Ajker Patrika

একাই ৯ পদে থাকা পবিপ্রবির সেই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৫, ২২: ৪৩
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ৫ আগস্টের আগে রেজিষ্ট্রার, প্রক্টরসহ ৯ পদে দায়িত্ব পালন করা সেই অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, এর কারণ জানাতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু পবিপ্রবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক। ৫ আগস্টের আগপর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ ৯টি পদে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, শিক্ষকদের নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

রেজিষ্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি, অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু, ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লব চলাকালীন প্রক্টরের দায়িত্ব পালনের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের পাঁচ হাজার ছাত্র হত্যার হুমকি দেন, যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে এবং জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এছাড়া আপনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে হল থেকে বের করে দেন এবং ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের রিপোর্ট আছে বলে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন।’

এসব অভিযোগ উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুকে চাকরিতে বহাল রাখা জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচিত হওয়ায় এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া যথাযথ জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ড. সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম কেরামত আলী হলে যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার খুব সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না, গদি ছাড়বে না। যদি আরও ৫ হাজার মানুষ মারা লাগে, তবুও সরকার চিন্তা করবে না।’ শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তাঁদের দিকে তেড়ে যান। পরে তাঁর এসব বক্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তোপের মুখে ৪ আগস্ট তাঁকে প্রক্টর পদ থেকে অপসারণ করে তৎকালীন প্রশাসন। পরে তাঁকে রেজিস্ট্রার পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত