আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
কয়েক দপ্তরে চিঠি চালাচালি করতে করতেই পচে গেল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ৮ কোটি টাকার গর্জন কাঠ। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের সহায়তায় গত রোববার কাঠগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১২ সালে তিন লটে কাঠগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। আমদানিকারক শুল্ক পরিশোধ করে কাঠগুলো খালাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী সেগুলো নিলামে চলে যায়। তবে কয়েক দফা নিলামে উঠলেও থেকে যায় অবিক্রীত। ২০১৯ সালে এগুলো ক্রয়ের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পেলেও পণ্য বুঝে নেওয়ার সময় দেখা দেয় আইনি জটিলতা। এরপর এ নিয়ে গত দেড় বছর ধরে চিঠি চালাচালির পরও কাঠগুলোর কোনো গতি হয়নি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র হয়ে ঢাকার খামারবাড়ির উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখার পরিচালকের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্তত ১০ বার পত্র বিনিময় হয়। গত ২ অক্টোবর সর্বশেষ ঢাকার খামারবাড়ি উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখার পরিচালক ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে বলে মতামত দেন। কিন্তু এরই মধ্যে খোলা আকাশের নিচে থেকে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে কাঠগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ঢাকার শহীদ সেলিনা পারভিন সড়কের আমদানিকারক গোমতী টিম্বার্স মিয়ানমার থেকে গর্জন কাঠ আমদানি করে। প্রায় ৬৫ হাজার ৯৪৬ সিএফটি কাঠের ১ হাজার ২৫১ পিস (গোল রদ্দা) গর্জন কাঠ। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৮ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম অক্সিজেন এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গর্জন কাঠ প্রতি সিএফটির দাম বর্তমান বাজারে ১ হাজার ২০০ টাকা। সে হিসাবে ৬৫ হাজার ৯৪৬ সিএফটির দাম প্রায় ৮ কোটি টাকা।
আমদানিকারক কাস্টমসের নিলামের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে হাইকোর্টে রিট করে। নিলাম প্রক্রিয়া এক মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট এবং এক মাসের মধ্যে শুল্ক-করাদি পরিশোধ করে কাঠগুলো খালাস করে নিতে বলেন। কিন্তু নানা জটিলতায় খালাস করতে পারেনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
কাস্টম হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, কাঠগুলো এখন তাঁদের গলার ফাঁস।
কয়েক দফায় কাঠগুলো নিলামে তোলা হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে নিলামে ৫২ লাখ ৯৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয় কাঠগুলো। কিনেন চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদ এলাকার গোসাইল ডাংগার নুরুল আমিন। সব প্রক্রিয়াই শেষ হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে বাঁধ সাধে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখা। তাদের ছাড়পত্র ও বন বিভাগের ট্রানজিট পাস (টিপি) ছাড়া নিলামে বিক্রির নিয়ম নেই।
বন বিভাগের ব্যবহারিক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কাঠ বা কাঠজাতীয় দ্রব্য আমদানি হলে বন বিভাগের ট্রানজিট পাস (টিপি) লাগে। নিলামের কাঠ হলেও টিপি লাগবে।
সর্বশেষ নিলামে কাঠগুলোর ক্রেতা ছিলেন নুরুল আমিন। তাঁর প্রতিনিধি মো. ইয়াকুব বলেন, আমরা কাঠগুলো নিলামে পেয়েছি, আমাদের নামে ডিও ইস্যু করা হয়েছিল। উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখার ছাড়পত্র ও বন বিভাগের টিপি শর্ত থাকায় আমরা আর কাঠগুলো নিতে পারিনি। পরবর্তীতে কাস্টমের নিলাম শাখা আমাদের পে-অর্ডার ফেরত দেয়।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, নিলাম শাখার কাঠগুলো বিনষ্ট, পোকামাকড় ও রোগজীবাণুতে সংক্রমিত। এ জন্য গত রোববার জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন বন্দরে পড়ে থাকা পণ্য সম্প্রতি নিলামের উদ্যোগ নিয়েছে। সে জন্য পণ্যের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। নিলাম শাখায় পদায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত সহকারী কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, কাস্টম হাউসে নিলাম শাখায় কার্নেট গাড়িসহ বেশ কিছু পণ্য ১০ / ১২ বছর ধরে পড়ে আছে। এসব পণ্য সর্বোচ্চ আইন কানুন নিয়ম মেনে নিলামে দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরেই এই প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
কয়েক দপ্তরে চিঠি চালাচালি করতে করতেই পচে গেল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ৮ কোটি টাকার গর্জন কাঠ। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের সহায়তায় গত রোববার কাঠগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১২ সালে তিন লটে কাঠগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। আমদানিকারক শুল্ক পরিশোধ করে কাঠগুলো খালাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী সেগুলো নিলামে চলে যায়। তবে কয়েক দফা নিলামে উঠলেও থেকে যায় অবিক্রীত। ২০১৯ সালে এগুলো ক্রয়ের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পেলেও পণ্য বুঝে নেওয়ার সময় দেখা দেয় আইনি জটিলতা। এরপর এ নিয়ে গত দেড় বছর ধরে চিঠি চালাচালির পরও কাঠগুলোর কোনো গতি হয়নি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র হয়ে ঢাকার খামারবাড়ির উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখার পরিচালকের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্তত ১০ বার পত্র বিনিময় হয়। গত ২ অক্টোবর সর্বশেষ ঢাকার খামারবাড়ি উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখার পরিচালক ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে বলে মতামত দেন। কিন্তু এরই মধ্যে খোলা আকাশের নিচে থেকে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে কাঠগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ঢাকার শহীদ সেলিনা পারভিন সড়কের আমদানিকারক গোমতী টিম্বার্স মিয়ানমার থেকে গর্জন কাঠ আমদানি করে। প্রায় ৬৫ হাজার ৯৪৬ সিএফটি কাঠের ১ হাজার ২৫১ পিস (গোল রদ্দা) গর্জন কাঠ। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৮ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম অক্সিজেন এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গর্জন কাঠ প্রতি সিএফটির দাম বর্তমান বাজারে ১ হাজার ২০০ টাকা। সে হিসাবে ৬৫ হাজার ৯৪৬ সিএফটির দাম প্রায় ৮ কোটি টাকা।
আমদানিকারক কাস্টমসের নিলামের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে হাইকোর্টে রিট করে। নিলাম প্রক্রিয়া এক মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট এবং এক মাসের মধ্যে শুল্ক-করাদি পরিশোধ করে কাঠগুলো খালাস করে নিতে বলেন। কিন্তু নানা জটিলতায় খালাস করতে পারেনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
কাস্টম হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, কাঠগুলো এখন তাঁদের গলার ফাঁস।
কয়েক দফায় কাঠগুলো নিলামে তোলা হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে নিলামে ৫২ লাখ ৯৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয় কাঠগুলো। কিনেন চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদ এলাকার গোসাইল ডাংগার নুরুল আমিন। সব প্রক্রিয়াই শেষ হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে বাঁধ সাধে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখা। তাদের ছাড়পত্র ও বন বিভাগের ট্রানজিট পাস (টিপি) ছাড়া নিলামে বিক্রির নিয়ম নেই।
বন বিভাগের ব্যবহারিক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কাঠ বা কাঠজাতীয় দ্রব্য আমদানি হলে বন বিভাগের ট্রানজিট পাস (টিপি) লাগে। নিলামের কাঠ হলেও টিপি লাগবে।
সর্বশেষ নিলামে কাঠগুলোর ক্রেতা ছিলেন নুরুল আমিন। তাঁর প্রতিনিধি মো. ইয়াকুব বলেন, আমরা কাঠগুলো নিলামে পেয়েছি, আমাদের নামে ডিও ইস্যু করা হয়েছিল। উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখার ছাড়পত্র ও বন বিভাগের টিপি শর্ত থাকায় আমরা আর কাঠগুলো নিতে পারিনি। পরবর্তীতে কাস্টমের নিলাম শাখা আমাদের পে-অর্ডার ফেরত দেয়।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, নিলাম শাখার কাঠগুলো বিনষ্ট, পোকামাকড় ও রোগজীবাণুতে সংক্রমিত। এ জন্য গত রোববার জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন বন্দরে পড়ে থাকা পণ্য সম্প্রতি নিলামের উদ্যোগ নিয়েছে। সে জন্য পণ্যের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। নিলাম শাখায় পদায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত সহকারী কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, কাস্টম হাউসে নিলাম শাখায় কার্নেট গাড়িসহ বেশ কিছু পণ্য ১০ / ১২ বছর ধরে পড়ে আছে। এসব পণ্য সর্বোচ্চ আইন কানুন নিয়ম মেনে নিলামে দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরেই এই প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো আপসের পথে হাঁটছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আপস করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে। দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাও চলছে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।
৭ মিনিট আগেকমলাপুর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রিকশাচালকদের অবরোধে জুরাইন রেল স্টেশনে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার আটকে যায় ৷ খুলনাগামী নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন আটকে আছে কমলাপুরের শহরতলি স্টেশনে ৷
১৩ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিরাজ হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
৩৫ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় শাহ সুলতান ফাহাদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের কামালপুর ফকির মার্কেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে