নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম কাস্টমস বিভাগে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিকের চাকরির ৪১টি পদে ৩০ হাজার আবেদনকারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বসতে পারছেন না। ৩৪ হাজার জনের মধ্যে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে মাত্র চার হাজার ৯৭৩ জন প্রার্থীর কাছে। চট্টগ্রামসহ ১৬ জেলার কেউই চট্টগ্রাম কাস্টমসের এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না।
এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন সুযোগ না পাওয়া আবেদনকারীরা। তাঁরা বলছেন, চট্টগ্রামসহ ১৬ জেলার আবেদনকারীকে বাদ দিয়ে কাস্টমস বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন বেআইনি ও অগ্রহণযোগ্য। এসব জেলার মানুষের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণেরই নামান্তর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সদস্যসচিব ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দিন মুন্সী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চার হাজার ৯৭৩ জন চাকরি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। চট্টগ্রাম জেলার চাকরির প্রাপ্যতা না থাকায় এখানকার আবেদনকারীদের সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
তথ্যমতে, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ২০টি পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে ২০১৭ সালে ছয়টি পদের বিপরীতে ১৯৫ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আবার প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা ২০১৪ সালে আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
২০১৪ সালে আগস্ট মাসে ২০টি পদের বিপরীতে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে কিশোরগঞ্জ জেলা ব্যতীত অন্য সব জেলার চাকরি প্রার্থীদের আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। ফলে তখন প্রায় ৩৪ হাজার আবেদন জমা পড়ে। ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রামসহ ১৬টি জেলা বাদে আবেদন করতে বলা হয়। তবে ২০১৪ সালে যারা আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সরোয়ার রহমান রুমী নামে এক আবেদনকারী জানান, ‘কাস্টম হাউস চট্টগ্রামে। অথচ চট্টগ্রামের জেলা কোটা নেই।’
চাকরি প্রার্থী খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা উষার দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সালে আবেদন করি, সরকারি চালানে ১০০ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়েছে। আবার ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তিতেও ২০১৪ সালের আবেদনকারীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখার কথা বলা হয়। এরপরও আমাদের নামে লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়নি। আমার মতো হাজার হাজার আবেদনকারীর কাছে কোনো প্রবেশপত্র যায়নি বলে জানতে পেরেছি।’
নাটোর সদর থেকে আবেদনকারী মো. ইলিয়াস হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন আশায় ছিলাম, কিন্তু আমাদের পরীক্ষার জন্য না ডাকায় আমরা হতাশ।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম হলো অর্থনীতির লাইফ লাইন, এখানে চট্টগ্রামের ছেলেদের বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব না। কাস্টমসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে উত্তরবঙ্গের কিছু লোক চট্টগ্রাম বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেন যা দু: দুঃখ জনক।’
উল্লেখ্য, আগামী ১০ মার্চ শুক্রবার ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ‘পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা চট্টগ্রাম শহরের ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বিভাগে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিকের চাকরির ৪১টি পদে ৩০ হাজার আবেদনকারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বসতে পারছেন না। ৩৪ হাজার জনের মধ্যে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে মাত্র চার হাজার ৯৭৩ জন প্রার্থীর কাছে। চট্টগ্রামসহ ১৬ জেলার কেউই চট্টগ্রাম কাস্টমসের এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না।
এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন সুযোগ না পাওয়া আবেদনকারীরা। তাঁরা বলছেন, চট্টগ্রামসহ ১৬ জেলার আবেদনকারীকে বাদ দিয়ে কাস্টমস বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন বেআইনি ও অগ্রহণযোগ্য। এসব জেলার মানুষের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণেরই নামান্তর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সদস্যসচিব ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দিন মুন্সী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চার হাজার ৯৭৩ জন চাকরি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। চট্টগ্রাম জেলার চাকরির প্রাপ্যতা না থাকায় এখানকার আবেদনকারীদের সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
তথ্যমতে, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ২০টি পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে ২০১৭ সালে ছয়টি পদের বিপরীতে ১৯৫ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আবার প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা ২০১৪ সালে আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
২০১৪ সালে আগস্ট মাসে ২০টি পদের বিপরীতে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে কিশোরগঞ্জ জেলা ব্যতীত অন্য সব জেলার চাকরি প্রার্থীদের আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। ফলে তখন প্রায় ৩৪ হাজার আবেদন জমা পড়ে। ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রামসহ ১৬টি জেলা বাদে আবেদন করতে বলা হয়। তবে ২০১৪ সালে যারা আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সরোয়ার রহমান রুমী নামে এক আবেদনকারী জানান, ‘কাস্টম হাউস চট্টগ্রামে। অথচ চট্টগ্রামের জেলা কোটা নেই।’
চাকরি প্রার্থী খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা উষার দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সালে আবেদন করি, সরকারি চালানে ১০০ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়েছে। আবার ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তিতেও ২০১৪ সালের আবেদনকারীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখার কথা বলা হয়। এরপরও আমাদের নামে লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়নি। আমার মতো হাজার হাজার আবেদনকারীর কাছে কোনো প্রবেশপত্র যায়নি বলে জানতে পেরেছি।’
নাটোর সদর থেকে আবেদনকারী মো. ইলিয়াস হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন আশায় ছিলাম, কিন্তু আমাদের পরীক্ষার জন্য না ডাকায় আমরা হতাশ।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম হলো অর্থনীতির লাইফ লাইন, এখানে চট্টগ্রামের ছেলেদের বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব না। কাস্টমসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে উত্তরবঙ্গের কিছু লোক চট্টগ্রাম বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেন যা দু: দুঃখ জনক।’
উল্লেখ্য, আগামী ১০ মার্চ শুক্রবার ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ‘পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা চট্টগ্রাম শহরের ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ছেলের দাবি, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাঁর চাচা ও চাচাতো ভাইরা পরিকল্পিতভাবে আয়েশা বেগমকে হত্যা করেছেন। মরদেহের মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে পুলিশ এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবি করেছে।
৬ মিনিট আগেদেশের অন্যতম ব্যবসায়ী গ্রুপ ট্রান্সকম লিমিটেডের শেয়ার জালিয়াতি করে দখল ও ভুয়া পারিবারিক সেটেলেমেন্ট দলিল তৈরির দুটি মামলায় গ্রুপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ ৬ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিভিশন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
১২ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে দগ্ধ সাতজনের মধ্যে আব্দুল খলিল (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। আজ সোমবার সকালে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি মারা যান।
১৫ মিনিট আগেরাজধানীতে বিশৃঙ্খলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন খবরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে। এ সময় ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
৩২ মিনিট আগে