Ajker Patrika

পাথরঘাটায় অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯: ৩২
পাথরঘাটায় অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

বরগুনার পাথরঘাটায় অপহরণের শিকার মাদ্রাসাছাত্র হাসিবুল ইসলামের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কাকচিড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া এলাকার বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে অপহরণ করা হয়। পরে শনিবার বিকেলে নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। 

এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল্লাহ আল নোমান ওরফে শিশু ফকিরকে (১৯) আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ছাড়া আরও ৯ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পাথরঘাটা থানার পুলিশ। 

হাসিবুল ইসলাম পাথরঘাটার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং পাথরঘাটা সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরগুনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় হাসিবুল ইসলামের বাবার নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে র‍্যাব, পুলিশ ও ডিবি অনুসন্ধান চালায়। তবে বারবার স্থান ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করায় ঘাতক নোমানকে আটক করতে বেগ পেতে হয়। তবে তাকে আটকের আগে হাসিবুল ইসলামকে খুন করার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নোমানকে আটক করা হয়। নোমানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হাসিবুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার জানান, নোমানসহ তার বাবা মহিউদ্দিন, শ্বশুর ইউনুস, স্ত্রী তাহিরা, শাশুড়ি রাহিমা, সম্বন্ধী আব্দুর রহমান, অটোরিকশাচালক আব্দুর রহমান, স্থানীয় জসিমসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নোমানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

র‍্যাব-৮ কোম্পানি কমান্ডার মেজর সোহেল আজকের পত্রিকাকে জানান, তথ্য পেয়ে অপহৃত হাসিবুল ইসলামকে জীবিত উদ্ধার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত