নোয়াখালী প্রতিনিধি
টানা বর্ষণে নোয়াখালী পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নিমজ্জিতসহ বাসাবাড়ি, দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
সরেজমিন আজ শুক্রবার ভোর থেকে নোয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নোয়াখালী পৌর শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত) মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। এতে পৌর শহরের প্রধান সড়কের একটি অংশ ছাড়া সবগুলো সড়ক ও এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চলেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। পানি ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। ভেসে গেছে কয়েকটি মাছের ঘের।
এদিকে, নোয়াখালী পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের সব কয়টি সড়ক ও পাড়া মহল্লার রাস্তাগুলো দেড় থেকে আড়াই ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। প্রধান সড়ক ও তার পার্শ্ববর্তী সবগুলো সড়কের পাশে থাকা দোকানগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। বহুতল ভবনগুলোর নিচ তলার বাসাগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় রান্না-বান্না ব্যাহত হচ্ছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে এবং পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া শহরবাসীর এ দুর্ভোগ বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে।
আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন দপ্তর সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচের কক্ষ, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা আবহাওয়া অফিস, জেলা মৎস্য অফিস, প্রেসক্লাব, রেডক্রিসেন্ট, বিআরডিবি, বিদ্যুৎ অফিস, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কক্ষ, শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, বন বিভাগের বাংলো, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, মাইজদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বেসরকারি অনেক অফিসে।
এদিকে জেলার প্রধান সড়কের একটি অংশসহ টাউন হল মোড়, ইসলামিয়া সড়ক, ডিসি সড়ক, মহিলা কলেজ সড়ক, জেল খানা সড়ক, মাইজদী বাজার সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক এখন কয়েক ফুট পানির নিচে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে বের হওয়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী কয়েক হাজার মানুষ।
এ বিষয়ে কথা হয় পথচারী আলমগীর হোসনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নোয়াখালী পৌরসভা দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোর মধ্যে একটি। তবে দীর্ঘ বছরে এ শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা আজাদুল ইসলাম বলেন, কালে ভাদ্রে কয়েকটি ড্রেনের কাজ করা হলেও সেগুলো নিম্নমানের। হালকা বৃষ্টি হলেও এসব ড্রেন দিয়ে পানি নামতে অনেক সময় লাগে। এ ছাড়া পৌর কর্তৃপক্ষ এ ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করে না। এছাড়া কোনো প্রকার তদারকি না করার কারণে বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পৌরবাসীকে। চলতি বর্ষা মৌসুমে দ্বিতীয় দফায় জলাবদ্ধতার কারণে ড্রেনগুলো থেকে ময়লা পানি বের হয়ে পড়েছে, এতে মানুষের শরীরের বিভিন্ন চর্ম রোগের দেখা দিচ্ছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২ পর্যন্ত ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা নোয়াখালীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। ভারী বর্ষণের ফলে আমার অফিস ও সড়ক ডুবেছে। আমিও জলাবদ্ধতায় আটকে আছি।’
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, ‘সকাল থেকে আমি জলাবদ্ধ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। শহর থেকে পানি ড্রেনে যাচ্ছে, আর ড্রেন থেকে পানিগুলো নোয়াখালী খালে যেতে বাধা পাচ্ছে বলে পরিলক্ষিত করেছি। যার প্রধান কারণ শহরের খালগুলো অবৈধভাবে দখল করে কিছু অসাধু লোক স্থাপনা নির্মাণ করেছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বসে এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। এ ছাড়া মাস্টার প্ল্যানে আমাদের একটি প্রকল্প আছে যেটা বর্ষা পরবর্তী কাজ শুরু করা হবে।’
টানা বর্ষণে নোয়াখালী পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নিমজ্জিতসহ বাসাবাড়ি, দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
সরেজমিন আজ শুক্রবার ভোর থেকে নোয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নোয়াখালী পৌর শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত) মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। এতে পৌর শহরের প্রধান সড়কের একটি অংশ ছাড়া সবগুলো সড়ক ও এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চলেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। পানি ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। ভেসে গেছে কয়েকটি মাছের ঘের।
এদিকে, নোয়াখালী পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের সব কয়টি সড়ক ও পাড়া মহল্লার রাস্তাগুলো দেড় থেকে আড়াই ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। প্রধান সড়ক ও তার পার্শ্ববর্তী সবগুলো সড়কের পাশে থাকা দোকানগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। বহুতল ভবনগুলোর নিচ তলার বাসাগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় রান্না-বান্না ব্যাহত হচ্ছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে এবং পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া শহরবাসীর এ দুর্ভোগ বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে।
আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন দপ্তর সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচের কক্ষ, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা আবহাওয়া অফিস, জেলা মৎস্য অফিস, প্রেসক্লাব, রেডক্রিসেন্ট, বিআরডিবি, বিদ্যুৎ অফিস, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কক্ষ, শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, বন বিভাগের বাংলো, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, মাইজদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বেসরকারি অনেক অফিসে।
এদিকে জেলার প্রধান সড়কের একটি অংশসহ টাউন হল মোড়, ইসলামিয়া সড়ক, ডিসি সড়ক, মহিলা কলেজ সড়ক, জেল খানা সড়ক, মাইজদী বাজার সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক এখন কয়েক ফুট পানির নিচে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে বের হওয়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী কয়েক হাজার মানুষ।
এ বিষয়ে কথা হয় পথচারী আলমগীর হোসনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নোয়াখালী পৌরসভা দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোর মধ্যে একটি। তবে দীর্ঘ বছরে এ শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা আজাদুল ইসলাম বলেন, কালে ভাদ্রে কয়েকটি ড্রেনের কাজ করা হলেও সেগুলো নিম্নমানের। হালকা বৃষ্টি হলেও এসব ড্রেন দিয়ে পানি নামতে অনেক সময় লাগে। এ ছাড়া পৌর কর্তৃপক্ষ এ ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করে না। এছাড়া কোনো প্রকার তদারকি না করার কারণে বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পৌরবাসীকে। চলতি বর্ষা মৌসুমে দ্বিতীয় দফায় জলাবদ্ধতার কারণে ড্রেনগুলো থেকে ময়লা পানি বের হয়ে পড়েছে, এতে মানুষের শরীরের বিভিন্ন চর্ম রোগের দেখা দিচ্ছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২ পর্যন্ত ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা নোয়াখালীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। ভারী বর্ষণের ফলে আমার অফিস ও সড়ক ডুবেছে। আমিও জলাবদ্ধতায় আটকে আছি।’
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, ‘সকাল থেকে আমি জলাবদ্ধ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। শহর থেকে পানি ড্রেনে যাচ্ছে, আর ড্রেন থেকে পানিগুলো নোয়াখালী খালে যেতে বাধা পাচ্ছে বলে পরিলক্ষিত করেছি। যার প্রধান কারণ শহরের খালগুলো অবৈধভাবে দখল করে কিছু অসাধু লোক স্থাপনা নির্মাণ করেছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বসে এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। এ ছাড়া মাস্টার প্ল্যানে আমাদের একটি প্রকল্প আছে যেটা বর্ষা পরবর্তী কাজ শুরু করা হবে।’
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মাদকের টাকার জন্য মাকে মারধর করায় শাহজাহান মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শাহজাহানের মা সাজেদা খাতুন ছেলেকে থানায় সোপর্দ করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
১৭ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
২ ঘণ্টা আগে