ইনজেকশন দিয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত সেই রোগীর চিকিৎসা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও পটিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২১, ১৬: ১৮
Thumbnail image

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত নারীর শরীরে অ্যামফোটেরিসিন-বি’ ইনজেকশন দেওয়া শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার শরীরে এ ইনজেকশন দেওয়া শুরু করেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রতিদিন ৫ ভায়াল করে ১৫ দিন এই ইনজেকশনটি তাঁর শরীরে প্রয়োগ করতে হবে।

তবে রোগীর স্বজনেরা শনিবার পর্যন্ত মাত্র ২২ ভায়াল ইনজেকশন জোগাড় করতে পেরেছেন। তাদের এই ইনজেকশনের আরও ৫৩ ভায়াল জোগাড় করতে হবে। দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় এর আগে টানা ছয় দিন তারা চট্টগ্রাম, ঢাকা এমনকি দেশের বাইরেও ওষুধটির খোঁজ করেছেন।

রোগীর মেজো ছেলে মো. বেলাল হোসাইন বলেন, আমরা অনেক কষ্টে ২২টি ভায়ালের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। এগুলো দিয়ে হয়তো তিন থেকে চার দিন চলবে। বাকি ওষুধগুলো জোগাড় করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে রোগীর তত্ত্বাবধানে থাকা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ জয় বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এখন পর্যন্ত ওই নারীর চোখে রয়েছে। এটি তাঁর নাক ও মুখ সহ অন্যান্য স্থানে ছড়ানো বন্ধ করতে তাঁরা একটি অপারেশন করার চিন্তা করছেন। এতদিন ইনজেকশন গুলো কোথাও না পাওয়ায় আমরা তার শরীরে প্রয়োগ করতে পারিনি। এখন কিছু ইনজেকশন রোগীর স্বজনরা এনেছেন তাই আজ থেকে চিকিৎসার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

জানা যায়, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসজনিত রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। এর মূল কারণ ওষুধের দাম এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সেবা। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ তৈরি করে দেশের মাত্র একটি কোম্পানি। সেই ওষুধের কাঁচামাল আসে ভারত থেকে। তবে সেখানেও এখন কাঁচামাল সহজলভ্য নয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা রোগীর স্বজনেরা দুষ্প্রাপ্য এই ওষুধের প্রতি ভায়াল ১৫ হাজার টাকা করে কিনেছেন বলে জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত