Ajker Patrika

শিক্ষার্থীদের পাথরে ভেঙেছে ট্রেনের ৩৮টি কাচ, হতে পারে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে কয়েকজন যাত্রী জখম হন। ফাইল ছবি
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে কয়েকজন যাত্রী জখম হন। ফাইল ছবি

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে রাজধানী মহাখালীতে দিনভর সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নোয়াখালী থেকে কমলাপুরের পথে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর ছুড়লে বেশ কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। রক্তাক্ত জখম হন শিশুসহ কয়েকজন যাত্রী।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দরজা–জানালার ৩৮টি কাচ ভেঙে গেছে। এতে দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ–আরএনবি রেল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করার চিন্তা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে রেলওয়ে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো মামলা হয়নি। সন্ধ্যায় পুলিশ–আরএনবি রেল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে রেলসম্পদ অনিষ্টসাধন ও যাত্রীদের আহত করার সংক্রান্ত ঘটনায় মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে নেওয়া হতে পারে।’

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আজ মহাখালী লেভেল ক্রসিং গেটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ৭১১ নং উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের দরজা/জানালা মিলিয়ে মোট ৩৮টি গ্লাস ভেঙে গেছে। এগুলোর অবচয়িত বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশের সড়কেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় চলে আসে।

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে কয়েকজন যাত্রী জখম হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে কয়েকজন যাত্রী জখম হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নোয়াখালী থেকে ঢাকার দিকে আসা আন্তনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি তারা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েকজন ট্রেনে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় ট্রেনটি গতি কমিয়ে গন্তব্যের দিকে যেতে থাকে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মহাখালী এলাকায় লাইনে দুটি আন্তনগর ট্রেন আটকে যায়। এর মধ্যে জামালপুরের তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে ছিল।

মহাখালীর আমতলী ও আরজতপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকার বাইরে থেকে কয়েকটি বাস বাড্ডা, গুলশান ঘুরে মহাখালী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে আসে। তবে মহাখালী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যেতে পারেনি। এতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলার যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। মহাখালী উড়ালসড়ক এবং নিচের সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সচল ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত