  • ফাঁকা জায়গা পেয়ে ছয়তলা উঁচু করে একাধিক কক্ষ নির্মাণ।
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা 
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৭: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুর এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০টি আবাসিক ভবন নির্মাণ করেছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। ছয়তলাবিশিষ্ট এসব ভবনে দুটি করে ইউনিটে ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এসব আবাসিক এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট করে ফ্ল্যাট সম্প্রসারণসহ ভবনের ফাঁকা জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বরাদ্দগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে।

জাগৃকের পক্ষ থেকে বাধা দিলেও তা আমলে নিচ্ছেন না বরাদ্দগ্রহীতারা। এ অবস্থায় জাগৃকের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা বিভাগ-২) আহমেদ আবদুল্লাহ নূর বলেন, ‘কলোনিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। কাজে বাধা দেওয়ার পর তা লিখিত অভিযোগ হিসেবে থানা-পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’

জাগৃকের কর্মকর্তারা জানান, মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়া এলাকায় থাকা সরকারি ২০টি আবাসিক ভবনের বরাদ্দগ্রহীতারা ইচ্ছেমতো রুম বাড়ানোর কাজ করছেন। জাগৃকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিলেও তা আমলে নিচ্ছেন না তাঁরা। বসবাসকারীরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা হওয়ার তাঁরা প্রভাব বিস্তার করেন। এ অবস্থায় সম্প্রতি জাগৃকের পক্ষ থেকে মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কাছে চিঠি দেন সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ নূর।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৪-২০২৫ সালে নির্মিত মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটের “এ” ব্লকের নিউ কলোনি এলাকায় ৫০০ ফ্ল্যাট প্রকল্পের আওতায় নির্মিত (নিউ কলোনি খেলার মাঠ) এনএইচবি-১০ নম্বর ভবনের ১০টি ফ্ল্যাট লিজ দেওয়া হয়েছে। সরকার নির্মিত ভবনের উত্তর দিকে গাছ ও পরিবেশ ধ্বংস করে অনুমোদনহীনভাবে ভবন কমিটির উদ্যোগে আলাদা ভবন করার জন্য কলামের বেজ ও ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নোটিশ দেওয়া হলে কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়। পরে পুনরায় ভবন নির্মাণ শুরু করেন তাঁরা। এরপর গত ১১ জানুয়ারিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়। মাঠপর্যায়ে কিছুদিন কাজ বন্ধ করার পর গত ২৬ জানুয়ারি থেকে আবারও ছাদের শাটার করতে দেখা যায়। এভাবে সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধ নির্মাণ, বিদ্যমান বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন, অনুমোদিত নকশা ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাসের দরুন জানমালের ঝুঁকি তৈরি হবে। একপর্যায়ে উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে ২৭ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএমএমইউতে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে যা বললেন প্রাণ গোপালের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা

স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ কেন হচ্ছে না, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব: গ্রেপ্তার ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী

কত টাকা বেতন পান নাসার মহাকাশচারীরা

ভারত নির্ভরতা কাটাতে নীতি তৈরি করেছি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত