নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে এক চিকিৎসক পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে কিডনি নিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম পঞ্চম মহানগর হাকিম আদালতে নগরের বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর (৪৪) মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন, তাঁর স্ত্রী খালেদা বেগম ও চিকিৎসক ছেলে রাজীব হোসেন। মহানগর হাকিম নুসরাত জাহান জিনিয়া অভিযোগ গ্রহণ করে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা বর্তমানে খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় থাকেন। ডা. রবিউলের চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অন্যদিকে বাদী আবু বক্কর বায়েজিদের ওয়াজেদিয়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবাদীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতে করা মামলার অভিযোগে আবু বক্কর উল্লেখ করেন, তিনি বাড়িতে পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরিচয়ের সুবাদে একদিন ডা. রাজীব হোসেন তাঁর বাবা ডা. রবিউলের সঙ্গে আবু বক্করের পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসা করানোর কথা বলে তাঁদের একজন অ্যাটেন্টডেন্ট প্রয়োজনের কথা জানানো হয় আবু বক্করকে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তখন আবু বক্কর তাঁদের সঙ্গে অ্যাটেন্টডেন্ট হিসেবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হন।
২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তাঁর স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ তিনি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ডা. রাজীব হোসেন মামলার বাদীকে জানান যে, তাঁর বাবার অবস্থা ভালো না। তাঁকে সুস্থ করতে হলে যেকোনো মানুষ থেকে কিছু টিস্যু দিতে হবে। এ সময় টিস্যু দিলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না বলে আশ্বস্ত করে বাদীকে টিস্যু দেওয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজীব। বাদী মানবিক বিবেচনায় টিস্যু দিতে রাজি হন। পরে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পর ডা. রবিউলের সঙ্গে বাদীর টিস্যুর মিল আছে জানিয়ে বাদীকে অপারেশনে রাজি করানো হয়।
ওই বছর ৩ এপ্রিল বাদীকে হাসপাতালে ভর্তির পর অপারেশন করা হয়। ৯ এপ্রিল তাঁকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ দেওয়া হয়। একই বছরের ১৫ এপ্রিল বাদীকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী টিস্যু দিয়ে জীবন বাঁচানোর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাঁকে আসামিদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে শারীরিক দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখিয়ে বাদীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর দিনে দিনে বাদীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গত ২৩ মে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাঁকে চিকিৎসক জানান, তাঁর ডান কিডনি নেই। চিকিৎসক মতামত দেন, সার্জারির মাধ্যমে তাঁর ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, কিডনি সরিয়ে ফেলার বিষয়টি জানার পর আবু বক্কর বিবাদীদের কাছে গেলে তাঁকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু গত ১৩ জুন বাদী তাঁদের বাসায় গেলে উল্টো তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। আসামিরা প্রভাবশালী। এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
আবু বক্কর আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে এসে পাঁচ মাস পর তাঁকে একটি চাকরি দেওয়া হয়েছিল। পরে কাজ পারেন না অভিযোগ তুলে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আগে কৃষিকাজসহ টুকটাক হাতে যা পেতাম, তা করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেওয়ায় এখন কিছু করতে পারি না।’
চট্টগ্রামে এক চিকিৎসক পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে কিডনি নিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম পঞ্চম মহানগর হাকিম আদালতে নগরের বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর (৪৪) মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন, তাঁর স্ত্রী খালেদা বেগম ও চিকিৎসক ছেলে রাজীব হোসেন। মহানগর হাকিম নুসরাত জাহান জিনিয়া অভিযোগ গ্রহণ করে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা বর্তমানে খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় থাকেন। ডা. রবিউলের চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অন্যদিকে বাদী আবু বক্কর বায়েজিদের ওয়াজেদিয়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবাদীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতে করা মামলার অভিযোগে আবু বক্কর উল্লেখ করেন, তিনি বাড়িতে পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরিচয়ের সুবাদে একদিন ডা. রাজীব হোসেন তাঁর বাবা ডা. রবিউলের সঙ্গে আবু বক্করের পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসা করানোর কথা বলে তাঁদের একজন অ্যাটেন্টডেন্ট প্রয়োজনের কথা জানানো হয় আবু বক্করকে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তখন আবু বক্কর তাঁদের সঙ্গে অ্যাটেন্টডেন্ট হিসেবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হন।
২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তাঁর স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ তিনি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ডা. রাজীব হোসেন মামলার বাদীকে জানান যে, তাঁর বাবার অবস্থা ভালো না। তাঁকে সুস্থ করতে হলে যেকোনো মানুষ থেকে কিছু টিস্যু দিতে হবে। এ সময় টিস্যু দিলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না বলে আশ্বস্ত করে বাদীকে টিস্যু দেওয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজীব। বাদী মানবিক বিবেচনায় টিস্যু দিতে রাজি হন। পরে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পর ডা. রবিউলের সঙ্গে বাদীর টিস্যুর মিল আছে জানিয়ে বাদীকে অপারেশনে রাজি করানো হয়।
ওই বছর ৩ এপ্রিল বাদীকে হাসপাতালে ভর্তির পর অপারেশন করা হয়। ৯ এপ্রিল তাঁকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ দেওয়া হয়। একই বছরের ১৫ এপ্রিল বাদীকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী টিস্যু দিয়ে জীবন বাঁচানোর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাঁকে আসামিদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে শারীরিক দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখিয়ে বাদীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর দিনে দিনে বাদীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গত ২৩ মে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাঁকে চিকিৎসক জানান, তাঁর ডান কিডনি নেই। চিকিৎসক মতামত দেন, সার্জারির মাধ্যমে তাঁর ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, কিডনি সরিয়ে ফেলার বিষয়টি জানার পর আবু বক্কর বিবাদীদের কাছে গেলে তাঁকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু গত ১৩ জুন বাদী তাঁদের বাসায় গেলে উল্টো তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। আসামিরা প্রভাবশালী। এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
আবু বক্কর আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে এসে পাঁচ মাস পর তাঁকে একটি চাকরি দেওয়া হয়েছিল। পরে কাজ পারেন না অভিযোগ তুলে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আগে কৃষিকাজসহ টুকটাক হাতে যা পেতাম, তা করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেওয়ায় এখন কিছু করতে পারি না।’
সড়কের পাশে একটি কাচের শোকেসে নানা রকম মুখরোচক খাবার। পাশেই বড় চুলায় বসানো কড়াইয়ে গরম তেলে ভাজা বা ভুনা হচ্ছে নানা পদ। সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। সামনে কেনার জন্য ভিড় নানা বয়সী রোজাদারের।
৩ ঘণ্টা আগেহালদা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। এখানে প্রজনন মৌসুমে রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউশসহ মিঠাপানির সব মাছ ডিম দেয়। হালদার রেণুর কদর সারা দেশে। হালদার পোনা মাছচাষির কাছে অমূল্য সম্পদ। তবে অবৈধ বালু উত্তোলনসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে ৮৭ প্রজাতির মাছের অভয়ারণ্য হালদা আজ সংকটে। বলা চলে হ
৩ ঘণ্টা আগেনোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না দেওয়াসহ বিভিন্ন সংকট দেখা দিয়েছে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে। এদিকে সরবরাহ তালিকায় বরাদ্দ থাকলেও ওষুধ না দেওয়া, হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন রোগীরা।
৩ ঘণ্টা আগেযশোরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন অন্তত ১১টি সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ বছরের পর বছর ফেলে রেখেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব সড়কের কাজ কয়েক বছর আগে শুরু হলেও শেষ করতে পারেনি তারা। ৪ থেকে ৫ বছরে অধিকাংশ সড়কের কাজ হয়েছে মাত্র ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগে