কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি
রোহিঙ্গাদের কথিত উগ্রপন্থী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) বাংলাদেশ জোনের প্রধান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহাম্মদ হাশিমের মৃত্যুর খবর এখনো নিশ্চিত করেনি প্রশাসন। এমনকি হাসপাতালে বা থানায়ও পাওয়া যায়নি তাঁর মরদেহ।
গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গণপিটুনিতে সন্ত্রাসী হাশিম নিহত হয়েছে বলে প্রচারণা চালায় রোহিঙ্গারা। ফেসবুকে প্রচারিত হাশিমের মরদেহের ছবি সংবলিত একটি অডিওবার্তায় অজ্ঞাত এক রোহিঙ্গা আরসার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হাশিম নিহত হয়েছে দাবি করে বলেন, 'রোহিঙ্গাদের দুঃখের অবসান হয়েছে, আরসার জালিম হাশিম কে পুড়ে ফেলা হয়েছে।'
এ ছাড়াও একই সময়ে এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদগুলোতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমানের বরাতে বলা হয়, 'কক্সবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কথিত আরসা নেতা মোহাম্মদ হাশিমের মরদেহ পাওয়া গেছে।' যেখানে, ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে, ঘটনার দুই দিন অতিক্রম হলেও হাশিমের মরদেহের হদিস মেলেনি। বরং হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান দাবি করছেন, তিনি মিডিয়াতে এ ধরনের কোন বক্তব্য দেননি।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, 'এমন কারও মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রচারমাধ্যমগুলোতে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।'
ক্যাম্প ২২ এলাকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত এপিবিএন-১৬ এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, 'অধীনস্থ ক্যাম্পে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলেই তা জানানো হয়। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে ২১ ও ২২ ক্যাম্প ছাড়াও সব ক্যাম্পে খবর নিয়েছি। আমাদের আওতাভুক্ত এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা সংঘটিত হওয়ার তথ্য আমরা পাইনি।'
এদিকে, জেলা হাসপাতালের মর্গেও মেলেনি তাঁর মরদেহের সন্ধান। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাহীন আব্দুর রহমান বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপমৃত্যু হওয়া কোন মরদেহ ক্যাম্প থেকে আসেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি রোহিঙ্গা সংগঠনের মুখপাত্র বলেন, 'হাশিম আরসার অন্যতম নেতা। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ রোহিঙ্গারা। কদিন আগে শুনেছিলাম বাংলাদেশের প্রশাসনের হাতে সে আটক হয়েছে, পরে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনি।'
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা নামে পরিচিত রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠনটি ২০১৬ সালে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আলোচনায় আসে। ২০১৭ সালের আগস্টের পর বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামলে এর পরিবর্তী সময়ে বিভিন্ন অপরাধে সংগঠনটির এ সদস্যের নাম উঠেছে বারবার।
রোহিঙ্গাদের কথিত উগ্রপন্থী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) বাংলাদেশ জোনের প্রধান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহাম্মদ হাশিমের মৃত্যুর খবর এখনো নিশ্চিত করেনি প্রশাসন। এমনকি হাসপাতালে বা থানায়ও পাওয়া যায়নি তাঁর মরদেহ।
গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গণপিটুনিতে সন্ত্রাসী হাশিম নিহত হয়েছে বলে প্রচারণা চালায় রোহিঙ্গারা। ফেসবুকে প্রচারিত হাশিমের মরদেহের ছবি সংবলিত একটি অডিওবার্তায় অজ্ঞাত এক রোহিঙ্গা আরসার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হাশিম নিহত হয়েছে দাবি করে বলেন, 'রোহিঙ্গাদের দুঃখের অবসান হয়েছে, আরসার জালিম হাশিম কে পুড়ে ফেলা হয়েছে।'
এ ছাড়াও একই সময়ে এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদগুলোতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমানের বরাতে বলা হয়, 'কক্সবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কথিত আরসা নেতা মোহাম্মদ হাশিমের মরদেহ পাওয়া গেছে।' যেখানে, ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে, ঘটনার দুই দিন অতিক্রম হলেও হাশিমের মরদেহের হদিস মেলেনি। বরং হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান দাবি করছেন, তিনি মিডিয়াতে এ ধরনের কোন বক্তব্য দেননি।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, 'এমন কারও মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রচারমাধ্যমগুলোতে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।'
ক্যাম্প ২২ এলাকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত এপিবিএন-১৬ এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, 'অধীনস্থ ক্যাম্পে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলেই তা জানানো হয়। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে ২১ ও ২২ ক্যাম্প ছাড়াও সব ক্যাম্পে খবর নিয়েছি। আমাদের আওতাভুক্ত এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা সংঘটিত হওয়ার তথ্য আমরা পাইনি।'
এদিকে, জেলা হাসপাতালের মর্গেও মেলেনি তাঁর মরদেহের সন্ধান। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাহীন আব্দুর রহমান বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপমৃত্যু হওয়া কোন মরদেহ ক্যাম্প থেকে আসেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি রোহিঙ্গা সংগঠনের মুখপাত্র বলেন, 'হাশিম আরসার অন্যতম নেতা। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ রোহিঙ্গারা। কদিন আগে শুনেছিলাম বাংলাদেশের প্রশাসনের হাতে সে আটক হয়েছে, পরে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনি।'
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা নামে পরিচিত রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠনটি ২০১৬ সালে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আলোচনায় আসে। ২০১৭ সালের আগস্টের পর বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামলে এর পরিবর্তী সময়ে বিভিন্ন অপরাধে সংগঠনটির এ সদস্যের নাম উঠেছে বারবার।
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
২ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে