Ajker Patrika

হাতির আক্রমণে নিহত

শিশুর লাশ নিয়ে ৬ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
বন্য হাতি না সরানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পিএবি সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বন্য হাতি না সরানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পিএবি সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গভীর রাতে বাড়িতে হানা দেয় বন্য হাতি। প্রাণে বাঁচতে ঘর ছেড়ে ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে দৌড় দেন মা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাতিটির শুঁড়ের আঘাতে প্রাণ হারায় ৭ মাসের শিশুটি। মা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাতির এই আক্রমণ হয়। এ ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে শিশুটির লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী। তাঁরা আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ওই ইউনিয়নের দৌলতপুরে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) গেট এলাকায় পেকুয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়কে অবস্থান নেন। তাঁরা কেইপিজেড এলাকা থেকে বন্য হাতিটি সরানোর দাবি জানান। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলা অবরোধের কারণে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

নিহত শিশু মো. আরমান জাওয়াদ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে। হাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির মা খতিজা বেগম (৩৭)। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল আজিজ জানান, শুক্রবার রাতে একটি বন্য হাতি ইব্রাহীমের টিনের ঘরে ভাঙচুর শুরু করলে তাঁর স্ত্রী খতিজা ঘুমন্ত শিশু জাওয়াদকে নিয়ে ঘর থেকে বের হন। তখন হাতিটির শুঁড়ের আঘাতে প্রাণ হারায় শিশুটি। কয়েক বছর ধরে কেইপিজেডের পাহাড়ে হাতির দল অবস্থান করলেও তা সরানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন বা কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘কেইপিজেডে অবস্থানরত হাতির দলটি প্রতি রাতে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার বিশেষ করে চারটি ইউনিয়নের লোকালয়ে হানা দেয়। এ পর্যন্ত দুই উপজেলার নারী, শিশুসহ ১৮ জন হাতির আক্রমণে মারা গেছে। হাতিগুলো এখান থেকে সরিয়ে নিতে আমরা প্রশাসন ও বন বিভাগে একাধিকবার স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আবার এক শিশুকে আমরা হারালাম।’

বন্য হাতি না সরানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পিএবি সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বন্য হাতি না সরানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পিএবি সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে কেইপিজেডের ভেতরে নিরাপত্তার জন্য গত বছরের অক্টোবর থেকে ১৫ জন ইআরটি (এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম) সদস্য কাজ করছিলেন। তবে ৮ মার্চ থেকে তাঁদের বাদ দিয়েছে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ। জানুয়ারি থেকে তাঁদের বেতনও বকেয়া রয়েছে।

বাঁশখালীর জলদি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেইপিজেড পাহাড়ে ইআরটির ১৫ সদস্য দায়িত্ব পালন করতেন। গত জানুয়ারি থেকে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ তাঁদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, হাতির জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের বন বিভাগের ৫০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইআরটি সদস্য কাজ করছেন প্রতিনিয়ত। শুক্রবার রাতের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়েছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

এ নিয়ে কথা হলে কেইপিজেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ভেতরে নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সে জন্য বন বিভাগের ১৫ ইআরটি সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তাঁদের ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বেতন দিয়েছি।’

যোগাযোগ করা হলে কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা বলেন, ‘হাতি অপসারণ ও ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রেললাইনের পাশে সেরেস্তাদারের ঝুলন্ত লাশ

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীর ফতেহপুর রেললাইনের পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় এনামুল হক (৫০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেলক্রসিং-সংলগ্ন ঝোপ থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

এনামুল হক ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নগরকান্দা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। পরিবার নিয়ে তিনি পৌরসভার বারাহীপুর এলাকার মোমেনা ম্যানশনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি ফেনী আদালতে সেরেস্তাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেললাইনের পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।  

নিহত এনামুলের স্বজনেরা জানান, সকাল ৭টার দিকে আদালতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এনামুল হক বাসা থেকে বের হন। দুপুরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বজনেরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম বলেন, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুবশক্তির তিন নেতাকে হত্যার হুমকি, সোনারগাঁ থানায় জিডি

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।

জিডিতে জাহিদুল হক উল্লেখ করেন, গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে

তাঁর উদ্দেশে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে তাঁর সঙ্গে জাতীয় যুবশক্তি নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক খাঁন সিয়ামের ছবি ব্যবহার করে গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল—‘লিস্টে রাখলাম হঠাৎ করেই সোনারগাঁবাসী দেখবে লাশ’।

মো. জাহিদুল হক জানান, পোস্টটিতে তাঁকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং জীবন নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সাবেক মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, ‘এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জিডি করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত রয়েছি।’

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিববুল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় জিডি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক আইডিটি শনাক্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মুন্দখৈর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাহাবুল ইসলাম মুন্দখৈর এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একই এলাকার সালামের দুটি ছাগল সাহাবুল ইসলামের গমের খেতে ঢুকে চারা নষ্ট করে। এ নিয়ে সাহাবুল ছাগল দুটিকে খোঁয়াড়ে দিলে সালামসহ কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে বিষয়টি নিয়ে সাহাবুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয় এবং বিষয়টি থানায় বসে মীমাংসার কথা বলে। তবে পুলিশ চলে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে সালামসহ অন্যরা হাঁসুয়া, চাকু, রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সাহাবুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহাবুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পারুল আক্তার ও তাঁদের ছেলেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত সালাম ও তাঁর ছেলে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত