আল-আমিন রাজু, বরগুনা থেকে
সপরিবারে দীর্ঘদিন রাজধানীর ডেমরার শারুলিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করেছেন বরগুনা সদর উপজেলার সুমন সরদার। পেশায় অটোরিকশা চালক সুমন এবার পরিকল্পনা করলেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকবেন। পরিকল্পনা অনুসারে এক মাস আগে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলার মোল্লাপাড়ায় এসে ঘরের কাজ ধরেন সুমন। কিন্তু, এর কিছুদিন পরে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে অভিযান-১০ লঞ্চে উঠলেও তাঁদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
পরিকল্পনা ছিল—বাড়িতে ঘর তৈরি করে স্ত্রী তাসলিমা ও ছেলে মেয়েকে নিয়ে গ্রামে থাকবেন। কিন্তু, সেই পরিকল্পনা এখন শুধুই স্মৃতি। অভিযান-১০ লঞ্চে লাগা আগুনে সব শেষ করে দিয়েছে। তিন সন্তান ও স্ত্রী সবাই নিখোঁজ। তাঁদের বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছেন সুমন। এখন বরগুনা জেলার সদর হাসপাতালে এসেছেন ডিএনএ নমুনা দিতে। শেষ স্মৃতি হিসেবে যদি প্রিয় স্বজনদের মরদেহ অন্তত পাওয়া যায় এই আশায়।
স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক সুমন। ক্ষণে ক্ষণে হারাচ্ছেন কথা বলার সামর্থটুকু। সুমন সরদারের বড়ভাই সোহরাব সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমার ভাই পরিবার নিয়ে ঢাকা থাকত। সে কয়েক দিন আগে বাড়িতে এসে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু করে।
বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিমের (১৪) পরীক্ষা থাকায় আমার ভাই একা বাড়িতে এসেছে। কথা ছিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ভাইয়ের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ছেলে-মেয়েদের নিয়ে গ্রামে আসবেন। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার লঞ্চে ওঠেন সুমন সরদারের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৫), বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম (১৪), ছোট মেয়ে তানিশা আক্তার (১০), একমাত্র ছেলে জুনায়েদ সরদার (৭)।
কথা ছিল লঞ্চ বরগুনা আসার পরে তাদের নিয়ে আসবেন। কিন্তু লঞ্চ আর এল না। খবর এল স্ত্রী সন্তানকে বহনকারী বিলাসবহুল লঞ্চ অভিযান-১০ এ আগুন লেগেছে। কিন্তু পরিবারের কারও সঙ্গে আর দেখা হলো না। তারা বেঁচে আছে কি না জানেন না সুমন। তাই অন্তত শেষ স্মৃতি হিসেবে ঝলসে যাওয়া লাশের মধ্য থেকে প্রিয় জনের লাশের আশায় ডিএনের নমুনা দিতে এসেছেন।
সুমনের আক্ষেপ, সন্তান আর স্ত্রীকে শেষ বার দেখা হলো না। কী ঘটেছিল তাদের সঙ্গে তাও জানা হয়নি সুমনের। যাদের সুখের জন্য জীবনের সব অর্জন ঢেলে দিয়েছেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজেকে উজাড় করে আয় করেছেন স্ত্রী সন্তানদের মুখে হাসি ফুটাতে। সেই প্রিয় স্বজনরাই এখন শুধুই স্মৃতি। এ কতটাই মেনে নিতে পারছেন না হতভাগা সুমন সরদার। যে সন্তানদের দাবির কারণে শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে আসতে চেয়েছেন। বাড়িতে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু সেই সন্তানরা কোথায় হারিয়ে গেল। হাসপাতালে বসে এমনই আহাজারি করছিলেন সুমন।
সপরিবারে দীর্ঘদিন রাজধানীর ডেমরার শারুলিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করেছেন বরগুনা সদর উপজেলার সুমন সরদার। পেশায় অটোরিকশা চালক সুমন এবার পরিকল্পনা করলেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকবেন। পরিকল্পনা অনুসারে এক মাস আগে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলার মোল্লাপাড়ায় এসে ঘরের কাজ ধরেন সুমন। কিন্তু, এর কিছুদিন পরে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে অভিযান-১০ লঞ্চে উঠলেও তাঁদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
পরিকল্পনা ছিল—বাড়িতে ঘর তৈরি করে স্ত্রী তাসলিমা ও ছেলে মেয়েকে নিয়ে গ্রামে থাকবেন। কিন্তু, সেই পরিকল্পনা এখন শুধুই স্মৃতি। অভিযান-১০ লঞ্চে লাগা আগুনে সব শেষ করে দিয়েছে। তিন সন্তান ও স্ত্রী সবাই নিখোঁজ। তাঁদের বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছেন সুমন। এখন বরগুনা জেলার সদর হাসপাতালে এসেছেন ডিএনএ নমুনা দিতে। শেষ স্মৃতি হিসেবে যদি প্রিয় স্বজনদের মরদেহ অন্তত পাওয়া যায় এই আশায়।
স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক সুমন। ক্ষণে ক্ষণে হারাচ্ছেন কথা বলার সামর্থটুকু। সুমন সরদারের বড়ভাই সোহরাব সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমার ভাই পরিবার নিয়ে ঢাকা থাকত। সে কয়েক দিন আগে বাড়িতে এসে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু করে।
বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিমের (১৪) পরীক্ষা থাকায় আমার ভাই একা বাড়িতে এসেছে। কথা ছিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ভাইয়ের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ছেলে-মেয়েদের নিয়ে গ্রামে আসবেন। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার লঞ্চে ওঠেন সুমন সরদারের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৫), বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম (১৪), ছোট মেয়ে তানিশা আক্তার (১০), একমাত্র ছেলে জুনায়েদ সরদার (৭)।
কথা ছিল লঞ্চ বরগুনা আসার পরে তাদের নিয়ে আসবেন। কিন্তু লঞ্চ আর এল না। খবর এল স্ত্রী সন্তানকে বহনকারী বিলাসবহুল লঞ্চ অভিযান-১০ এ আগুন লেগেছে। কিন্তু পরিবারের কারও সঙ্গে আর দেখা হলো না। তারা বেঁচে আছে কি না জানেন না সুমন। তাই অন্তত শেষ স্মৃতি হিসেবে ঝলসে যাওয়া লাশের মধ্য থেকে প্রিয় জনের লাশের আশায় ডিএনের নমুনা দিতে এসেছেন।
সুমনের আক্ষেপ, সন্তান আর স্ত্রীকে শেষ বার দেখা হলো না। কী ঘটেছিল তাদের সঙ্গে তাও জানা হয়নি সুমনের। যাদের সুখের জন্য জীবনের সব অর্জন ঢেলে দিয়েছেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজেকে উজাড় করে আয় করেছেন স্ত্রী সন্তানদের মুখে হাসি ফুটাতে। সেই প্রিয় স্বজনরাই এখন শুধুই স্মৃতি। এ কতটাই মেনে নিতে পারছেন না হতভাগা সুমন সরদার। যে সন্তানদের দাবির কারণে শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে আসতে চেয়েছেন। বাড়িতে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু সেই সন্তানরা কোথায় হারিয়ে গেল। হাসপাতালে বসে এমনই আহাজারি করছিলেন সুমন।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি আলুবোঝাই ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নিশ্চিন্তা-ইটাখোলা বাইপাস সড়কের মুন্দাইল মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেকোটি টাকা লেনদেনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একটি পশুর হাট ইজারায় ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে সমঝোতার অভিযোগ উঠেছে পৌর প্রশাসন ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সমঝোতার একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ ২১ দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার জনকে। কিন্তু কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসী বা দাগি অপরাধী ধরা পড়েনি। আবার উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছুরি, রামদা, লাঠি, রডই বেশি; আগ্নেয়াস্ত্র মাত্র ৩৯টি। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে পুলিশের লুট হওয়া...
৭ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
৭ ঘণ্টা আগে