মো. আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে কাজের গতি বাড়াতে ২২ বছরের জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌদি আরবের ‘রাজকীয়’ অপারেটর রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালকে (আরএসজিটিআই)। কিন্তু নিয়োগের চার মাসের মাথায় ‘রাজকীয়’ এই বিদেশি অপারেটরের ‘গরিবি হাল’ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।
রাজকীয় কোম্পানি হিসেবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম ব্যবহার করে টার্মিনালটিতে অপারেশনাল কার্যক্রম চালানোর কথা থাকলেও এ জন্য তেমন বড় বিনিয়োগও নেই তাদের। হ্যান্ডলিং সরঞ্জামের অভাবে টার্মিনালটির সক্ষমতার ৮ শতাংশের কম ব্যবহার করতে পেরেছে রেড সি গেটওয়ে। শুধু তা-ই নয়, টার্মিনালটিতে এখনো আমদানি পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। শুধু রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয় সেখানে।
চলতি বছরের ১১ জুন পিসিটি পরিচালনার জন্য আরএসজিটিআইকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা উন্নত প্রযুক্তির সরঞ্জাম ব্যবহার করে টার্মিনালটি পরিচালনা করবে এমন প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু স্ক্যানার, গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় প্রত্যাশিত কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে পারছে না বিদেশি অপারেটরটি।
তথ্যমতে, পতেঙ্গা টার্মিনালের দৈনিক ১ হাজার ৩৬৯ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা আছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে দৈনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে গড়ে মাত্র ১৭৮ টিইইউ। চলতি বছরে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে মোট ১৮টি জাহাজের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয় বিদেশি অপারেটর দ্বারা পরিচালিত দেশের একমাত্র টার্মিনালটিতে। এর মধ্যে জুন মাসে ৩ হাজার ৭৩৭, জুলাই মাসে ৪ হাজার ৭৩, আগস্ট মাসে ৭ হাজার ৫৯৮ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার ৯৬৩ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়।
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের এ টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বছরে পাঁচ লাখ টিইইউ। বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে বিপুল অর্থ খরচ করে তৈরি করা এই টার্মিনালের সক্ষমতার বড় অংশ অলস বসে রাখার ফলে হাজার কোটি টাকা রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ব্যবস্থার অধীনে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আরএসজিটিআইয়ের সঙ্গে ‘ইকুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেইন’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার অনেক আগেই বন্দর কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকর্তা এমন চুক্তির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তারপরও প্রভাবশালী মহলের চাপেই তড়িঘড়ি করে আরএসজিটিআইকে বিদেশি অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০২২ সালের জুলাই মাসে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরপরই সিপিএ পতেঙ্গা টার্মিনালের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে বছরের নভেম্বরে মিয়ানমার থেকে চালবোঝাই জাহাজের বার্থিং এবং পরের বছর জানুয়ারিতে আরেকটি জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে সফল ট্রায়াল অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়। এটি দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালটির নিজস্ব পরিচালনার সক্ষমতার প্রমাণ দেয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা যায়, বন্দর কর্তৃপক্ষ টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য প্রায় ৪৬০ কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনতে হতো, যা টার্মিনালের এক বছরের আয় থেকেই ফেরত পাওয়া যেত। কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পতেঙ্গা টার্মিনালের জন্য একটি বিদেশি অপারেটর নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টার্মিনালের কার্যক্রম ২২ বছরের জন্য আরএসজিটিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পতেঙ্গা টার্মিনাল পরিচালনার জন্য আরএসজিটিআই ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, এমন কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই অর্থ বিনিয়োগ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বন্দরের চিফ অডিট অফিসার কাজী মিরাজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন।
বন্দরের চিফ অডিট অফিসার কাজী মিরাজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সৌদি কোম্পানি যত কনটেইনারই হ্যান্ডলিং করুক না কেন, সিপিএ কমপক্ষে আড়াই লাখ টিইইউর ভিত্তিতে ট্যারিফ পাবে। তিনি দাবি করেন, পিসিটি থেকে গত তিন মাসে বন্দর তিন লাখ ডলার পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর আর কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই আগামী ২২ বছর ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জনের আশা করছে। তিনি আরও বলেন, তা ছাড়া সৌদি আরব ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কাজের গতি বাড়াতে ২২ বছরের জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌদি আরবের ‘রাজকীয়’ অপারেটর রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালকে (আরএসজিটিআই)। কিন্তু নিয়োগের চার মাসের মাথায় ‘রাজকীয়’ এই বিদেশি অপারেটরের ‘গরিবি হাল’ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।
রাজকীয় কোম্পানি হিসেবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম ব্যবহার করে টার্মিনালটিতে অপারেশনাল কার্যক্রম চালানোর কথা থাকলেও এ জন্য তেমন বড় বিনিয়োগও নেই তাদের। হ্যান্ডলিং সরঞ্জামের অভাবে টার্মিনালটির সক্ষমতার ৮ শতাংশের কম ব্যবহার করতে পেরেছে রেড সি গেটওয়ে। শুধু তা-ই নয়, টার্মিনালটিতে এখনো আমদানি পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। শুধু রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয় সেখানে।
চলতি বছরের ১১ জুন পিসিটি পরিচালনার জন্য আরএসজিটিআইকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা উন্নত প্রযুক্তির সরঞ্জাম ব্যবহার করে টার্মিনালটি পরিচালনা করবে এমন প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু স্ক্যানার, গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় প্রত্যাশিত কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে পারছে না বিদেশি অপারেটরটি।
তথ্যমতে, পতেঙ্গা টার্মিনালের দৈনিক ১ হাজার ৩৬৯ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা আছে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে দৈনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে গড়ে মাত্র ১৭৮ টিইইউ। চলতি বছরে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে মোট ১৮টি জাহাজের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয় বিদেশি অপারেটর দ্বারা পরিচালিত দেশের একমাত্র টার্মিনালটিতে। এর মধ্যে জুন মাসে ৩ হাজার ৭৩৭, জুলাই মাসে ৪ হাজার ৭৩, আগস্ট মাসে ৭ হাজার ৫৯৮ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার ৯৬৩ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়।
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের এ টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বছরে পাঁচ লাখ টিইইউ। বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে বিপুল অর্থ খরচ করে তৈরি করা এই টার্মিনালের সক্ষমতার বড় অংশ অলস বসে রাখার ফলে হাজার কোটি টাকা রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ব্যবস্থার অধীনে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আরএসজিটিআইয়ের সঙ্গে ‘ইকুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেইন’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার অনেক আগেই বন্দর কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকর্তা এমন চুক্তির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তারপরও প্রভাবশালী মহলের চাপেই তড়িঘড়ি করে আরএসজিটিআইকে বিদেশি অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০২২ সালের জুলাই মাসে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরপরই সিপিএ পতেঙ্গা টার্মিনালের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে বছরের নভেম্বরে মিয়ানমার থেকে চালবোঝাই জাহাজের বার্থিং এবং পরের বছর জানুয়ারিতে আরেকটি জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে সফল ট্রায়াল অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়। এটি দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালটির নিজস্ব পরিচালনার সক্ষমতার প্রমাণ দেয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা যায়, বন্দর কর্তৃপক্ষ টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য প্রায় ৪৬০ কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনতে হতো, যা টার্মিনালের এক বছরের আয় থেকেই ফেরত পাওয়া যেত। কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পতেঙ্গা টার্মিনালের জন্য একটি বিদেশি অপারেটর নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টার্মিনালের কার্যক্রম ২২ বছরের জন্য আরএসজিটিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পতেঙ্গা টার্মিনাল পরিচালনার জন্য আরএসজিটিআই ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, এমন কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই অর্থ বিনিয়োগ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বন্দরের চিফ অডিট অফিসার কাজী মিরাজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন।
বন্দরের চিফ অডিট অফিসার কাজী মিরাজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সৌদি কোম্পানি যত কনটেইনারই হ্যান্ডলিং করুক না কেন, সিপিএ কমপক্ষে আড়াই লাখ টিইইউর ভিত্তিতে ট্যারিফ পাবে। তিনি দাবি করেন, পিসিটি থেকে গত তিন মাসে বন্দর তিন লাখ ডলার পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর আর কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই আগামী ২২ বছর ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জনের আশা করছে। তিনি আরও বলেন, তা ছাড়া সৌদি আরব ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তেভাগা আন্দোলনের নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর মো. এনামউল্যা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে হাবিপ্রবির শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি সমাধিসৌধ পরিদর্শন, কবর জিয়ারত
৪৩ মিনিট আগেখাগড়াছড়ির পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নে গুলি করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। সকাল ৬টা থেকে অবরোধ থেকে শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের কিছু এলাকায় বর্জ্য সংগ্রহ কাজের হাতবদল হচ্ছে। এবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিএনপির ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতারা।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তারা মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়ক বিক্ষোভ করে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
২ ঘণ্টা আগে