নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি সরকারের শীর্ষ মহলের বক্তব্যে উঠে আসছে দুই দিন ধরে।
খোলা চোখে ইউএনওর বাসার পোস্টার অপসারণ নিয়ে যে সংঘর্ষের শুরু, তা যে আওয়ামী লীগের দুই নেতার (বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক) রাজনীতির মারপ্যাঁচ—গত কয়েক দিনে তা পরিষ্কার। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবৃতির ভাষা নিয়ে সরকার, দল ও সামাজিক মাধ্যমে যে আপত্তি উঠেছে, সেই সংগঠনের সভাপতি কবীর বিন আনোয়ার পানি-সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব।
প্রথম দিকে বরিশাল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলার পর গতকাল রোববার এক আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে করা হয়েছে দুই মামলা। যাতে ইউএনও মনিবুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি মামলাও চিন্তা বাড়িয়েছে সব মহলে।
স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, ঘটনার পরই কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে বিষয়টি এত দূর গড়াত না। আওয়ামী লীগ জোট সরকারের সাবেক এক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত। এভাবে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করা শুরু করলে তা ক্ষতি করবে ক্ষমতাসীনদেরই।
আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপর এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরিশালের ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। আমি চাই আইন অনুসারে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হোক। মেয়রের পক্ষ থেকেও যদি কোনো মামলা হয় সেটিও আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
কিন্তু গত বুধবারের ঘটনার পরদিন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি এবং ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে’—বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন বিবৃতি নিয়ে পানি ঘোলা শুরু হয়েছে। একই দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক আলোচনায় ‘দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না, যদি দলের লোকও হয়’—এমন বক্তব্য দিলে হালে পানি পান প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু তারপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও সরকারে। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের বড় একটি অংশ মাঠ প্রশাসনের কর্তৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ জানান।
আলোচনা ঘুরে যায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে শব্দ ব্যবহারের দিকে। সংগঠনের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবীর বিন আনোয়ার আর কোথাও কোনো মন্তব্য করেননি। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। তবে বরিশালের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। সরকারি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বিবৃতিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন রাজনীতিবিদেরা। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাও বিবৃতির ভাষা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে কেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল, সব বিষয়ই আমরা দেখছি। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সরকার সবকিছু দেখছে। সবাইকে তাদের এখতিয়ারের মধ্য থেকে আচরণ করতে হবে।’ বিষয়টি নিয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। দুজন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে দলের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক কথা বলবেন। তাঁরা কোনো কথা বলতে চান না।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবৃতিতে তাঁরা যে ভাষা ব্যবহার করেছে, তা খুবই আপত্তিজনক। আশা করি, জ্যেষ্ঠ নেতারা এর একটি সম্মানজনক সমাধান করবেন। এই সমাধানের মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ড।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেখানে (বরিশাল সদর ইউএনওর কার্যালয়) কিছু পোস্টার অপসারণ করতে গেলে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এটা নিরসন হয়ে যাবে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। মামলায় কেউ দোষী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
বরিশালের ঘটনা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন চটজলদি বিবৃতি দিয়েছে বলে মনে করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রকে আসামি করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না, দল বিব্রত কি না—সেই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইতিপূর্বে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হলে সেটি তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।
আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট, মাঠ প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের মাঝে যে তিক্ততা রয়েছে তা মেটেনি। এ নিয়ে দুই মাস আগে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়েছে। গত ২৮ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ‘এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মানুষ মনে করে আমরা যা দিই এগুলো দেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ...এটা একটা রাজনৈতিক সরকার। রাজনীতিবিদদের যে একটা কর্তৃত্ব বা কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’

হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি সরকারের শীর্ষ মহলের বক্তব্যে উঠে আসছে দুই দিন ধরে।
খোলা চোখে ইউএনওর বাসার পোস্টার অপসারণ নিয়ে যে সংঘর্ষের শুরু, তা যে আওয়ামী লীগের দুই নেতার (বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক) রাজনীতির মারপ্যাঁচ—গত কয়েক দিনে তা পরিষ্কার। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবৃতির ভাষা নিয়ে সরকার, দল ও সামাজিক মাধ্যমে যে আপত্তি উঠেছে, সেই সংগঠনের সভাপতি কবীর বিন আনোয়ার পানি-সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব।
প্রথম দিকে বরিশাল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলার পর গতকাল রোববার এক আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে করা হয়েছে দুই মামলা। যাতে ইউএনও মনিবুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি মামলাও চিন্তা বাড়িয়েছে সব মহলে।
স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, ঘটনার পরই কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে বিষয়টি এত দূর গড়াত না। আওয়ামী লীগ জোট সরকারের সাবেক এক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত। এভাবে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করা শুরু করলে তা ক্ষতি করবে ক্ষমতাসীনদেরই।
আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপর এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরিশালের ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। আমি চাই আইন অনুসারে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হোক। মেয়রের পক্ষ থেকেও যদি কোনো মামলা হয় সেটিও আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
কিন্তু গত বুধবারের ঘটনার পরদিন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি এবং ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে’—বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন বিবৃতি নিয়ে পানি ঘোলা শুরু হয়েছে। একই দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক আলোচনায় ‘দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না, যদি দলের লোকও হয়’—এমন বক্তব্য দিলে হালে পানি পান প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু তারপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও সরকারে। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের বড় একটি অংশ মাঠ প্রশাসনের কর্তৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ জানান।
আলোচনা ঘুরে যায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে শব্দ ব্যবহারের দিকে। সংগঠনের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবীর বিন আনোয়ার আর কোথাও কোনো মন্তব্য করেননি। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। তবে বরিশালের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। সরকারি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বিবৃতিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন রাজনীতিবিদেরা। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাও বিবৃতির ভাষা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে কেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল, সব বিষয়ই আমরা দেখছি। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সরকার সবকিছু দেখছে। সবাইকে তাদের এখতিয়ারের মধ্য থেকে আচরণ করতে হবে।’ বিষয়টি নিয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। দুজন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে দলের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক কথা বলবেন। তাঁরা কোনো কথা বলতে চান না।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবৃতিতে তাঁরা যে ভাষা ব্যবহার করেছে, তা খুবই আপত্তিজনক। আশা করি, জ্যেষ্ঠ নেতারা এর একটি সম্মানজনক সমাধান করবেন। এই সমাধানের মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ড।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেখানে (বরিশাল সদর ইউএনওর কার্যালয়) কিছু পোস্টার অপসারণ করতে গেলে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এটা নিরসন হয়ে যাবে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। মামলায় কেউ দোষী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
বরিশালের ঘটনা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন চটজলদি বিবৃতি দিয়েছে বলে মনে করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রকে আসামি করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না, দল বিব্রত কি না—সেই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইতিপূর্বে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হলে সেটি তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।
আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট, মাঠ প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের মাঝে যে তিক্ততা রয়েছে তা মেটেনি। এ নিয়ে দুই মাস আগে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়েছে। গত ২৮ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ‘এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মানুষ মনে করে আমরা যা দিই এগুলো দেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ...এটা একটা রাজনৈতিক সরকার। রাজনীতিবিদদের যে একটা কর্তৃত্ব বা কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি সরকারের শীর্ষ মহলের বক্তব্যে উঠে আসছে দুই দিন ধরে।
খোলা চোখে ইউএনওর বাসার পোস্টার অপসারণ নিয়ে যে সংঘর্ষের শুরু, তা যে আওয়ামী লীগের দুই নেতার (বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক) রাজনীতির মারপ্যাঁচ—গত কয়েক দিনে তা পরিষ্কার। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবৃতির ভাষা নিয়ে সরকার, দল ও সামাজিক মাধ্যমে যে আপত্তি উঠেছে, সেই সংগঠনের সভাপতি কবীর বিন আনোয়ার পানি-সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব।
প্রথম দিকে বরিশাল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলার পর গতকাল রোববার এক আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে করা হয়েছে দুই মামলা। যাতে ইউএনও মনিবুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি মামলাও চিন্তা বাড়িয়েছে সব মহলে।
স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, ঘটনার পরই কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে বিষয়টি এত দূর গড়াত না। আওয়ামী লীগ জোট সরকারের সাবেক এক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত। এভাবে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করা শুরু করলে তা ক্ষতি করবে ক্ষমতাসীনদেরই।
আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপর এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরিশালের ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। আমি চাই আইন অনুসারে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হোক। মেয়রের পক্ষ থেকেও যদি কোনো মামলা হয় সেটিও আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
কিন্তু গত বুধবারের ঘটনার পরদিন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি এবং ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে’—বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন বিবৃতি নিয়ে পানি ঘোলা শুরু হয়েছে। একই দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক আলোচনায় ‘দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না, যদি দলের লোকও হয়’—এমন বক্তব্য দিলে হালে পানি পান প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু তারপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও সরকারে। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের বড় একটি অংশ মাঠ প্রশাসনের কর্তৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ জানান।
আলোচনা ঘুরে যায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে শব্দ ব্যবহারের দিকে। সংগঠনের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবীর বিন আনোয়ার আর কোথাও কোনো মন্তব্য করেননি। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। তবে বরিশালের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। সরকারি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বিবৃতিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন রাজনীতিবিদেরা। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাও বিবৃতির ভাষা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে কেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল, সব বিষয়ই আমরা দেখছি। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সরকার সবকিছু দেখছে। সবাইকে তাদের এখতিয়ারের মধ্য থেকে আচরণ করতে হবে।’ বিষয়টি নিয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। দুজন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে দলের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক কথা বলবেন। তাঁরা কোনো কথা বলতে চান না।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবৃতিতে তাঁরা যে ভাষা ব্যবহার করেছে, তা খুবই আপত্তিজনক। আশা করি, জ্যেষ্ঠ নেতারা এর একটি সম্মানজনক সমাধান করবেন। এই সমাধানের মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ড।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেখানে (বরিশাল সদর ইউএনওর কার্যালয়) কিছু পোস্টার অপসারণ করতে গেলে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এটা নিরসন হয়ে যাবে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। মামলায় কেউ দোষী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
বরিশালের ঘটনা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন চটজলদি বিবৃতি দিয়েছে বলে মনে করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রকে আসামি করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না, দল বিব্রত কি না—সেই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইতিপূর্বে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হলে সেটি তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।
আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট, মাঠ প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের মাঝে যে তিক্ততা রয়েছে তা মেটেনি। এ নিয়ে দুই মাস আগে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়েছে। গত ২৮ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ‘এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মানুষ মনে করে আমরা যা দিই এগুলো দেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ...এটা একটা রাজনৈতিক সরকার। রাজনীতিবিদদের যে একটা কর্তৃত্ব বা কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’

হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি সরকারের শীর্ষ মহলের বক্তব্যে উঠে আসছে দুই দিন ধরে।
খোলা চোখে ইউএনওর বাসার পোস্টার অপসারণ নিয়ে যে সংঘর্ষের শুরু, তা যে আওয়ামী লীগের দুই নেতার (বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক) রাজনীতির মারপ্যাঁচ—গত কয়েক দিনে তা পরিষ্কার। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবৃতির ভাষা নিয়ে সরকার, দল ও সামাজিক মাধ্যমে যে আপত্তি উঠেছে, সেই সংগঠনের সভাপতি কবীর বিন আনোয়ার পানি-সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব।
প্রথম দিকে বরিশাল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলার পর গতকাল রোববার এক আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে করা হয়েছে দুই মামলা। যাতে ইউএনও মনিবুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি মামলাও চিন্তা বাড়িয়েছে সব মহলে।
স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, ঘটনার পরই কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে বিষয়টি এত দূর গড়াত না। আওয়ামী লীগ জোট সরকারের সাবেক এক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত। এভাবে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করা শুরু করলে তা ক্ষতি করবে ক্ষমতাসীনদেরই।
আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপর এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরিশালের ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। আমি চাই আইন অনুসারে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হোক। মেয়রের পক্ষ থেকেও যদি কোনো মামলা হয় সেটিও আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
কিন্তু গত বুধবারের ঘটনার পরদিন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি এবং ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে’—বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন বিবৃতি নিয়ে পানি ঘোলা শুরু হয়েছে। একই দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক আলোচনায় ‘দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না, যদি দলের লোকও হয়’—এমন বক্তব্য দিলে হালে পানি পান প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু তারপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও সরকারে। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের বড় একটি অংশ মাঠ প্রশাসনের কর্তৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ জানান।
আলোচনা ঘুরে যায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে শব্দ ব্যবহারের দিকে। সংগঠনের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবীর বিন আনোয়ার আর কোথাও কোনো মন্তব্য করেননি। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। তবে বরিশালের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। সরকারি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বিবৃতিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন রাজনীতিবিদেরা। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাও বিবৃতির ভাষা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে কেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল, সব বিষয়ই আমরা দেখছি। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সরকার সবকিছু দেখছে। সবাইকে তাদের এখতিয়ারের মধ্য থেকে আচরণ করতে হবে।’ বিষয়টি নিয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। দুজন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে দলের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক কথা বলবেন। তাঁরা কোনো কথা বলতে চান না।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবৃতিতে তাঁরা যে ভাষা ব্যবহার করেছে, তা খুবই আপত্তিজনক। আশা করি, জ্যেষ্ঠ নেতারা এর একটি সম্মানজনক সমাধান করবেন। এই সমাধানের মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ড।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেখানে (বরিশাল সদর ইউএনওর কার্যালয়) কিছু পোস্টার অপসারণ করতে গেলে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এটা নিরসন হয়ে যাবে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। মামলায় কেউ দোষী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
বরিশালের ঘটনা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন চটজলদি বিবৃতি দিয়েছে বলে মনে করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রকে আসামি করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না, দল বিব্রত কি না—সেই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইতিপূর্বে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হলে সেটি তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।
আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট, মাঠ প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের মাঝে যে তিক্ততা রয়েছে তা মেটেনি। এ নিয়ে দুই মাস আগে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়েছে। গত ২৮ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ‘এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মানুষ মনে করে আমরা যা দিই এগুলো দেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ...এটা একটা রাজনৈতিক সরকার। রাজনীতিবিদদের যে একটা কর্তৃত্ব বা কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪০ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি
২৩ আগস্ট ২০২১
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪০ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি
২৩ আগস্ট ২০২১
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি
২৩ আগস্ট ২০২১
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪০ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি
২৩ আগস্ট ২০২১
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪০ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে