শিপ্ত বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের রামু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। উপজেলার রাজারকুল, কাউয়ারখোপ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের প্রায় আটটি পয়েন্টে পাহাড় কাটার ধুম চলছে। পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটা ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা নির্মাণের কাজে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঝর্ণামুড়া এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার পাহাড় কেটে রাস্তা বানানো হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে এস্কাভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি দেওয়া হচ্ছে রাস্তায়। তা ছাড়া অনেক জায়গায় পাহাড় কেটে বসতভিটা নির্মাণের কাজও চলতে দেখা গেছে।
দিনের পর দিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড় কেটে বসতভিটা নির্মাণের ফলে বাড়ছে পাহাড়ধসের ঘটনা ও প্রাণহানি। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে পাহাড়ধসের ঘটনায় একই পরিবারের চারজন মারা গেছে। এর আগেও ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর একই ইউনিয়নে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে মারা যান মাটি কাটার দুজন শ্রমিক।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দিনের পর দিন পাহাড় কাটা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর একাধিক নেতা।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ঝর্ণামুরা এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাটার কথা স্বীকার করেছেন সুলতান-সামস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী সুলতান মাহমুদ বাহাদুর প্রকাশ বাবু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পাহাড় কাটছি। আগে একসময় ঝিরি ছিল, রাস্তা সমানভাবে ভরাটের জন্য পাহাড় কাটা হয়েছে যাতে গাড়ি সহজে যেতে পারে। তবে ওখানকার স্থানীয়রাও কেটেছে।
এলজিইডির এই রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প তিনি সরাসরি নেননি বলেও জানান। ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকায় রাস্তা নির্মাণের কাজটি নিয়েছেন বলেও জানান।
এদিকে বিতর্কিত এই সুলতান-সামস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী সুলতান মাহমুদ বাহাদুর প্রকাশ বাবুর বিরুদ্ধে এর আগেও এলজিইডির সাইনবোর্ড দিয়ে বাঁকখালী নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় কাটায় কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানতে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই একটা টিম আমরা ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তবে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসিল্যান্ড ও ইউএনওকে জানানোর পরামর্শও দেন। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে খুব সহজে পাহাড় কাটা রোধ সম্ভব বলে মন্তব্য করেন জেলার এই কর্মকর্তা।
দিনে দিনে পরিবেশের প্রতি মানুষের বিরূপ আচরণের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ও বাসযোগ্য পৃথিবী নষ্ট হবে, পাশাপাশি রামুতে মাটি ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট এখন পাহাড় কাটায় বেশি সক্রিয় বলে মন্তব্য করেন গ্রিন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কায়সার মাহমুদ। তাছাড়া সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাহাড় কাটছে তাদের ঠিকাদারি লাইসেন্স বাতিলসহ আইনের আওতায় না আনলে পাহাড় নিধন বন্ধ হবে না বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের দেওয়া তথ্যমতে ইতিমধ্যেই রামুতে ৬০ শতাংশের বেশি পাহাড় কেটে ধ্বংস করা হয়েছে বনভূমি, যার ফলে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা জানান, পাহাড় কাটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সব সময় জিরো টলারেন্স নীতিতে অটুট। সঠিক তথ্যের অভাবে ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় অনেক সময় অভিযান পরিচালনা করতে ঝামেলায় পড়তে হয়। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
সূত্র বলছে, পাহাড় দখল করে রামুতে বসবাসকারী দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। বিভিন্ন সময়ে এসে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বেশির ভাগ রোহিঙ্গা। পাহাড় কাটা বন্ধ করার যুগোপযোগী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে দেশে যেটুকু বনভূমি আছে, তা ধ্বংস হবে এবং বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া পরিবেশে চরম হুমকির মুখে পড়বে বলে দাবি পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাদের।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। উপজেলার রাজারকুল, কাউয়ারখোপ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের প্রায় আটটি পয়েন্টে পাহাড় কাটার ধুম চলছে। পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটা ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা নির্মাণের কাজে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঝর্ণামুড়া এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার পাহাড় কেটে রাস্তা বানানো হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে এস্কাভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি দেওয়া হচ্ছে রাস্তায়। তা ছাড়া অনেক জায়গায় পাহাড় কেটে বসতভিটা নির্মাণের কাজও চলতে দেখা গেছে।
দিনের পর দিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড় কেটে বসতভিটা নির্মাণের ফলে বাড়ছে পাহাড়ধসের ঘটনা ও প্রাণহানি। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে পাহাড়ধসের ঘটনায় একই পরিবারের চারজন মারা গেছে। এর আগেও ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর একই ইউনিয়নে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে মারা যান মাটি কাটার দুজন শ্রমিক।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দিনের পর দিন পাহাড় কাটা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর একাধিক নেতা।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ঝর্ণামুরা এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাটার কথা স্বীকার করেছেন সুলতান-সামস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী সুলতান মাহমুদ বাহাদুর প্রকাশ বাবু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পাহাড় কাটছি। আগে একসময় ঝিরি ছিল, রাস্তা সমানভাবে ভরাটের জন্য পাহাড় কাটা হয়েছে যাতে গাড়ি সহজে যেতে পারে। তবে ওখানকার স্থানীয়রাও কেটেছে।
এলজিইডির এই রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প তিনি সরাসরি নেননি বলেও জানান। ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকায় রাস্তা নির্মাণের কাজটি নিয়েছেন বলেও জানান।
এদিকে বিতর্কিত এই সুলতান-সামস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী সুলতান মাহমুদ বাহাদুর প্রকাশ বাবুর বিরুদ্ধে এর আগেও এলজিইডির সাইনবোর্ড দিয়ে বাঁকখালী নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় কাটায় কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানতে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই একটা টিম আমরা ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তবে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসিল্যান্ড ও ইউএনওকে জানানোর পরামর্শও দেন। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে খুব সহজে পাহাড় কাটা রোধ সম্ভব বলে মন্তব্য করেন জেলার এই কর্মকর্তা।
দিনে দিনে পরিবেশের প্রতি মানুষের বিরূপ আচরণের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ও বাসযোগ্য পৃথিবী নষ্ট হবে, পাশাপাশি রামুতে মাটি ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট এখন পাহাড় কাটায় বেশি সক্রিয় বলে মন্তব্য করেন গ্রিন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কায়সার মাহমুদ। তাছাড়া সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাহাড় কাটছে তাদের ঠিকাদারি লাইসেন্স বাতিলসহ আইনের আওতায় না আনলে পাহাড় নিধন বন্ধ হবে না বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের দেওয়া তথ্যমতে ইতিমধ্যেই রামুতে ৬০ শতাংশের বেশি পাহাড় কেটে ধ্বংস করা হয়েছে বনভূমি, যার ফলে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা জানান, পাহাড় কাটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সব সময় জিরো টলারেন্স নীতিতে অটুট। সঠিক তথ্যের অভাবে ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় অনেক সময় অভিযান পরিচালনা করতে ঝামেলায় পড়তে হয়। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
সূত্র বলছে, পাহাড় দখল করে রামুতে বসবাসকারী দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। বিভিন্ন সময়ে এসে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বেশির ভাগ রোহিঙ্গা। পাহাড় কাটা বন্ধ করার যুগোপযোগী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে দেশে যেটুকু বনভূমি আছে, তা ধ্বংস হবে এবং বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া পরিবেশে চরম হুমকির মুখে পড়বে বলে দাবি পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাদের।
তেভাগা আন্দোলনের নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর মো. এনামউল্যা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে হাবিপ্রবির শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি সমাধিসৌধ পরিদর্শন, কবর জিয়ারত
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নে গুলি করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। সকাল ৬টা থেকে অবরোধ থেকে শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের কিছু এলাকায় বর্জ্য সংগ্রহ কাজের হাতবদল হচ্ছে। এবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিএনপির ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতারা।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তারা মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়ক বিক্ষোভ করে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
২ ঘণ্টা আগে