Ajker Patrika

একবার জাল ফেলেই মিলল ৮৭ মণ ইলিশ, বিক্রি অর্ধকোটি টাকা

প্রতিনিধি, পাথরঘাটা (বরগুনা) 
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২১, ১৭: ২০
একবার জাল ফেলেই মিলল ৮৭ মণ ইলিশ, বিক্রি অর্ধকোটি টাকা

বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন এলাকায় এক বার জাল ফেলেই ৮৭ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানাধীন এফবি সাইফ-২ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে এই বিপুল পরিমাণের ইলিশ ধরা পড়ে। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এই মাছ ৫২ হাজার টাকা মণ হিসেবে ক্রয় করেন মেসার্স সাইফ ফিশিং কোম্পানি অ্যান্ড কমিশন এজেন্টের গোলাম মোস্তফা আলম। 

এফবি সাইফ-২ ট্রলারের মাঝি মো. জামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, গত রবিবার পাথরঘাটা থেকে বাজার সদায় নিয়ে গভীর সাগরে মাছ শিকার করতে যাই। সেখানে গিয়ে সোমবার জাল পাতলে কোন মাছ জালে ওঠেনি। সেখান থেকে ১২ ঘণ্টা গভীর সমুদ্রে ট্রলার চালিয়ে সেন্টমার্টিন থেকেও গভীরে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে জাল পাতলে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পরে। ট্রলারের মাছ রাখার জায়গা না হওয়াতে দ্রুত পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) ঘাটে রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটে পৌঁছাই। পরে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই মাছ বিক্রি শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়। 

এফবি সাইফ-২ ট্রলারের মালিক পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির জানান, বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পরছে না। এর মধ্যে পর পর দুই ট্রিপে আমার ট্রলারে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ছে। এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। 

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ১৫টি মাছ ধরা ট্রলার ঘাটে এসেছে। সকলেই সামান্য কিছু মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে। তবে এফবি সাইফ-২ প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পেয়েছে। 

এক ট্রলারে এত পরিমাণ ইলিশ পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মোস্তফা চৌধুরী জানান, এফবি সাইফ-২ ট্রলারে আধুনিক সরঞ্জামের পাশাপাশি লার্জ (লম্বা) জাল ব্যবহার করে। যা প্রস্থে ৯০ হাত। আর এই মৌসুমে ইলিশ মাছ অবস্থান করে সমুদ্রের গভীরে। এ কারণে ভাসা জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত