নিজস্ব প্রতিবেদক
কুয়াকাটার পর্যটন রিসোর্ট ইলিশ পার্কের মালিক আর.এম.তুষার। প্রায় এক কোটি টাকা বিনিয়োগে ২০১৫ সালে পর্যটকবান্ধব বিশেষ এই রিসোর্টটি তিনি গড়ে তুলেন। স্বল্প সময়ে কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের নজর কাটতে সক্ষম হয় ‘ইলিশ পার্ক’।
সব কিছু ভালোই চলছিল। তবে ২০২০ সালে করোনার কারণে লকডাউন দিতে বাধ্য হয় সরকার। তখন এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। তবে ধীরে ধীরে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ধরে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় পুনরায় হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে রিসোর্টটি।
স্বাভাবিক সময়ে ইলিশ পার্কে ১০–১২ জন স্টাফ কাজ করতেন। এখন সেই সংখ্যা মাত্র একজনে নেমে এসেছে। রিসোর্ট দেখাশুনার জন্য সেই একজন স্টাফকে শুধু রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, কুয়াকাটার ১২২টি হোটেলের পরিস্থিতি অনেকটা একই রকম। হোটেল মোটেল বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ বিল, মেনটেনেস বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে।
ইলিশ পার্কের মালিক ও কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আর.এম.তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুয়াকাটা এখন ঘুমন্ত অবস্থায় আছে, কোথাও কোনো পর্যটক নেই। সব হোটেল, মোটেল রিসোর্ট বন্ধ। আমরা বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়েছি। এমন পরিস্থিতির জন্য কোনো মালিক প্রস্তুত ছিলেন না। গত বছর লকডাউনে বড় রকমের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। পরে আমরা আগস্টে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু করেছিলাম। এখন নতুন লকডাউনে কত দিন হোটেল মোটেল বন্ধ থাকবে আমরা জানি না।’
ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের কী সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন জানতে চাইলে হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এই সদস্য বলেন, ‘গত বছর লকডাউনের সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পর্যটন এলাকার হোটেল মোটেল রিসোর্ট মালিকদের প্রণোদনার আওতায় আনা হবে। আমরা সবাই আবেদন করেছিলাম, কিন্তু কেউই সরকারি সহযোগিতা পাইনি। এ বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় আবার লকডাউন শুরু হলো। হোটেল ব্যবসা এখন হুমকির মুখে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। এখন সরকার যদি প্রণোদনার আওতায় এনে সহযোগিতা করে, তাহলে হোটেল মোটেল মালিকেরা উপকৃত হবে।’
দেশের হোটেল ইন্ড্রাস্টির অবস্থা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্য রয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মহসিন হক হিমেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা চট্রগ্রামের বিজনেস হোটেলগুলো গত বছর থেকে লোকসানে রয়েছে। এখন নতুন করে আরোপিত বিধিনিষেধে প্রায় ১৩টি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আগে বিদেশ থেকে আসা কিছু কোয়ারেন্টাইন গেস্ট ছিল, এখন তাও নেই। হোটেলে যে রেস্টুরেন্ট আছে, সেখানেও বসে খাওয়ার সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের হোটেল ইন্ড্রাস্টির অবস্থা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছর করোনার পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে পর্যটন খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
পর্যটন বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, লকডাউনে সংকটে পড়ায় অনেক হোটেল মালিক ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন। আর অনেক কর্মীরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। ফলে ভবিষ্যতে এই খাতে দক্ষ কর্মীর সংকট দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ থেকে সব বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়। দেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ২২ আগস্ট থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়।
কুয়াকাটার পর্যটন রিসোর্ট ইলিশ পার্কের মালিক আর.এম.তুষার। প্রায় এক কোটি টাকা বিনিয়োগে ২০১৫ সালে পর্যটকবান্ধব বিশেষ এই রিসোর্টটি তিনি গড়ে তুলেন। স্বল্প সময়ে কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের নজর কাটতে সক্ষম হয় ‘ইলিশ পার্ক’।
সব কিছু ভালোই চলছিল। তবে ২০২০ সালে করোনার কারণে লকডাউন দিতে বাধ্য হয় সরকার। তখন এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। তবে ধীরে ধীরে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ধরে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় পুনরায় হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে রিসোর্টটি।
স্বাভাবিক সময়ে ইলিশ পার্কে ১০–১২ জন স্টাফ কাজ করতেন। এখন সেই সংখ্যা মাত্র একজনে নেমে এসেছে। রিসোর্ট দেখাশুনার জন্য সেই একজন স্টাফকে শুধু রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, কুয়াকাটার ১২২টি হোটেলের পরিস্থিতি অনেকটা একই রকম। হোটেল মোটেল বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ বিল, মেনটেনেস বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে।
ইলিশ পার্কের মালিক ও কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আর.এম.তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুয়াকাটা এখন ঘুমন্ত অবস্থায় আছে, কোথাও কোনো পর্যটক নেই। সব হোটেল, মোটেল রিসোর্ট বন্ধ। আমরা বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়েছি। এমন পরিস্থিতির জন্য কোনো মালিক প্রস্তুত ছিলেন না। গত বছর লকডাউনে বড় রকমের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। পরে আমরা আগস্টে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু করেছিলাম। এখন নতুন লকডাউনে কত দিন হোটেল মোটেল বন্ধ থাকবে আমরা জানি না।’
ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের কী সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন জানতে চাইলে হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এই সদস্য বলেন, ‘গত বছর লকডাউনের সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পর্যটন এলাকার হোটেল মোটেল রিসোর্ট মালিকদের প্রণোদনার আওতায় আনা হবে। আমরা সবাই আবেদন করেছিলাম, কিন্তু কেউই সরকারি সহযোগিতা পাইনি। এ বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় আবার লকডাউন শুরু হলো। হোটেল ব্যবসা এখন হুমকির মুখে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। এখন সরকার যদি প্রণোদনার আওতায় এনে সহযোগিতা করে, তাহলে হোটেল মোটেল মালিকেরা উপকৃত হবে।’
দেশের হোটেল ইন্ড্রাস্টির অবস্থা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্য রয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মহসিন হক হিমেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা চট্রগ্রামের বিজনেস হোটেলগুলো গত বছর থেকে লোকসানে রয়েছে। এখন নতুন করে আরোপিত বিধিনিষেধে প্রায় ১৩টি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আগে বিদেশ থেকে আসা কিছু কোয়ারেন্টাইন গেস্ট ছিল, এখন তাও নেই। হোটেলে যে রেস্টুরেন্ট আছে, সেখানেও বসে খাওয়ার সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের হোটেল ইন্ড্রাস্টির অবস্থা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছর করোনার পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে পর্যটন খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
পর্যটন বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, লকডাউনে সংকটে পড়ায় অনেক হোটেল মালিক ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন। আর অনেক কর্মীরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। ফলে ভবিষ্যতে এই খাতে দক্ষ কর্মীর সংকট দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ থেকে সব বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়। দেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ২২ আগস্ট থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের মাথা পালিয়েছে কিন্তু লেজ এখনো দেশেই রয়ে গেছে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে।’
৫ মিনিট আগেসুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সরকারি খাস জায়গায় গড়ে উঠা ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দিনভর এই অভিযান চলে।
৮ মিনিট আগেরাজশাহীর দুর্গাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা ও নাশকতার অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে দুর্গাপুর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
৩৩ মিনিট আগেবৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কারা এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল তা স্পষ্ট করতে পারেনি বাহিনীটি। এতে পুলিশের প্রাথমিক ব্যর্থতা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
৩৬ মিনিট আগে