মনজুর রহমান, লালমোহন (ভোলা)
দ্বীপজেলা ভোলার লালমোহনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা বেতুয়া নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এ খালটি নিয়ে ভোলাবাসীর অনেক স্মৃতিবিজড়িত ইতিহাস রয়েছে। বেতুয়া নদীর একাংশের পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এতে বেতুয়ার দু’কুলের বসবাসরত হাজারো কৃষকদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
জানা গেছে, বেতুয়ার পানি সেচের মাধ্যমে কৃষকেরা এ শুষ্ক মৌসুমে ইরি ও বোরো ধান চাষ করত। কিন্তু পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ধান চাষ করতে পারছেন না। এ মৌসুমে ভোলার দক্ষিণাঞ্চলের ইরি ও বোরো ধান দেশের অধিকাংশ খাদ্য চাহিদা মেটানোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। কিন্তু খাল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সেই চাহিদা মেটানো অনেকটা কমে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বেতুয়া নদী যেন ভোলা দ্বীপের বর্তমান রূপকথা। আগে মেঘনা আর পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদীর মাঝে খবরাখবর আদান প্রদান করা, সংযোগ স্থাপনকারী বেতুয়া নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীর বুকে ফসল ফলায় গড়ে উঠেছে বসতি। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে বেতুয়া নদী এখন রূপকথার গল্পের মত। অনেকেই ভুলে গেছে বেতুয়া নদীর নাম। ১৯৪০ সালে মেঘনার মোহনা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে স্রোতহীন হয়ে পড়ে বেতুয়া নদী। আস্তে আস্তে নদীটি মরে যায়। এ অঞ্চলের মানুষজনের ধারণা, খরস্রোতা মেঘনা নদী থেকেই বেতুয়া নদীর সৃষ্টি হয়েছে।
লালমোহন উপজেলার দক্ষিণ ও চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর সীমান্তবর্তী স্থলে বেতুয়া নদী প্রবাহিত হয়েছিল। কিছু স্থানে এখনো বেতুয়া নদীর অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে। যা বেতুয়া খাল নামে পরিচিত। উপজেলার রমাগঞ্জ, জিএম বাজার, অন্নদা প্রাসাদ গ্রামসহ কয়েকটি স্থানে এখনো বেতুয়ার সরু খাল রয়েছে। যা একসময় প্রশস্ত ছিল।
রমাগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, বেতুয়া দিয়ে যখন জোয়ার ভাটার পানি আসত তখন ফসল উৎপাদনের জন্য ওই নদীর পানি সেচ দেওয়া হতো। এখন নদীটি মরে যাওয়ায় ইরি-বোরো ধান চাষ করা বন্ধ করে দিছি। সরকার যদি নদীটি খনন করে দেয় তাহলে আমরা আবার ধান চাষ করতে পারব। তাই বেতুয়া নদীর যেটুকু অস্তিত্ব আছে তা খনন করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লালমোহন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বেতুয়ার খাল (সাবেক নদী) খননের ব্যাপারে অবগত আছি। খালটি সরকারের উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট হিসেবে ধরা আছে। একনেকে পাস হলে কাজ শুরু করা হবে।
দ্বীপজেলা ভোলার লালমোহনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা বেতুয়া নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এ খালটি নিয়ে ভোলাবাসীর অনেক স্মৃতিবিজড়িত ইতিহাস রয়েছে। বেতুয়া নদীর একাংশের পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এতে বেতুয়ার দু’কুলের বসবাসরত হাজারো কৃষকদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
জানা গেছে, বেতুয়ার পানি সেচের মাধ্যমে কৃষকেরা এ শুষ্ক মৌসুমে ইরি ও বোরো ধান চাষ করত। কিন্তু পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ধান চাষ করতে পারছেন না। এ মৌসুমে ভোলার দক্ষিণাঞ্চলের ইরি ও বোরো ধান দেশের অধিকাংশ খাদ্য চাহিদা মেটানোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। কিন্তু খাল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সেই চাহিদা মেটানো অনেকটা কমে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বেতুয়া নদী যেন ভোলা দ্বীপের বর্তমান রূপকথা। আগে মেঘনা আর পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদীর মাঝে খবরাখবর আদান প্রদান করা, সংযোগ স্থাপনকারী বেতুয়া নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীর বুকে ফসল ফলায় গড়ে উঠেছে বসতি। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে বেতুয়া নদী এখন রূপকথার গল্পের মত। অনেকেই ভুলে গেছে বেতুয়া নদীর নাম। ১৯৪০ সালে মেঘনার মোহনা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে স্রোতহীন হয়ে পড়ে বেতুয়া নদী। আস্তে আস্তে নদীটি মরে যায়। এ অঞ্চলের মানুষজনের ধারণা, খরস্রোতা মেঘনা নদী থেকেই বেতুয়া নদীর সৃষ্টি হয়েছে।
লালমোহন উপজেলার দক্ষিণ ও চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর সীমান্তবর্তী স্থলে বেতুয়া নদী প্রবাহিত হয়েছিল। কিছু স্থানে এখনো বেতুয়া নদীর অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে। যা বেতুয়া খাল নামে পরিচিত। উপজেলার রমাগঞ্জ, জিএম বাজার, অন্নদা প্রাসাদ গ্রামসহ কয়েকটি স্থানে এখনো বেতুয়ার সরু খাল রয়েছে। যা একসময় প্রশস্ত ছিল।
রমাগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, বেতুয়া দিয়ে যখন জোয়ার ভাটার পানি আসত তখন ফসল উৎপাদনের জন্য ওই নদীর পানি সেচ দেওয়া হতো। এখন নদীটি মরে যাওয়ায় ইরি-বোরো ধান চাষ করা বন্ধ করে দিছি। সরকার যদি নদীটি খনন করে দেয় তাহলে আমরা আবার ধান চাষ করতে পারব। তাই বেতুয়া নদীর যেটুকু অস্তিত্ব আছে তা খনন করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লালমোহন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বেতুয়ার খাল (সাবেক নদী) খননের ব্যাপারে অবগত আছি। খালটি সরকারের উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট হিসেবে ধরা আছে। একনেকে পাস হলে কাজ শুরু করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
১১ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
৩২ মিনিট আগেছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এর মূল কারিগরই ছিলেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষকদের ন্যায়সংগত সকল দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে...
৪৩ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
২ ঘণ্টা আগে