গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ‘পঞ্চায়েত শাসনব্যবস্থা’ চালুর ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে ও তাঁর মুখ্য নির্বাচন সমন্বয় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাসভবনের সামনে নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে মায়ের সহযোগী হিসেবে কাজ করার আশাবাদ জানিয়ে এই ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দেন সদ্য সাবেক মেয়র।

গতকালের নির্বাচনে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমতউল্লা খানকে হারিয়েছেন জায়েদা খাতুন। বেসরকারিভাবে নির্বাচিত এই প্রার্থীর পক্ষে সাংবাদিক ও সাধারণ ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করেন জাহাঙ্গীর।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ড, থানা (সিটি করপোরেশনের) এবং আমাদের মহল্লার সবাইকে নিয়ে একটা পঞ্চায়েত শাসনব্যবস্থা চালু করব ৷ যেন আমাদের সিটি করপোরেশনের মানুষ কাজগুলো সহজে করতে পারে। সবার সহযোগী হয়ে থাকব আমি।’

এই শাসনব্যবস্থার রূপরেখা কী হবে, সেটা অবশ্য উল্লেখ করেননি তিনি।

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সাধারণ মানুষের যে শক্তি, সাধারণ মানুষের যে পাওয়ার, এটা বাংলাদেশের মধ্যে গাজীপুরে প্রথম শুরু হয়েছে ৷ এই গাজীপুরেই প্রথম একজন ভোটারের যে দাম আছে, মূল্য আছে, ভোটার যে এই শহরের মানুষ, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। কোনো পেশিশক্তির হুমকিতে এই শক্তির কিছু যায়-আসে না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন, আমরা তাঁকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা বন্ধ করার আহ্বান জানান জাহাঙ্গীর।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কাউকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা যাবে না। কারণ তাঁরা শহরের মেয়র বানাতে পারেন। তাঁরা সমাজের সবকিছুকে নিষিদ্ধ করতে পারেন। গুন্ডা, মাস্তান আর পেশিশক্তি দিয়ে প্রিয় মানুষের মন জয় করা যায় না।’

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাতজনের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নতুন মেয়র জায়েদা খাতুন কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্য নির্বাচন সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী আজ কোনো মিছিল-মিটিং হবে না। কাল-পরশু আনন্দ মিছিল হবে।’