খান রফিক, বরিশাল
বরিশাল মহানগর বিএনপিতে বঞ্চিতদের জোট ক্রমেই বড় হচ্ছে। তারা নানা কর্মসূচিতে নগর বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা শোডাউন দিচ্ছে। পদবঞ্চিতদের দুটি ধারাই এখন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের ছায়ায় একই পথে হাঁটছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন, তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন উপলক্ষে বঞ্চিতদের এমন পাল্টা কর্মসূচিতে ক্ষুব্ধ বরিশাল নগর বিএনপির নেতারা।
দলীয় সূত্র বলেছে, গত বছরের শুরুতেও নগর বিএনপির তৎকালীন কমিটির নেতারা সরোয়ারের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়া অনেকে এখন সরোয়ারের অনুসারীদের সঙ্গে একজোট হয়েছেন। পদবঞ্চিত দুটি ধারার একটি নগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবিরের অনুসারী, অপরটি সরোয়ার অনুসারী সৈয়দ আকবর গ্রুপ। নিজেদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে এ দুটি গ্রুপ এখন একাকার। তার সর্বশেষ প্রতিফলন বিজয় দিবসে বড় মিছিল। গত সোমবারের এ মিছিলে সরোয়ারের অনুসারীরা মীর জাহিদের লোকজনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নগরময় ছুটেছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাজনও। সরোয়ারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে একসময় রক্তাক্ত জখম হওয়া রাজন এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সরোয়ারের অনুসারীদের সঙ্গেই হাঁটছেন।
জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘এখন আন্দোলন নেই, আওয়ামী লীগ নেই। এখন তো পাল্টা মিছিল হবেই। এরা তো সরোয়ার ভাইয়ের লোক। তাঁর লোকই তো নতুন করে মাঠে নেমেছে।’ তিনি বলেন, ‘সোমবার বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ভাই বক্তব্যে বলেছেন, যাঁরা এখন পাল্টা মিছিল করেন, এই লোকগুলো আন্দোলনে কোথায় ছিলেন? দুর্দিনে এঁদের কেউ কেউ ছিলেন নানকের বাসায়, কেউ আবার ঢাকায়।’ নাসরিন আরও বলেন, ‘যারা পাল্টা মিছিল করছে, তাদের অর্ধেকই আওয়ামী লীগের দোসর।’
মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, ‘সরোয়ার ভাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৩০ বছর। বিএনপিতে এখন যাঁরা আছেন, সবাই দলের লোক। সবাই সরোয়ার ভাইয়ের কর্মী। যেহেতু মহানগর বিএনপি আমাদের ডাকে না, সেহেতু রাজনীতির টানে মাঠে নামি।’ তিনি নগর বিএনপির আহ্বায়ককে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা অন্য কোনো দল (জাপা থেকে আসা ফারুক) থেকে আসিনি। যাঁরা অন্য দল থেকে আসেন, তাঁরাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এমন কথা বলেন। তাঁদের এসব কথায় ঘরে উঠব না আমরা।’
মীর জাহিদ আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচিতে ভয় কেন? আমাদের ওই সব দুর্বলতা নেই যে অন্য দল থেকে এসেছি।’ তিনি বলেন, ‘এই ফারুক ভাইকে একসময় জাপা থেকে বিএনপিতে এনে সরোয়ার ভাই রোষানলে পড়েছিলেন। সেই ফারুক ভাই সরোয়ার ভাইয়ের মতো শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারেন না।’ তিনি চ্যালেঞ্জ রেখে বলেন, ‘প্রমাণ দেখাক তারা, মিছিলে আওয়ামী লীগের দোসর ছিল কি না।’
মজিবর রহমান সরোয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকবর বলেন, ‘রাজনীতিতে শত্রুমিত্র নেই। শেষ বলেও কিছু নেই। যাঁরা সরোয়ার ভাইয়ের বিরোধিতা করতেন, তাঁরা হয়তো নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমরা আন্দোলনে ছিলাম, আন্দোলনে আছি। আমাদের সঙ্গে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতারা আছেন। যাঁরা এখন সরোয়ার ভাইয়ের বিরোধিতা করেন, তাঁদেরও রাজনীতিতে এনেছেন এই মজিবর রহমান সরোয়ারই।’
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, মহানগর বিএনপিতে নানা কারণে দৈন্য দেখা দিয়েছে। নতুন যে কমিটি আছে, তাতে অনেকে বাদ পড়েছেন। এখন বিজয় দিবসসহ নানা অনুষ্ঠানে বঞ্চিতদের অবস্থান স্পষ্ট ফুটে উঠছে। সবাইকে নিয়ে কমিটি করা উচিত। সম্মেলন করলে বিভক্তি থাকবে না। ওয়ার্ড কমিটি থেকে মতামত নিয়ে এ সম্মেলন করতে হবে।
বরিশাল মহানগর বিএনপিতে বঞ্চিতদের জোট ক্রমেই বড় হচ্ছে। তারা নানা কর্মসূচিতে নগর বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা শোডাউন দিচ্ছে। পদবঞ্চিতদের দুটি ধারাই এখন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের ছায়ায় একই পথে হাঁটছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন, তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন উপলক্ষে বঞ্চিতদের এমন পাল্টা কর্মসূচিতে ক্ষুব্ধ বরিশাল নগর বিএনপির নেতারা।
দলীয় সূত্র বলেছে, গত বছরের শুরুতেও নগর বিএনপির তৎকালীন কমিটির নেতারা সরোয়ারের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়া অনেকে এখন সরোয়ারের অনুসারীদের সঙ্গে একজোট হয়েছেন। পদবঞ্চিত দুটি ধারার একটি নগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবিরের অনুসারী, অপরটি সরোয়ার অনুসারী সৈয়দ আকবর গ্রুপ। নিজেদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে এ দুটি গ্রুপ এখন একাকার। তার সর্বশেষ প্রতিফলন বিজয় দিবসে বড় মিছিল। গত সোমবারের এ মিছিলে সরোয়ারের অনুসারীরা মীর জাহিদের লোকজনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নগরময় ছুটেছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাজনও। সরোয়ারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে একসময় রক্তাক্ত জখম হওয়া রাজন এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সরোয়ারের অনুসারীদের সঙ্গেই হাঁটছেন।
জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘এখন আন্দোলন নেই, আওয়ামী লীগ নেই। এখন তো পাল্টা মিছিল হবেই। এরা তো সরোয়ার ভাইয়ের লোক। তাঁর লোকই তো নতুন করে মাঠে নেমেছে।’ তিনি বলেন, ‘সোমবার বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ভাই বক্তব্যে বলেছেন, যাঁরা এখন পাল্টা মিছিল করেন, এই লোকগুলো আন্দোলনে কোথায় ছিলেন? দুর্দিনে এঁদের কেউ কেউ ছিলেন নানকের বাসায়, কেউ আবার ঢাকায়।’ নাসরিন আরও বলেন, ‘যারা পাল্টা মিছিল করছে, তাদের অর্ধেকই আওয়ামী লীগের দোসর।’
মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, ‘সরোয়ার ভাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৩০ বছর। বিএনপিতে এখন যাঁরা আছেন, সবাই দলের লোক। সবাই সরোয়ার ভাইয়ের কর্মী। যেহেতু মহানগর বিএনপি আমাদের ডাকে না, সেহেতু রাজনীতির টানে মাঠে নামি।’ তিনি নগর বিএনপির আহ্বায়ককে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা অন্য কোনো দল (জাপা থেকে আসা ফারুক) থেকে আসিনি। যাঁরা অন্য দল থেকে আসেন, তাঁরাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এমন কথা বলেন। তাঁদের এসব কথায় ঘরে উঠব না আমরা।’
মীর জাহিদ আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচিতে ভয় কেন? আমাদের ওই সব দুর্বলতা নেই যে অন্য দল থেকে এসেছি।’ তিনি বলেন, ‘এই ফারুক ভাইকে একসময় জাপা থেকে বিএনপিতে এনে সরোয়ার ভাই রোষানলে পড়েছিলেন। সেই ফারুক ভাই সরোয়ার ভাইয়ের মতো শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারেন না।’ তিনি চ্যালেঞ্জ রেখে বলেন, ‘প্রমাণ দেখাক তারা, মিছিলে আওয়ামী লীগের দোসর ছিল কি না।’
মজিবর রহমান সরোয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকবর বলেন, ‘রাজনীতিতে শত্রুমিত্র নেই। শেষ বলেও কিছু নেই। যাঁরা সরোয়ার ভাইয়ের বিরোধিতা করতেন, তাঁরা হয়তো নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমরা আন্দোলনে ছিলাম, আন্দোলনে আছি। আমাদের সঙ্গে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতারা আছেন। যাঁরা এখন সরোয়ার ভাইয়ের বিরোধিতা করেন, তাঁদেরও রাজনীতিতে এনেছেন এই মজিবর রহমান সরোয়ারই।’
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, মহানগর বিএনপিতে নানা কারণে দৈন্য দেখা দিয়েছে। নতুন যে কমিটি আছে, তাতে অনেকে বাদ পড়েছেন। এখন বিজয় দিবসসহ নানা অনুষ্ঠানে বঞ্চিতদের অবস্থান স্পষ্ট ফুটে উঠছে। সবাইকে নিয়ে কমিটি করা উচিত। সম্মেলন করলে বিভক্তি থাকবে না। ওয়ার্ড কমিটি থেকে মতামত নিয়ে এ সম্মেলন করতে হবে।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন। পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালনকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতের জুবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় ।
২৬ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বাড়িতে আগুন লেগে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় টঙ্গীর দত্তপাড়া হাজী মার্কেট এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ড হয়। টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মহান বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও তিনজন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গরুর হাটে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪০-৫০ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোর চারটার দিকে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে...
২ ঘণ্টা আগে