স্কুল-কলেজ খোলায় সুদিন ফিরেছে ব্যবসায়ীদের

প্রতিনিধি, আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৬
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ০৩

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলেছে স্কুল-কলেজ। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলার লাইব্রেরি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। চলতি মাসের ১২ তারিখে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ায় আলোর মুখ দেখছেন তাঁরা। কসমেটিকস সামগ্রী বিক্রেতাদের বিক্রি বেড়েছে আগের চেয়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। 

উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে থাকা লাইব্রেরি ও কসমেটিকের দোকানে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা খাতা, কলম, বইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে থাকা খাবারের হোটেলগুলোতেও বিক্রি বেড়েছে। 

উপজেলার ফিরোজ মিয়া কলেজ ক্যান্টিনের পরিচালক মনির হোসেন বলেন, 'কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় সারা দিন ক্যান্টিন খোলা রেখে বিক্রি করতে পারতাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কলেজ খুলে দেওয়ার পর থেকে প্রতিদিন তিন-সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারছি।' 

কামাউড়া তিন্নি আনোয়ারা মহিলা কলেজের পাশে কসমেটিকস ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, 'আমার দোকান এই কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রথম থেকেই। তবে দীর্ঘদিন কলেজ বন্ধ থাকায় আমি কিছুদিন সিএনজি অটোরিকশা চালিয়েছিলাম। গত ১২ তারিখ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার পর আমি আবারও দোকান খোলা রাখছি। বিক্রি আগের মতো না হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে।'

লালপুর এস কে দাস উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ভ্রাম্যমাণ ঝালমুড়ি বিক্রেতা মহসিন মিয়া জানিয়েছেন, তিনি এক দিনে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারছেন। 

কলেজছাত্র সামিউল হোসেন বলেন, 'দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বইখাতা, কাগজ-কলম কেনা হয়নি। গত ১২ তারিখে সব কলেজ খুললেও আমি এলাকায় না থাকায় আজকে এসে আমার প্রয়োজনীয় বই-খাতা, কাগজ-কলম সবকিছুই কিনে নিয়ে যাচ্ছি।' 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত