টেকনাফে বাতাসের গতিবেগ না বাড়ায় আশ্র‍য়কেন্দ্র ফাঁকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৩, ০০: ৩১
আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, ০৩: ৪৪

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে টেকনাফে। তবে বৃষ্টি ও বাতাসের আধিক্য না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে ঝড়ের প্রভাব শুরু হবে শনিবার রাত ১২টা থেকেই। ইতিমধ্যে টেকনাফে বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়েছে। তবে বাতাসের গতিবেগ কম ও গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি অনেকেই। 

শনিবার রাত ১১টায় টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হাড়িয়াখালী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সাইক্লোন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ আশপাশে মুদি ও চায়ের দোকানে ভিড় থাকলেও ফাঁকা আছে আশ্রয় কেন্দ্রটি। তবে আশ্রয় কেন্দ্রের সবগুলো কক্ষ খোলা আছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইসমাইল বলেন, ‘এলাকার সবাই ঘুমিয়ে গেছে। এখনো বাতাস শুরু হয়নি তাই কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। বাতাস জোরে শুরু হলে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া শুরু হবে।’ 

হাড়িয়াখালীতে আরও একটি আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও সেটিও ফাঁকা অবস্থায় আছে বলে জানান ইসমাইল। 

আরেক বাসিন্দা হোসেন আলী বলেন, ‘যদি ঝড় হয় তাহলে সব মানুষের জন্য এই আশ্রয় কেন্দ্র কাজে আসবে না।’ 

তিনতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রতি তলায় তিনটি করে কক্ষ আছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, খাবার ও অনন্যা ব্যবস্থা নেই এখানে। 

তবে স্থানীয় অনেকেই জানান, এলাকায় ইটের ভবন থাকায় তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবে না। বেশির ভাগ মানুষ যারা সাগরের কাছাকাছি আছে তারা আসবে। 

এর আগে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার টেকনাফ ও ৭ হাজার সেন্ট মার্টিন। 

তবে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপজেলা প্রধান কায়সার উদ্দিন জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত