নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাহিদ হাসান নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। একবছর প্রেমের সম্পর্কের পর ছয়মাস আগে বিয়ে করেন নাহিদ। বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ভাইয়ের সংসারের হাল ধরেছিল নাহিদ। কিন্তু তাঁর অকাল মৃত্যুতে এখন দিশেহারা পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, নাহিদ খুব স্বাভাবিক জীবনযাপন করত। কাজে যেত আবার ফিরে আসত। নাহিদের বাবা-মা ঋণ নিয়ে তাঁর নানীর কাছ থেকে পাওয়া ছোট্ট একটু জায়গায় কোনোরকমে একটা বাড়ি করেছিলেন। বাড়িটা কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছে। নাহিদের বাবার টাকায় শোধ করা হতো সেই ঋণের টাকা। আর নাহিদের আয়েই চলত তাঁর পরিবার।
আজ বুধবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের রনি বাজার এলাকায় নাহিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলার টিনের ছাউনি দেওয়া সেই ঘরে থাকতেন নাহিদ। গতকাল সকালেও এখান থেকেই বেরিয়ে পড়েছিলেন কাজের উদ্দেশে। ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র। বিছানার এক কোনে এখনো গুটিশুটি মেরে আছে শেষবারের মতো খুলে রাখা নাহিদের বাড়িতে পরার কাপড়। স্বজনেরা এখন পথ চেয়ে আছেন তাঁর শেষ ফেরার অপেক্ষায়। শেষবারের মতো নাহিদকে দেখার প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন তাঁরা।
নাতির এমনভাবে ফেরার জন্য পথ চেয়ে অপেক্ষায় থাকতে হবে ভাবতে পারেননি নাহিদের দাদী নাজমা বেগম। মঙ্গলবারের দিনটির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। কিন্তু নাজমাসহ পরিবারের আর সব প্রিয়জনদের বিদায় জানিয়ে ওই দিন রাতেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছেন নাহিদ।
নাহিদের মায়ের ঘরের মেঝেতে দুই পা ছড়িয়ে বসে আছেন দাদী নাজমা বেগম। তাঁর চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ঢাকায় হওয়া চলতি বছরের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ের সময় এই বৃদ্ধার ভেতরে আরও একটা ঝড় চলছিল। সকাল থেকে যেমন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, তেমনই কিছুক্ষণ পর পর চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে নাজমার ষাটোর্ধ্ব চামড়া কুচকানো গাল বেয়ে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাজমা বেগম বলেন, ‘খবর পাইয়া কাইলকা গেছিলাম মেডিকেলে। দেখতে দেয় নাই আমার নাতিরে। নাতবউ শুধু দেখতে পারছে। কাইল কইছিল সকালে বাড়ি নিয়া আসব তারে। কিন্তু এখন কইতাছে, একটু দেরি হইব, সন্ধ্যায় আইব নাহিদেরে নিয়া।’
নাতির জানাজা পড়তে হবে কখনো ভাবেননি নাহিদের দাদা। চোখে ভালো দেখেন না। কালো চশমায় ঢাকা চোখও বাধ মানছে না, কান্নায় ভেঙে পড়ছেন কথা বলতে গিয়ে। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার ছেলের ফোন পাইছি। সে কইল, তোমার নাতি আর নাই। এমন কষ্টের সংসারের হাল ধরছিল পোলাডা। এখন এরা কীভাবে কি?’
নাহিদের স্ত্রী ডালিয়ার দাদী জানান, এক বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবার থেকেই বিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এরপর থেকে নাহিদদের বাড়িতেই থাকতেন ডালিয়া।
ডালিয়ার দাদী বলেন, ‘কালকে (মঙ্গলবার) নাহিদের যাওয়ার পর থিক্কাই মাইয়াডা বাইরে পায়েচারি করতাছিল। খালি কইতাছিল আইজকা যাইতে মানা করলাম, তাও গেল। তারপর তো খবর পাইলাম ওরে ধইরা মারছে। এমন মাইরই দিলো যে, বাঁচল না পোলাডা। মইরাই গেল! এখন এই মাইয়াডার ভবিষ্যৎ কী হইব? আমার তো বুঝে আসে না। এরে কেম্নে সামলামু আমরা।’
নাহিদকে নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তাঁর আশপাশের প্রতিবেশীদের। তাঁরা বলছেন, নাহিদ ভালো ছেলে ছিল। কারও সাথে-পিছে থাকত না। একাই নিজের কাজ করত। তেমন কোনো খারাপ সঙ্গও ছিল না নাহিদের।
নাহিদের দূর সম্পর্কের একজন নানি মোমেনা বেগম। তিনি বলেন, ‘হ্যাংলা পোলাডা সংসারের জন্যই খাটত। ওই দিন সকালে নাহিদ যাবার চায় নাই প্রথমে। পরে ওর অফিস থেকে বারবার ফোন দিয়া ডাকছে। পরে ওই হয়ত ভাবছে, কাজ করতে গেলে তো কিছু টাকাও পাওয়া যাইব। এই জন্যই মনে হয় গেছিল।’
নাহিদ কেমন ছিলেন? কী ছিলেন? কেনই বা অনিচ্ছা প্রকাশের পরও কাজে বের হলেন? কে তাঁকে মারল? কেন মারল?—কিছুই জানেন না তাঁর স্বজনেরা। তাঁদের এখন একটাই অপেক্ষা, নাহিদ কখন বাড়ি ফিরবেন। স্বজনদের সাথে শেষ দেখা হলে দাফনের জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে আজিমপুর কববস্থানে।
নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন নাহিদ হাসান। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নাহিদ এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করতেন।
রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাহিদ হাসান নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। একবছর প্রেমের সম্পর্কের পর ছয়মাস আগে বিয়ে করেন নাহিদ। বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ভাইয়ের সংসারের হাল ধরেছিল নাহিদ। কিন্তু তাঁর অকাল মৃত্যুতে এখন দিশেহারা পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, নাহিদ খুব স্বাভাবিক জীবনযাপন করত। কাজে যেত আবার ফিরে আসত। নাহিদের বাবা-মা ঋণ নিয়ে তাঁর নানীর কাছ থেকে পাওয়া ছোট্ট একটু জায়গায় কোনোরকমে একটা বাড়ি করেছিলেন। বাড়িটা কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছে। নাহিদের বাবার টাকায় শোধ করা হতো সেই ঋণের টাকা। আর নাহিদের আয়েই চলত তাঁর পরিবার।
আজ বুধবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের রনি বাজার এলাকায় নাহিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলার টিনের ছাউনি দেওয়া সেই ঘরে থাকতেন নাহিদ। গতকাল সকালেও এখান থেকেই বেরিয়ে পড়েছিলেন কাজের উদ্দেশে। ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র। বিছানার এক কোনে এখনো গুটিশুটি মেরে আছে শেষবারের মতো খুলে রাখা নাহিদের বাড়িতে পরার কাপড়। স্বজনেরা এখন পথ চেয়ে আছেন তাঁর শেষ ফেরার অপেক্ষায়। শেষবারের মতো নাহিদকে দেখার প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন তাঁরা।
নাতির এমনভাবে ফেরার জন্য পথ চেয়ে অপেক্ষায় থাকতে হবে ভাবতে পারেননি নাহিদের দাদী নাজমা বেগম। মঙ্গলবারের দিনটির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। কিন্তু নাজমাসহ পরিবারের আর সব প্রিয়জনদের বিদায় জানিয়ে ওই দিন রাতেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছেন নাহিদ।
নাহিদের মায়ের ঘরের মেঝেতে দুই পা ছড়িয়ে বসে আছেন দাদী নাজমা বেগম। তাঁর চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ঢাকায় হওয়া চলতি বছরের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ের সময় এই বৃদ্ধার ভেতরে আরও একটা ঝড় চলছিল। সকাল থেকে যেমন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, তেমনই কিছুক্ষণ পর পর চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে নাজমার ষাটোর্ধ্ব চামড়া কুচকানো গাল বেয়ে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাজমা বেগম বলেন, ‘খবর পাইয়া কাইলকা গেছিলাম মেডিকেলে। দেখতে দেয় নাই আমার নাতিরে। নাতবউ শুধু দেখতে পারছে। কাইল কইছিল সকালে বাড়ি নিয়া আসব তারে। কিন্তু এখন কইতাছে, একটু দেরি হইব, সন্ধ্যায় আইব নাহিদেরে নিয়া।’
নাতির জানাজা পড়তে হবে কখনো ভাবেননি নাহিদের দাদা। চোখে ভালো দেখেন না। কালো চশমায় ঢাকা চোখও বাধ মানছে না, কান্নায় ভেঙে পড়ছেন কথা বলতে গিয়ে। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার ছেলের ফোন পাইছি। সে কইল, তোমার নাতি আর নাই। এমন কষ্টের সংসারের হাল ধরছিল পোলাডা। এখন এরা কীভাবে কি?’
নাহিদের স্ত্রী ডালিয়ার দাদী জানান, এক বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবার থেকেই বিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এরপর থেকে নাহিদদের বাড়িতেই থাকতেন ডালিয়া।
ডালিয়ার দাদী বলেন, ‘কালকে (মঙ্গলবার) নাহিদের যাওয়ার পর থিক্কাই মাইয়াডা বাইরে পায়েচারি করতাছিল। খালি কইতাছিল আইজকা যাইতে মানা করলাম, তাও গেল। তারপর তো খবর পাইলাম ওরে ধইরা মারছে। এমন মাইরই দিলো যে, বাঁচল না পোলাডা। মইরাই গেল! এখন এই মাইয়াডার ভবিষ্যৎ কী হইব? আমার তো বুঝে আসে না। এরে কেম্নে সামলামু আমরা।’
নাহিদকে নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তাঁর আশপাশের প্রতিবেশীদের। তাঁরা বলছেন, নাহিদ ভালো ছেলে ছিল। কারও সাথে-পিছে থাকত না। একাই নিজের কাজ করত। তেমন কোনো খারাপ সঙ্গও ছিল না নাহিদের।
নাহিদের দূর সম্পর্কের একজন নানি মোমেনা বেগম। তিনি বলেন, ‘হ্যাংলা পোলাডা সংসারের জন্যই খাটত। ওই দিন সকালে নাহিদ যাবার চায় নাই প্রথমে। পরে ওর অফিস থেকে বারবার ফোন দিয়া ডাকছে। পরে ওই হয়ত ভাবছে, কাজ করতে গেলে তো কিছু টাকাও পাওয়া যাইব। এই জন্যই মনে হয় গেছিল।’
নাহিদ কেমন ছিলেন? কী ছিলেন? কেনই বা অনিচ্ছা প্রকাশের পরও কাজে বের হলেন? কে তাঁকে মারল? কেন মারল?—কিছুই জানেন না তাঁর স্বজনেরা। তাঁদের এখন একটাই অপেক্ষা, নাহিদ কখন বাড়ি ফিরবেন। স্বজনদের সাথে শেষ দেখা হলে দাফনের জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে আজিমপুর কববস্থানে।
নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন নাহিদ হাসান। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নাহিদ এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করতেন।
মঞ্চ, চেয়ার কোনো কিছুই অক্ষত নেই। সিলিং ভেঙে পড়েছে, খসে পড়েছে দেয়ালের পলেস্তারা। দেয়ালে জন্মানো গাছের শেকড় ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে কাঠামো। সিঁড়িতেও জন্মেছে গাছ। ছাদে পানি পড়ে শ্যাওলা জন্মেছে। রাতে এখানে প্রবেশ তো দূরের কথা...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বরে বাটার শো-রুমে আগুন লেগেছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেযশোরে আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী রাকিব হোসেন (৩২) ওরফে ভাইপো রাকিব গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। বুকে দুটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা রাকিবকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জ
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহম্মেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ডাকাতির মামলার অভিযোগ না নেওয়া ও তদন্তে বিলম্বের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে