নেছারাবাদ প্রতিনিধি (পিরোজপুর)
ঢাকার বাইরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কী বেহাল দশা, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার জুতসই উদাহরণ হতে পারে। কাগজে-কলমে থাকা ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা যায় ১৯ জন। সেই ১৯ জনকে দেখভাল করার মতো চিকিৎসক নেই সেখানে। এমনকি হাসপাতালটি যিনি পরিচালনা করবেন, নেই সেই ইউএইচএ। অথচ স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতালটি এলাকার মানুষের ভরসার জায়গা হওয়ার কথা ছিল।
স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অন্য সরকারি কর্মকর্তারা যেমন বক্তব্য দেন, নেছারাবাদ হাসপাতাল নিয়েও একই বক্তব্য দিয়েছেন পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন মো. মিজানুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এসব সমস্যা নিয়ে অনেকবার ওপর মহলে লেখা হয়েছে।
কিন্তু সেই ওপর মহল আসলে কত ওপরে, তা তিনি বলতে পারেননি। গ্রামের মানুষ হয়তো কোনো দিনই জানতে পারবে না, তাদের সমস্যার সমাধান কবে হবে।
নেছারাবাদের এই হাসপাতালের জন্ম ১৯৬৫ সালে। একটি ভবনে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ৩১ শয্যা নিয়ে। ২০০৭ সালে সেটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। কিন্তু সবই হয় পরিকল্পনা ছাড়া। ৩১ শয্যার ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। কাজ চলতে থাকে ১৯ শয্যা নিয়ে। সে অবস্থা এখন অবধি চলছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেল, শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। উপজেলার আরামকাঠি থেকে আসা রোগী রেবেকা আক্তার বলেন, তাঁর শিশুসন্তান দুই দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এখানে এসে কোনো শয্যা পাননি। এখন সিঁড়ির পাশে মেঝেতে সন্তানের চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুর্গন্ধ এবং মশার উপদ্রবে সেখানে টেকা দায়।
এ হাসপাতালে চিকিৎসকের ২১টি পদ। এর মধ্যে ১৪টিতে চিকিৎসক নেই। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদে লোক নেই দুই মাস ধরে। চিকিৎসা কর্মকর্তার ১০টি পদের বিপরীতে ৬টি ফাঁকা। এ ছাড়া জুনিয়র কনসালট্যান্টের ১০টি পদের ৮টিই শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে যে দুজন আছেন, তাঁদের মধ্য গাইনি কনসালট্যান্ট সপ্তাহে আসেন মাত্র এক দিন। নাক, কান ও গলার চিকিৎসক আসেন সপ্তাহে দুই দিন।
হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ মিঠু রানী হালদার বলেন, গত মাসে (অক্টোবর) হাসপাতালে ১ হাজার ২৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ২ হাজার ১৩৪ জন ভর্তি ছিল। যার মধ্য ১ হাজার ২৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। তিনি বলেন, এখানে শয্যা ও চিকিৎসকের সংকট চরমে। এ ছাড়া হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় ও ক্লিনার কম থাকায় হাসপাতাল কিছুটা অপরিষ্কার।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শাহারুখ খান বলেন, এখানে রোগীর চাপ বেশি থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। একই কথা বলেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা (ইউএইচএ) পদে থাকা আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান মাসুদ খান। তিনি বলেন, ‘এখানে চিকিৎসক খুবই কম। এ ছাড়া কাগজে-কলমে হাসপাতালটি ৫০ শয্যার হলেও বর্তমানে ১৯ বেডে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। শয্যার চেয়ে হাসপাতালে তিন গুণ রোগী। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে সমস্যা তো হবেই।’
ঢাকার বাইরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কী বেহাল দশা, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার জুতসই উদাহরণ হতে পারে। কাগজে-কলমে থাকা ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা যায় ১৯ জন। সেই ১৯ জনকে দেখভাল করার মতো চিকিৎসক নেই সেখানে। এমনকি হাসপাতালটি যিনি পরিচালনা করবেন, নেই সেই ইউএইচএ। অথচ স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতালটি এলাকার মানুষের ভরসার জায়গা হওয়ার কথা ছিল।
স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অন্য সরকারি কর্মকর্তারা যেমন বক্তব্য দেন, নেছারাবাদ হাসপাতাল নিয়েও একই বক্তব্য দিয়েছেন পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন মো. মিজানুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এসব সমস্যা নিয়ে অনেকবার ওপর মহলে লেখা হয়েছে।
কিন্তু সেই ওপর মহল আসলে কত ওপরে, তা তিনি বলতে পারেননি। গ্রামের মানুষ হয়তো কোনো দিনই জানতে পারবে না, তাদের সমস্যার সমাধান কবে হবে।
নেছারাবাদের এই হাসপাতালের জন্ম ১৯৬৫ সালে। একটি ভবনে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ৩১ শয্যা নিয়ে। ২০০৭ সালে সেটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। কিন্তু সবই হয় পরিকল্পনা ছাড়া। ৩১ শয্যার ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। কাজ চলতে থাকে ১৯ শয্যা নিয়ে। সে অবস্থা এখন অবধি চলছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেল, শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। উপজেলার আরামকাঠি থেকে আসা রোগী রেবেকা আক্তার বলেন, তাঁর শিশুসন্তান দুই দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এখানে এসে কোনো শয্যা পাননি। এখন সিঁড়ির পাশে মেঝেতে সন্তানের চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুর্গন্ধ এবং মশার উপদ্রবে সেখানে টেকা দায়।
এ হাসপাতালে চিকিৎসকের ২১টি পদ। এর মধ্যে ১৪টিতে চিকিৎসক নেই। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদে লোক নেই দুই মাস ধরে। চিকিৎসা কর্মকর্তার ১০টি পদের বিপরীতে ৬টি ফাঁকা। এ ছাড়া জুনিয়র কনসালট্যান্টের ১০টি পদের ৮টিই শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে যে দুজন আছেন, তাঁদের মধ্য গাইনি কনসালট্যান্ট সপ্তাহে আসেন মাত্র এক দিন। নাক, কান ও গলার চিকিৎসক আসেন সপ্তাহে দুই দিন।
হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ মিঠু রানী হালদার বলেন, গত মাসে (অক্টোবর) হাসপাতালে ১ হাজার ২৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ২ হাজার ১৩৪ জন ভর্তি ছিল। যার মধ্য ১ হাজার ২৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। তিনি বলেন, এখানে শয্যা ও চিকিৎসকের সংকট চরমে। এ ছাড়া হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় ও ক্লিনার কম থাকায় হাসপাতাল কিছুটা অপরিষ্কার।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শাহারুখ খান বলেন, এখানে রোগীর চাপ বেশি থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। একই কথা বলেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা (ইউএইচএ) পদে থাকা আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান মাসুদ খান। তিনি বলেন, ‘এখানে চিকিৎসক খুবই কম। এ ছাড়া কাগজে-কলমে হাসপাতালটি ৫০ শয্যার হলেও বর্তমানে ১৯ বেডে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। শয্যার চেয়ে হাসপাতালে তিন গুণ রোগী। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে সমস্যা তো হবেই।’
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একটি কলেজের অধ্যক্ষ তিন মাস পর কর্মস্থলে যোগদান করা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।
২৮ মিনিট আগে৫ আগস্টের আগে বেসরকারি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ। তিনি এখন ঋণখেলাপির তালিকায়। হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া রেখে পরিবার-পরিজন রেখে তিনি বিদেশে আত্মগোপনে আছেন। এসব বকেয়া পরিশোধের দাবিতে চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এস আলমে
৪২ মিনিট আগেকক্সবাজারের রামুতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাঁচটি অস্ত্রী, ১১ রাউন্ড তাজা গুলি, ২৪ রাউন্ড গুলির খোসা ও তিনটি অস্ত্রের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি জুঁই আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের হুজরাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধনে জুঁই আক্তার অংশ নেওয়ায় চলমান আলোচনার মধ্যে এই গ্র
১ ঘণ্টা আগে