প্রতিনিধি, বরিশাল
করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে অর্থাৎ আজ শনিবার থেকে হঠাৎ করে বরিশাল নগরীর সকল হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নেওয়া এ সিদ্ধান্তের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন ২ হাজারের বেশি রোগী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনরা। পরে খাবার না পেয়ে কয়েক হাজার স্বজনের হা-হুতাশ দেখে ৯টি হোটেল মালিক ৬ মণ চাল-ডালের খিচুড়ি রান্না করে বিনা মূল্যে বিতরণ করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান এ চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। প্রতি রোগীর সঙ্গে গড়ে ৩ জন স্বজনও থাকেন। সে হিসেবে প্রতিদিন শেবাচিমকে প্রায় ৬ হাজার লোক রাত্রি যাপন করেন। হাসপাতাল থেকে শুধুমাত্র রোগীদের খাবার দেওয়া হলেও তা মানসম্পন্ন না হওয়ায় বেশির ভাগ রোগী তা খায় না। তাই তাঁরা হাসপাতাল এলাকার বিভিন্ন হোটেল থেকে তিনবেলা খাবার কিনে খায়। গতকাল শুক্রবার রাতে প্রশাসন হোটেলগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় আজ সকালে থেকে খাবার সংকটে পড়েন চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা।
শেবাচিম হাসপাতাল সংলগ্ন বান্দরোডে 'নন্দিনী' হোটেলের মালিক পবিত্র দেবনাথ বলেন, শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের বেশির ভাগই তিনবেলা খাবার চাহিদা মেটায় হাসপাতাল সংলগ্ন বাঁধ রোডে অবস্থিত ৯টি খাবার হোটেল। কিন্তু গতকাল রাতে পুলিশ সদস্যরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটেলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। ফলে আজ থেকে হাসপাতাল এলাকার সবগুলো খাবার হোটেল বন্ধ রয়েছে।
পবিত্র দেবনাথ আরও বলেন, আজ সকালে হোটেল বন্ধ দেখে খাবার নিতে রোগীর স্বজনদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়। গোটা নগরীর হোটেল বন্ধ থাকায় তাঁরা বিপাকে পড়েন। খাবারের জন্য হইচই শুরু করে দেন। ঝুপড়ি চায়ের দোকানের রুটি-কলাও মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। স্বজনদের এমন দুর্দশা দেখে ৯টি হোটেল মালিক একত্রিত হয়ে ৬ মণ চাল-ডাল দিয়ে ৮টি হাঁড়িতে খিচুড়ি রান্না করে বিনা মূল্যে বিতরণ করেন। পরে রোগীদের স্বজনরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সকালের খাবার জোগাড় করেন। কিন্তু দুপুর থেকে পরবর্তী বেলার খাবারের অনিশ্চয়তা রয়েছেন তাঁরা।
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বরগুনার আয়লা গ্রামের বাবুল হাওলাদার বলেন, আমি হোটেল থেকে প্রতিদিন খাবার কিনে খাই। কিন্তু আজ সকাল থেকে খাবার কিনতে না পেরে আমার মেয়েকে লাইন দাঁড়িয়ে খিচুড়ি সংগ্রহ করতে হয়। পরবর্তীতে আমরা কীভাবে খাবারের চাহিদা পূরণ করব সে বিষয়ে খুব চিন্তাই রয়েছি।
এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রশাসন হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেলা প্রশাসক, মেয়র, বিভাগীয় কমিশনাররা এটি দেখছেন। আমাদের হাতে এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই।
করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে অর্থাৎ আজ শনিবার থেকে হঠাৎ করে বরিশাল নগরীর সকল হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নেওয়া এ সিদ্ধান্তের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন ২ হাজারের বেশি রোগী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনরা। পরে খাবার না পেয়ে কয়েক হাজার স্বজনের হা-হুতাশ দেখে ৯টি হোটেল মালিক ৬ মণ চাল-ডালের খিচুড়ি রান্না করে বিনা মূল্যে বিতরণ করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান এ চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। প্রতি রোগীর সঙ্গে গড়ে ৩ জন স্বজনও থাকেন। সে হিসেবে প্রতিদিন শেবাচিমকে প্রায় ৬ হাজার লোক রাত্রি যাপন করেন। হাসপাতাল থেকে শুধুমাত্র রোগীদের খাবার দেওয়া হলেও তা মানসম্পন্ন না হওয়ায় বেশির ভাগ রোগী তা খায় না। তাই তাঁরা হাসপাতাল এলাকার বিভিন্ন হোটেল থেকে তিনবেলা খাবার কিনে খায়। গতকাল শুক্রবার রাতে প্রশাসন হোটেলগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় আজ সকালে থেকে খাবার সংকটে পড়েন চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা।
শেবাচিম হাসপাতাল সংলগ্ন বান্দরোডে 'নন্দিনী' হোটেলের মালিক পবিত্র দেবনাথ বলেন, শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের বেশির ভাগই তিনবেলা খাবার চাহিদা মেটায় হাসপাতাল সংলগ্ন বাঁধ রোডে অবস্থিত ৯টি খাবার হোটেল। কিন্তু গতকাল রাতে পুলিশ সদস্যরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটেলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। ফলে আজ থেকে হাসপাতাল এলাকার সবগুলো খাবার হোটেল বন্ধ রয়েছে।
পবিত্র দেবনাথ আরও বলেন, আজ সকালে হোটেল বন্ধ দেখে খাবার নিতে রোগীর স্বজনদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়। গোটা নগরীর হোটেল বন্ধ থাকায় তাঁরা বিপাকে পড়েন। খাবারের জন্য হইচই শুরু করে দেন। ঝুপড়ি চায়ের দোকানের রুটি-কলাও মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। স্বজনদের এমন দুর্দশা দেখে ৯টি হোটেল মালিক একত্রিত হয়ে ৬ মণ চাল-ডাল দিয়ে ৮টি হাঁড়িতে খিচুড়ি রান্না করে বিনা মূল্যে বিতরণ করেন। পরে রোগীদের স্বজনরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সকালের খাবার জোগাড় করেন। কিন্তু দুপুর থেকে পরবর্তী বেলার খাবারের অনিশ্চয়তা রয়েছেন তাঁরা।
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বরগুনার আয়লা গ্রামের বাবুল হাওলাদার বলেন, আমি হোটেল থেকে প্রতিদিন খাবার কিনে খাই। কিন্তু আজ সকাল থেকে খাবার কিনতে না পেরে আমার মেয়েকে লাইন দাঁড়িয়ে খিচুড়ি সংগ্রহ করতে হয়। পরবর্তীতে আমরা কীভাবে খাবারের চাহিদা পূরণ করব সে বিষয়ে খুব চিন্তাই রয়েছি।
এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রশাসন হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেলা প্রশাসক, মেয়র, বিভাগীয় কমিশনাররা এটি দেখছেন। আমাদের হাতে এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভের পর রাত ১০টার দিকে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজার নামাজও আদায় করা হয়
৮ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
৮ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পুকড়া এলাকায় নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৯ ঘণ্টা আগেববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
৯ ঘণ্টা আগে