নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল থেকে
গতকাল রাত থেকেই কাছের নেতা-কর্মী, সমর্থক, স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছিলেন। সকালে সেটা আরও বড় আকার ধারণ করে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ। তীব্র রোদ আর গরম উপেক্ষা করে নগরীর কালু শাহ সড়কে খোকন সেরনিয়াবাতের বাড়ির সামনে এসব মানুষের অপেক্ষা বাড়তে থাকে। সবার মনে প্রশ্ন কখন বাড়ির সামনে আসবেন বরিশালের নতুন নগরপিতা? এর মাঝে ক্ষণে ক্ষণেই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছিল বাড়ির সামনের অংশ। অপেক্ষার অবসান হলো, সস্ত্রীক বাসার সামনে এলেন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ(খোকন সেরনিয়াবাত)। সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ালে আরও একবার স্লোগানে প্রকম্পিত হলো পুরো এলাকা।
সকাল থেকেই নতুন মেয়রের বাড়ির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন নগর ভবনের চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী ফয়সাল হোসেন৷ নতুন মেয়রকে নিয়ে তাঁর ভেতরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। তিনি বলেন, নানা ঝামেলার পরে নগরভবন একজন অভিভাবক পেল। আমরা যারা ছোট চাকরি করি তাদের কাছে মেয়রই সবকিছু। কে হবে না হবে (মেয়র) এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল মনে৷ গতকাল যখন ঘোষণা হলো মেয়রের নাম। তখনই চিন্তা করেছিলাম সকালে এসে তাকে দেখে যাব দেখলাম, মনে হচ্ছে ভালো হবে।’
কথা বলে জানা গেল ফয়সাল শুধু একা নয় তাঁর মতো নগর ভবনে কাজ করা আরও অনেকেই এসেছেন নতুন মেয়রকে এক নজর দেখতে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে নানা সাংস্কৃতিক সংগঠন সংশ্লিষ্ট লোকজনও এসেছেন শুভেচ্ছা জানাতে। এসব মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান নতুন মেয়রের কাছে নতুন প্রত্যাশার কথা। নিজেকে সাধারণ নাগরিক পরিচয় দিয়ে নিউ সার্কুলার রোডের এক বাসিন্দা বলেন, ‘নতুন মেয়রের কাছে আমাদের খুব সাধারণ প্রত্যাশা। তিনি যেন জনবান্ধব হন। প্রত্যেকটি কাজে ও সিদ্ধান্তে যেন তাঁর কাছে নাগরিক অধিকার অগ্রাধিকার পায়৷ এর বেশি কিছু আমরা প্রত্যাশা করি না।’
সংস্কৃতি কর্মী ফারজানা নূরী বলেন, ‘নগরের অভিভাবকের কাছে থেকে আমরা দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। এই বরিশালের মাটি, মানুষ, পরিবেশ ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি কাজ করবেন এটাই একজন সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে আমরা আশা করি।’
দীর্ঘ দিন ক্যানসারের মতো ব্যাধি শরীরে বয়ে বেড়ানো নতুন এই নগর পিতা নির্বাচনী ধকল সামলে উঠতে পারেনি। চকচকে সকালেও তার চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। শুভেচ্ছা বিনিময়ের একপর্যায়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিক ও জনমানুষের উদ্দেশ্যে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলেন। কৃতজ্ঞতার সুরে তিনি বলেন, ‘নগরবাসীকে ধন্যবাদ। তারা আমাকে বিপুল ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তির মধ্যেও তারা যে আমাকে গ্রহণ করেছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। সর্বস্তরের মানুষ যে ভালোবাসা দিয়েছে সেই ভালোবাসার মর্যাদা যেন আমি রক্ষা করতে পারি।’
তার দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে বলেন, ‘বরিশালবাসীর জন্য এই ইশতেহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবই অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব। আমি বলব কোনটাই যেন বাদ না যায়। আমাকে মানুষ অত্যন্ত ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। তারা আমাকে বিশ্বাস করেছে। এই বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটবে।’
কথা বলার অল্প কিছুক্ষণ পরেই তিনি বাসায় ঢুকে যান। বেলা ১২ টার পর আবার নৌকার অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে যান সস্ত্রীক। সেখানে নির্বাচনী পরিচালনা পর্ষদ ও নানা শ্রেণি-পেশা আর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তবে সার্কিট হাউস এলাকার এই কার্যালয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।
গতকাল রাত থেকেই কাছের নেতা-কর্মী, সমর্থক, স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছিলেন। সকালে সেটা আরও বড় আকার ধারণ করে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ। তীব্র রোদ আর গরম উপেক্ষা করে নগরীর কালু শাহ সড়কে খোকন সেরনিয়াবাতের বাড়ির সামনে এসব মানুষের অপেক্ষা বাড়তে থাকে। সবার মনে প্রশ্ন কখন বাড়ির সামনে আসবেন বরিশালের নতুন নগরপিতা? এর মাঝে ক্ষণে ক্ষণেই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছিল বাড়ির সামনের অংশ। অপেক্ষার অবসান হলো, সস্ত্রীক বাসার সামনে এলেন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ(খোকন সেরনিয়াবাত)। সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ালে আরও একবার স্লোগানে প্রকম্পিত হলো পুরো এলাকা।
সকাল থেকেই নতুন মেয়রের বাড়ির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন নগর ভবনের চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী ফয়সাল হোসেন৷ নতুন মেয়রকে নিয়ে তাঁর ভেতরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। তিনি বলেন, নানা ঝামেলার পরে নগরভবন একজন অভিভাবক পেল। আমরা যারা ছোট চাকরি করি তাদের কাছে মেয়রই সবকিছু। কে হবে না হবে (মেয়র) এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল মনে৷ গতকাল যখন ঘোষণা হলো মেয়রের নাম। তখনই চিন্তা করেছিলাম সকালে এসে তাকে দেখে যাব দেখলাম, মনে হচ্ছে ভালো হবে।’
কথা বলে জানা গেল ফয়সাল শুধু একা নয় তাঁর মতো নগর ভবনে কাজ করা আরও অনেকেই এসেছেন নতুন মেয়রকে এক নজর দেখতে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে নানা সাংস্কৃতিক সংগঠন সংশ্লিষ্ট লোকজনও এসেছেন শুভেচ্ছা জানাতে। এসব মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান নতুন মেয়রের কাছে নতুন প্রত্যাশার কথা। নিজেকে সাধারণ নাগরিক পরিচয় দিয়ে নিউ সার্কুলার রোডের এক বাসিন্দা বলেন, ‘নতুন মেয়রের কাছে আমাদের খুব সাধারণ প্রত্যাশা। তিনি যেন জনবান্ধব হন। প্রত্যেকটি কাজে ও সিদ্ধান্তে যেন তাঁর কাছে নাগরিক অধিকার অগ্রাধিকার পায়৷ এর বেশি কিছু আমরা প্রত্যাশা করি না।’
সংস্কৃতি কর্মী ফারজানা নূরী বলেন, ‘নগরের অভিভাবকের কাছে থেকে আমরা দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। এই বরিশালের মাটি, মানুষ, পরিবেশ ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি কাজ করবেন এটাই একজন সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে আমরা আশা করি।’
দীর্ঘ দিন ক্যানসারের মতো ব্যাধি শরীরে বয়ে বেড়ানো নতুন এই নগর পিতা নির্বাচনী ধকল সামলে উঠতে পারেনি। চকচকে সকালেও তার চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। শুভেচ্ছা বিনিময়ের একপর্যায়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিক ও জনমানুষের উদ্দেশ্যে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলেন। কৃতজ্ঞতার সুরে তিনি বলেন, ‘নগরবাসীকে ধন্যবাদ। তারা আমাকে বিপুল ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তির মধ্যেও তারা যে আমাকে গ্রহণ করেছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। সর্বস্তরের মানুষ যে ভালোবাসা দিয়েছে সেই ভালোবাসার মর্যাদা যেন আমি রক্ষা করতে পারি।’
তার দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে বলেন, ‘বরিশালবাসীর জন্য এই ইশতেহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবই অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব। আমি বলব কোনটাই যেন বাদ না যায়। আমাকে মানুষ অত্যন্ত ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। তারা আমাকে বিশ্বাস করেছে। এই বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটবে।’
কথা বলার অল্প কিছুক্ষণ পরেই তিনি বাসায় ঢুকে যান। বেলা ১২ টার পর আবার নৌকার অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে যান সস্ত্রীক। সেখানে নির্বাচনী পরিচালনা পর্ষদ ও নানা শ্রেণি-পেশা আর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তবে সার্কিট হাউস এলাকার এই কার্যালয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।
জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি মো. মজিবুর রহমান চুন্নু বলেন, ‘আজকের সভায় আইনজীবীরা সর্বসম্মতিক্রমে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণের জন্য আদালত বর্জনের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। আমরা আজকের মধ্যে এ রেজল্যুশন জেলা জজ আদালতের প্রধান বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পৌঁছে দিচ্ছি।
৪ মিনিট আগেসিলেটে মাদক সেবনকালে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের তালতলা এলাকার একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৫ মিনিট আগেবরগুনার তালতলীতে তরমুজচাষিদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে তরমুজচাষি রাকিব ভদ্দর বাদী হয়ে তালতলী থানায় শহীদুল ইসলামসহ আটজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
২০ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক মানববন্ধনে তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
২৫ মিনিট আগে