এসএসসির হলে খাতা না দেখানোয় পিটিয়ে জখম

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩, ১৯: ৪২

বরিশালের বাবুগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার খাতা দেখতে না দেওয়ায় মো. সিহাব আহম্মেদ নামে এক পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে অন্য বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে একজনকে আটক করে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। সিহাব আহম্মেদকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার বেলা ২টার দিকে চাঁদপাশা ইউনিয়নের বটতলা এলাকায়। সিহাব আহম্মেদ বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠী কাজল খা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসেন স্বপনের ছেলে। 

আহত পরীক্ষার্থীর পরিবার ও কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিহাব আহম্মেদ বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবুগঞ্জ পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপাশা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী মো. মুন্না শুরুর দিন থেকেই সিহাবকে তার খাতা দেখাতে চাপ দিত। আগের সব পরীক্ষায় খাতা দেখালেও গতকাল রসায়ন ও পদার্থবিদ্যার ব্যবহারিক পরীক্ষায় সহযোগিতা করেনি। এ কারণে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বটতলায় পৌঁছালে পথরোধ করে মুন্না, সোলায়মান ও মাহিনসহ আরও কয়েকজন। তারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সিহাবের হাত ভেঙে দেয়। 

আহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. ইকবাল আহমেদ স্বপন মাস্টার বলেন, ‘আমার ছেলে ও আমার বোনের ছেলে বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। বাবুগঞ্জ পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রের একই কক্ষে চাঁদপাশা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দিচ্ছে। একই কক্ষে পাশাপাশি বসায় ওরা আমার ছেলেকে খাতা দেখাতে বললে আমার ছেলে রাজি হয়নি। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বটতলায় পৌঁছালে ওরা আমার ছেলে, আমার বোন ও ভাগনেকে মারধর করে। স্থানীয়রা ধাওয়া করলে সবাই পালিয়ে গেলেও একজনকে স্থানীয়রা আটক করে রাখে। খবর পেয়ে আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ এসে এই ছেলেকে থানায় নিয়ে যায়। আমার ছেলের হাত ভেঙে গেছে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। বর্তমানে আমার ছেলে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

আহত পরীক্ষার্থী সিহাব বলে, ‘পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বটতলায় পৌঁছালে অটোভ্যান থেকে নামিয়ে আমাদের ওপর ওরা হামলা করে। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’ 

সিহাবের বাবা ইকবাল হোসেন স্বপন জানিয়েছেন, বিমানবন্দর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। 

এয়ারপোর্ট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

অভিযুক্তরা সবাই অন্য এলাকার হওয়ায় তাদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত