নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পাহাড় কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাতিজা হওয়ায় অনিয়ম করেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছুদিন আগের এক শুনানিতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু নঈম মো. সেলিম চৌধুরী। এ কারণে তাঁকে জরিমানা দিতে হয়। শুধু তা-ই নয়, একই সঙ্গে তিনি দিয়েছেন মুচলেকাও। জীবনে আর কখনো পাহাড় কাটবেন না বলে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারও করেন।
কিন্তু এই ঘটনার পরও ইউপি চেয়ারম্যান আবু নঈম মো. সেলিম চৌধুরী এখনো বহাল তবিয়তে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবু নঈম মো. সেলিম চৌধুরী সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর বড় ভাইয়ের ছেলে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাতিজা হওয়ার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মাদার্শা ইউনিয়নের ঘাটকুল শাহিনের বিল এলাকায় ১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের করা একটি এনফোর্সমেন্ট মামলায় অভিযুক্তরা গত ১ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে হাজির হয়। এরপর গত ১২ মার্চ শুনানিতে তারা দোষ স্বীকার করায় সেলিম চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে ৩ লাখ করে ২১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা ৭ দিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়। এ ছাড়া অভিযুক্তরা পরবর্তী সময়ে আর পাহাড় কাটবেন না মর্মে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করেন।
এদিকে অভিযুক্ত সেলিম চেয়ারম্যানের ওই জরিমানার টাকা পরিশোধ করার একটি সরকারি চালান আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। অনলাইনে চালানটি যাচাই করে দেখা যায়, তিনি গত ৩০ মে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রামের সিডিএ মার্কেট শাখায় জরিমানার টাকা ১৫৬ নম্বর চালান মূলে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান সেলিম পাহাড় কাটার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি মুচলেকা দিয়ে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল সরকারের।
এই আইনের ৩৪ (৪) ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান বা সদস্য তাঁর পদ থেকে অপসারণযোগ্য হবেন এর কয়েকটি কারণের মধ্যে ‘খ’ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, তিনি যদি পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কোনো কার্যকলাপে জড়িত থাকেন, অথবা দুর্নীতি বা অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেকোনো ইউপি চেয়ারম্যান অপরাধ করলে নিয়ম অনুযায়ী বরখাস্ত হওয়ার কথা। কিন্তু সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউপি চেয়ারম্যান আবু নঈম মো. সেলিম পাহাড় কেটেছেন। সেটির আবার দোষও স্বীকার করেছেন, জরিমানাও গুনেছেন। কিন্তু এখনো তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। এমপির ভাতিজা বলেই কি তিনি পার পেয়ে যাবেন?
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাদার্শা ইউপি চেয়ারম্যান আবু নঈম মো. সেলিম দাবি করেছেন, ‘পাহাড় কেটেছেন অন্যরা। সেখানে আমার নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে এ রকম একটি ঘটনা শুনেছি। জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পাহাড় কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাতিজা হওয়ায় অনিয়ম করেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছুদিন আগের এক শুনানিতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু নঈম মো. সেলিম চৌধুরী। এ কারণে তাঁকে জরিমানা দিতে হয়। শুধু তা-ই নয়, একই সঙ্গে তিনি দিয়েছেন মুচলেকাও। জীবনে আর কখনো পাহাড় কাটবেন না বলে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারও করেন।
কিন্তু এই ঘটনার পরও ইউপি চেয়ারম্যান আবু নঈম মো. সেলিম চৌধুরী এখনো বহাল তবিয়তে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবু নঈম মো. সেলিম চৌধুরী সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভীর বড় ভাইয়ের ছেলে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাতিজা হওয়ার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মাদার্শা ইউনিয়নের ঘাটকুল শাহিনের বিল এলাকায় ১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের করা একটি এনফোর্সমেন্ট মামলায় অভিযুক্তরা গত ১ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে হাজির হয়। এরপর গত ১২ মার্চ শুনানিতে তারা দোষ স্বীকার করায় সেলিম চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে ৩ লাখ করে ২১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা ৭ দিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়। এ ছাড়া অভিযুক্তরা পরবর্তী সময়ে আর পাহাড় কাটবেন না মর্মে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করেন।
এদিকে অভিযুক্ত সেলিম চেয়ারম্যানের ওই জরিমানার টাকা পরিশোধ করার একটি সরকারি চালান আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। অনলাইনে চালানটি যাচাই করে দেখা যায়, তিনি গত ৩০ মে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রামের সিডিএ মার্কেট শাখায় জরিমানার টাকা ১৫৬ নম্বর চালান মূলে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান সেলিম পাহাড় কাটার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি মুচলেকা দিয়ে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল সরকারের।
এই আইনের ৩৪ (৪) ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান বা সদস্য তাঁর পদ থেকে অপসারণযোগ্য হবেন এর কয়েকটি কারণের মধ্যে ‘খ’ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, তিনি যদি পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কোনো কার্যকলাপে জড়িত থাকেন, অথবা দুর্নীতি বা অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেকোনো ইউপি চেয়ারম্যান অপরাধ করলে নিয়ম অনুযায়ী বরখাস্ত হওয়ার কথা। কিন্তু সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউপি চেয়ারম্যান আবু নঈম মো. সেলিম পাহাড় কেটেছেন। সেটির আবার দোষও স্বীকার করেছেন, জরিমানাও গুনেছেন। কিন্তু এখনো তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। এমপির ভাতিজা বলেই কি তিনি পার পেয়ে যাবেন?
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাদার্শা ইউপি চেয়ারম্যান আবু নঈম মো. সেলিম দাবি করেছেন, ‘পাহাড় কেটেছেন অন্যরা। সেখানে আমার নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে এ রকম একটি ঘটনা শুনেছি। জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি আবাসনপ্রতিষ্ঠান কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস ছয় দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ না করায় বিপাকে পড়েছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)।
৭ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি তেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৯ ঘণ্টা আগে