জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেলযাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, এই রুটের ৪০টি স্টেশন বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। সে কারণে স্টেশনগুলোর লুপ লাইন, সিগন্যাল সিস্টেম অকেজো হয়ে গেছে। এতে ট্রেন আর আগের গতিতে চলতে পারছে না।
রেলসূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দিনে দ্রুতগতির ১০টি আন্তনগরসহ মোট ১৫টি ট্রেন চলাচল করে, যাতে বসে ভ্রমণের সুযোগ (সিট) আছে ২১ হাজার যাত্রীর। কিন্তু বাস্তবে ভ্রমণ করছেন ২৫ হাজারের বেশি। ঈদ কিংবা দীর্ঘ সরকারি ছুটির সময় যাত্রীসংখ্যা ৩০-৩৫ হাজার হয় বলে জানান রেল কর্মকর্তারা। রেলের এই রুটকে দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ বিবেচনা করা হয়। এ কারণে দেশের সর্বোচ্চ গতির ট্রেনও চলে এই পথে।
কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সর্বোচ্চ গতির আন্তনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলার মতো ট্রেন এখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সব স্টেশন চালু থাকলে এসব ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারত। অন্য ট্রেনগুলো সময় নিচ্ছে ছয় থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টা, যা বন্ধ স্টেশনের কারণে অন্তত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বেশি সময় নিচ্ছে।
ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার) ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতের বেলায় বন্ধ স্টেশনগুলো পার হওয়ার সময় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। এসব স্টেশন ঘিরে দুর্বৃত্তদের আনাগোনা থাকে, লাইনের ওপর তারা যেকোনো ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে। তাই আমরা বন্ধ স্টেশনে ট্রেনের গতি কমিয়ে দিই।’
একাধিক ট্রেনচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চালু স্টেশনের ক্ষেত্রে মেইন লাইন অথবা লুপ লাইনের কোনটিতে ট্রেন যাবে, সেটা দেখেশুনে আগেই ঠিক করে রাখেন স্টেশনমাস্টার এবং অন্যরা। কিন্তু বন্ধ স্টেশনের ক্ষেত্রে লাইনে কোনো পাহারা থাকে না। ফলে দুর্বৃত্তরা মেইন লাইনের ট্রেনকে লুপ লাইনে চলাচলের মতো পরিস্থিতিও সৃষ্টি করতে পারে।
রেল পরিবহন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলছে গড়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭২ কিলোমিটার গতিতে। কিন্তু বন্ধ স্টেশন অতিক্রমের আগেই এই গতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের নিচে নামিয়ে আনতে হয়।
রেল পরিচালনার নিয়ম সাধারণ ও আনুষঙ্গিক (জিসি) অনুযায়ী, বন্ধ স্টেশনে পার হওয়ার সময় ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটারে রাখতে হয়।
রেল পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা শাহেব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, খাতাকলমে প্রতি বন্ধ স্টেশনের জন্য ট্রেনের ৩ মিনিট বেশি সময় লাগছে। তবে বাস্তবে, প্রতিটি বন্ধ স্টেশনের কারণে ট্রেনের বেশি সময় লাগে ৫ মিনিট। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের বেশি লাগছে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময়।
রেল কর্মকর্তাদের মতে, একটি স্টেশন চালু রাখতে হলে একজন প্রধান মাস্টার, দুজন সহকারী মাস্টার ও তিনজন পয়েন্টম্যানের দরকার হয়। সে হিসেবে ১২০ জন স্টেশনমাস্টার ও ১২০ জন পয়েন্টম্যান থাকলেই বন্ধ ৪০ স্টেশন চালু করা যায়।
জানা যায়, বন্ধ ৪০ স্টেশনের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ২৬টি ও চট্টগ্রামে ১৪টি রয়েছে। ঢাকার উল্লেখযোগ্য বন্ধ স্টেশনগুলো হলো আশুগঞ্জ, শ্রীনিধি, কালিকাপ্রসাদ, নীলগঞ্জ, লস্করপুর, পূর্বধলা, মেলান্দহ বাজার, বাউসী, জামালপুর কোর্ট ও হেমনগর স্টেশন। চট্টগ্রামের বন্ধ স্টেশনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাড়বকুণ্ড, বারৈয়াঢালা, মিরসরাই, মাস্তাননগর, মুহুরীগঞ্জ, দৌলতগঞ্জ, কালীদহ, শর্শদী, আলিশহর ও ময়নামতি। ১২৬ বছরের পুরোনো চট্টগ্রামের বারৈয়াঢালা রেলস্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয় ২০০০ সালের ৪ মার্চ। প্রায় সমসাময়িক বাড়বকুণ্ড স্টেশনটিও বন্ধ হয় এক যুগ আগে ২০০৯ সালের ২৭ আগস্ট। আর মিরসরাই স্টেশনটি বন্ধ হয় ২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি।
পরিবহন বিভাগ জানায়, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত মাঠপর্যায়ের অর্ধেক পদই খালি পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এতে স্বাভাবিক ট্রেন পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে কমে যাচ্ছে রেলের আয়। ঠিক সময়ে স্টেশনে ট্রেন না পৌঁছানোয় ভোগান্তি হচ্ছে যাত্রীদের।
পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রেলওয়েতে দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় চলমান রয়েছে। কর্মী সংকট কেটে গেলে বন্ধ সব স্টেশন পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেলযাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, এই রুটের ৪০টি স্টেশন বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। সে কারণে স্টেশনগুলোর লুপ লাইন, সিগন্যাল সিস্টেম অকেজো হয়ে গেছে। এতে ট্রেন আর আগের গতিতে চলতে পারছে না।
রেলসূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দিনে দ্রুতগতির ১০টি আন্তনগরসহ মোট ১৫টি ট্রেন চলাচল করে, যাতে বসে ভ্রমণের সুযোগ (সিট) আছে ২১ হাজার যাত্রীর। কিন্তু বাস্তবে ভ্রমণ করছেন ২৫ হাজারের বেশি। ঈদ কিংবা দীর্ঘ সরকারি ছুটির সময় যাত্রীসংখ্যা ৩০-৩৫ হাজার হয় বলে জানান রেল কর্মকর্তারা। রেলের এই রুটকে দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ বিবেচনা করা হয়। এ কারণে দেশের সর্বোচ্চ গতির ট্রেনও চলে এই পথে।
কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সর্বোচ্চ গতির আন্তনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলার মতো ট্রেন এখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সব স্টেশন চালু থাকলে এসব ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারত। অন্য ট্রেনগুলো সময় নিচ্ছে ছয় থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টা, যা বন্ধ স্টেশনের কারণে অন্তত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বেশি সময় নিচ্ছে।
ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার) ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতের বেলায় বন্ধ স্টেশনগুলো পার হওয়ার সময় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। এসব স্টেশন ঘিরে দুর্বৃত্তদের আনাগোনা থাকে, লাইনের ওপর তারা যেকোনো ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে। তাই আমরা বন্ধ স্টেশনে ট্রেনের গতি কমিয়ে দিই।’
একাধিক ট্রেনচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চালু স্টেশনের ক্ষেত্রে মেইন লাইন অথবা লুপ লাইনের কোনটিতে ট্রেন যাবে, সেটা দেখেশুনে আগেই ঠিক করে রাখেন স্টেশনমাস্টার এবং অন্যরা। কিন্তু বন্ধ স্টেশনের ক্ষেত্রে লাইনে কোনো পাহারা থাকে না। ফলে দুর্বৃত্তরা মেইন লাইনের ট্রেনকে লুপ লাইনে চলাচলের মতো পরিস্থিতিও সৃষ্টি করতে পারে।
রেল পরিবহন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলছে গড়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭২ কিলোমিটার গতিতে। কিন্তু বন্ধ স্টেশন অতিক্রমের আগেই এই গতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের নিচে নামিয়ে আনতে হয়।
রেল পরিচালনার নিয়ম সাধারণ ও আনুষঙ্গিক (জিসি) অনুযায়ী, বন্ধ স্টেশনে পার হওয়ার সময় ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটারে রাখতে হয়।
রেল পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা শাহেব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, খাতাকলমে প্রতি বন্ধ স্টেশনের জন্য ট্রেনের ৩ মিনিট বেশি সময় লাগছে। তবে বাস্তবে, প্রতিটি বন্ধ স্টেশনের কারণে ট্রেনের বেশি সময় লাগে ৫ মিনিট। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের বেশি লাগছে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময়।
রেল কর্মকর্তাদের মতে, একটি স্টেশন চালু রাখতে হলে একজন প্রধান মাস্টার, দুজন সহকারী মাস্টার ও তিনজন পয়েন্টম্যানের দরকার হয়। সে হিসেবে ১২০ জন স্টেশনমাস্টার ও ১২০ জন পয়েন্টম্যান থাকলেই বন্ধ ৪০ স্টেশন চালু করা যায়।
জানা যায়, বন্ধ ৪০ স্টেশনের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ২৬টি ও চট্টগ্রামে ১৪টি রয়েছে। ঢাকার উল্লেখযোগ্য বন্ধ স্টেশনগুলো হলো আশুগঞ্জ, শ্রীনিধি, কালিকাপ্রসাদ, নীলগঞ্জ, লস্করপুর, পূর্বধলা, মেলান্দহ বাজার, বাউসী, জামালপুর কোর্ট ও হেমনগর স্টেশন। চট্টগ্রামের বন্ধ স্টেশনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাড়বকুণ্ড, বারৈয়াঢালা, মিরসরাই, মাস্তাননগর, মুহুরীগঞ্জ, দৌলতগঞ্জ, কালীদহ, শর্শদী, আলিশহর ও ময়নামতি। ১২৬ বছরের পুরোনো চট্টগ্রামের বারৈয়াঢালা রেলস্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয় ২০০০ সালের ৪ মার্চ। প্রায় সমসাময়িক বাড়বকুণ্ড স্টেশনটিও বন্ধ হয় এক যুগ আগে ২০০৯ সালের ২৭ আগস্ট। আর মিরসরাই স্টেশনটি বন্ধ হয় ২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি।
পরিবহন বিভাগ জানায়, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত মাঠপর্যায়ের অর্ধেক পদই খালি পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এতে স্বাভাবিক ট্রেন পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে কমে যাচ্ছে রেলের আয়। ঠিক সময়ে স্টেশনে ট্রেন না পৌঁছানোয় ভোগান্তি হচ্ছে যাত্রীদের।
পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রেলওয়েতে দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় চলমান রয়েছে। কর্মী সংকট কেটে গেলে বন্ধ সব স্টেশন পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মামলায় অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ও অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহর পুকুরের পানিতে ডুবে দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বরে এ ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেবরিশালের সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাঁটাই হওয়া শ্রমিক লতিফা বেগম।
১০ মিনিট আগেপঞ্চগড়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. সলেমান আলী (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক এস এম রেজাউল বারী এ রায় ঘোষণা করেন।
১৭ মিনিট আগে