আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বিভিন্ন ফি আদায়ে ৬০০ কোটি টাকার নিরীক্ষা আপত্তি উঠেছে। ফি, আয়কর ও শুল্ক আদায় না হওয়ার কারণে এই টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। বিআরটিএর হিসাব-সম্পর্কিত কমপ্লায়েন্স অডিট ইন্সপেকশন রিপোর্ট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিআরটিএতে ওই নিরীক্ষা হয়। এতে বিআরটিএর ৩২টি সার্কেলে ২০২১-২২ অর্থবছরের হিসাবে এসব ফি ও কর যথাসময়ে আদায় না করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিলেট জেলায় রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিটবিহীন অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল এবং বিভিন্ন বিলের অনুকূলে টাকা আদায় না হওয়ার কথা উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
১১ সদস্যের নিরীক্ষা দলে প্রধান ছিলেন চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার ছাইফুর রহমান জামালী। এ নিয়ে নিরীক্ষা দল ৩৮টি সভা করে। এ সময় নিরীক্ষা দল বিআরটিএ সম্পর্কে ৩৭টি জিজ্ঞাসা এবং ১৬০টি পর্যবেক্ষণ দেয়।
বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (অর্থ) মো. মাহবুবুর রহমান ৬০০ কোটি টাকা নিরীক্ষা আপত্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অডিট দল প্রথমে কিছু অবজারভেশন দেন, পরে
এগুলো আমাদের সাথে আবার কথা বলে নিষ্পত্তি করা হয়। এগুলোও একইভাবে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।’
পরিবহন অডিট দপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিএর ৩২টি সার্কেলে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোটরযানের ফিটনেস ফি, ট্যাক্স টোকেন, অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স যথাসময়ে আদায় না করায় ৫৪৩ কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ৫২৭ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফিটনেস ফি আদায় না করায় একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ধারা ২৫(১) অনুযায়ী, ‘মোটরযানের ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে কোনো মোটরযান চালনার অনুমতি প্রদান করা যাইবে না।’
অডিট প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে মোটরযানের ফিটনেস ফি, ট্যাক্স টোকেন, অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স যথাসময়ে আদায় না করা ৫৪৩ কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ৫২৭ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। নিরীক্ষা মন্তব্যে জানা যায়, জবাব আপত্তি নিষ্পত্তির সহায়ক নয়। মোটরযানের ট্যাক্স টোকেন আদায়ের জন্য কার্যকরী ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। নিরীক্ষা সুপারিশে দ্রুত সরকারি রাজস্ব আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বলে জানানো হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে জানা যায়, বিআরটিএর ২৬টি সার্কেল অফিসের বিভিন্ন মোটরযানের রুট পারমিট অনাদায়ি বাবদ ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯০ টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। আবার রুট পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তা নবায়ন না করার ফলে ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯০ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া সিলেট এলাকায় রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিটবিহীন অবৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করায় সরকার ৩৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সিলেট এলাকায় অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এগুলোর রেজিস্ট্রেশন না থাকায় দুর্ঘটনায় শনাক্ত করা এবং ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
এ ছাড়া বিভিন্ন বিলের বিপরীতে আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা না করায় ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮০ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। পরিশোধিত বিলের অপেক্ষাকৃত ভ্যাট কম কাটায় ২ কোটি ৬১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ওই সময়ে।
ছাইফুর রহমান জামালী বলেন, ‘এগুলো প্রাথমিক আপত্তি। বিআরটিএসহ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে নিষ্পত্তি করা হবে।’
নিরীক্ষা দলের সদস্য অডিটর মো. মনিরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘গত বছরের মার্চ-এপ্রিলে আমরা বিআরটিএ অডিট করি এবং এর প্রতিবেদন অডিট সদর দপ্তরে জমা দিই।’
সিলেট জেলা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলাম ওই এলাকায় অবৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করায় সরকার ৩৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব হারানোর কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা অনুমোদনের জন্য একটি কমিটি আছে। সেই কমিটি অনুমোদন দিলেই এসব অবৈধ অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বিভিন্ন ফি আদায়ে ৬০০ কোটি টাকার নিরীক্ষা আপত্তি উঠেছে। ফি, আয়কর ও শুল্ক আদায় না হওয়ার কারণে এই টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। বিআরটিএর হিসাব-সম্পর্কিত কমপ্লায়েন্স অডিট ইন্সপেকশন রিপোর্ট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিআরটিএতে ওই নিরীক্ষা হয়। এতে বিআরটিএর ৩২টি সার্কেলে ২০২১-২২ অর্থবছরের হিসাবে এসব ফি ও কর যথাসময়ে আদায় না করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিলেট জেলায় রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিটবিহীন অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল এবং বিভিন্ন বিলের অনুকূলে টাকা আদায় না হওয়ার কথা উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
১১ সদস্যের নিরীক্ষা দলে প্রধান ছিলেন চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার ছাইফুর রহমান জামালী। এ নিয়ে নিরীক্ষা দল ৩৮টি সভা করে। এ সময় নিরীক্ষা দল বিআরটিএ সম্পর্কে ৩৭টি জিজ্ঞাসা এবং ১৬০টি পর্যবেক্ষণ দেয়।
বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (অর্থ) মো. মাহবুবুর রহমান ৬০০ কোটি টাকা নিরীক্ষা আপত্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অডিট দল প্রথমে কিছু অবজারভেশন দেন, পরে
এগুলো আমাদের সাথে আবার কথা বলে নিষ্পত্তি করা হয়। এগুলোও একইভাবে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।’
পরিবহন অডিট দপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিএর ৩২টি সার্কেলে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোটরযানের ফিটনেস ফি, ট্যাক্স টোকেন, অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স যথাসময়ে আদায় না করায় ৫৪৩ কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ৫২৭ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফিটনেস ফি আদায় না করায় একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ধারা ২৫(১) অনুযায়ী, ‘মোটরযানের ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে কোনো মোটরযান চালনার অনুমতি প্রদান করা যাইবে না।’
অডিট প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে মোটরযানের ফিটনেস ফি, ট্যাক্স টোকেন, অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স যথাসময়ে আদায় না করা ৫৪৩ কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ৫২৭ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। নিরীক্ষা মন্তব্যে জানা যায়, জবাব আপত্তি নিষ্পত্তির সহায়ক নয়। মোটরযানের ট্যাক্স টোকেন আদায়ের জন্য কার্যকরী ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। নিরীক্ষা সুপারিশে দ্রুত সরকারি রাজস্ব আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বলে জানানো হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে জানা যায়, বিআরটিএর ২৬টি সার্কেল অফিসের বিভিন্ন মোটরযানের রুট পারমিট অনাদায়ি বাবদ ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯০ টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। আবার রুট পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তা নবায়ন না করার ফলে ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯০ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া সিলেট এলাকায় রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিটবিহীন অবৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করায় সরকার ৩৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সিলেট এলাকায় অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এগুলোর রেজিস্ট্রেশন না থাকায় দুর্ঘটনায় শনাক্ত করা এবং ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
এ ছাড়া বিভিন্ন বিলের বিপরীতে আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা না করায় ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮০ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। পরিশোধিত বিলের অপেক্ষাকৃত ভ্যাট কম কাটায় ২ কোটি ৬১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ওই সময়ে।
ছাইফুর রহমান জামালী বলেন, ‘এগুলো প্রাথমিক আপত্তি। বিআরটিএসহ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে নিষ্পত্তি করা হবে।’
নিরীক্ষা দলের সদস্য অডিটর মো. মনিরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘গত বছরের মার্চ-এপ্রিলে আমরা বিআরটিএ অডিট করি এবং এর প্রতিবেদন অডিট সদর দপ্তরে জমা দিই।’
সিলেট জেলা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলাম ওই এলাকায় অবৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করায় সরকার ৩৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব হারানোর কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা অনুমোদনের জন্য একটি কমিটি আছে। সেই কমিটি অনুমোদন দিলেই এসব অবৈধ অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন দেওয়া যাবে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
৯ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৫ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ।
২ ঘণ্টা আগেথানা হলো জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্রস্থল। পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। আমরা সম্মানিত নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। থানায় আসা একজন ব্যক্তিও যেন সেবা বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে...
২ ঘণ্টা আগে