কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মনি আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

মনি আক্তার উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া বড় বাড়ির মো. আবুল কাসেমের ছেলে শাহ পরানের স্ত্রী। 

মনি আক্তারের বাবা মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে মাদকাসক্ত স্বামী শাহ পরান প্রায় সময় আমার মেয়েকে মারধর করত। এসব নির্যাতন সইতে না পেরে মনি আমাদের বাড়ি ব্রাহ্মণপাড়ায় চলে আসে। পরে শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে বুঝিয়ে আবার বাড়ি নিয়ে যায়। এ সময় কিছুদিন ভালো থাকলেও আবার নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী। এরই জেরে গতকাল তার স্বামী শাহ পরান ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর শুনে আমার জামাই ও তার বাড়ির লেকজন মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান।’ 

খবর পেয়ে বুড়িচং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জব্বার হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

মনি আক্তারের বাবা আরও বলেন, ‘আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চাই, এ ঘটনার পেছনে যারাই জড়িত তাদের বিচার হোক।’ 

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা কিংবা লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।