নিউমার্কেটে সহিংসতায় নিহত নাহিদের পরিবারের পাশে তিলোত্তমা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ১৫
Thumbnail image

নিউমার্কেট এলাকায় দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষে নিহত কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী নাহিদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগের নেত্রী তিলোত্তমা সিকদার।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীরচর রনি মার্কেটের মেম্বার গলিতে নাহিদের বাসায় যান ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিলোত্তমা সিকদার। এ সময় নাহিদের স্ত্রী ডালিয়া ও মায়ের হাতে দুটি সেলাই মেশিন তুলে দেন তিলোত্তমা।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সহসভাপতি ঢাবির সিনেট সদস্য তিলোত্তমা সিকদার বলেন, ‘সাময়িকভাবে এই পরিবার যেন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, সে জন্য আমি নাহিদের মা ও তাঁর স্ত্রীকে দুটি সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছি।’

গত মঙ্গলবার রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় মারা যান নাহিদ। তিনি ডি-লিংক নামে একটি কুরিয়ার সার্ভিসের ‘ডেলিভারিম্যান’ ছিলেন। ওই দিন সকাল ১০টায় কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। দুপুরে নিউমার্কেট এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান নাহিদ। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নাহিদরা তিন ভাই। বাড়িতে থাকেন বাবা-মা আর ভাইদের সঙ্গে। নাহিদ তাঁদের মধ্যে বড়। মেজ ভাই শরীফের বয়স সাত বছর ও ছোট ভাই ইব্রাহিমের বয়স তিন বছর। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন নাহিদ। এরপর আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে লেখাপড়া আর এগোয়নি। পরিবারের হাল ধরতে অল্প বয়সেই কাজে নেমে পড়েন নাহিদ। ৭ হাজার টাকা বেতনে গত দুই বছর কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন। 

পরিবারের ইচ্ছাতেই গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে বিয়ে করেন ডালিয়া নামের একটি মেয়েকে। ডালিয়ার হাতের মেহেদির রং এখনো মুছে যায়নি, তার আগেই নাহিদের এই অকাল মৃত্যু। শোকসন্তপ্ত পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারছেন না এই মৃত্যু। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত