Ajker Patrika

সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপ সমুদ্রপথে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপ সমুদ্রপথে চলাচল করা ফেরি ‘কপোতাক্ষ’। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপ সমুদ্রপথে চলাচল করা ফেরি ‘কপোতাক্ষ’। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপ সমুদ্রপথে সম্প্রতি শুরু হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে ফেরি চলাচল। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার থেকে যাত্রীবাহী জাহাজ চালু করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গোপাল চন্দ্র মজুমদার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঈদকে সামনে রেখে ফেরির পাশাপাশি আজ থেকে যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি আইভি রহমান’ যাতায়াত করছে। জাহাজটি যাত্রী নিয়ে সকাল ৮টা ও দুপুর ১২টায় সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া উপকূল থেকে এবং সকাল ১০টা ও বেলা ৩টায় সীতাকুণ্ডের কুমিরা উপকূল থেকে ছেড়ে যাবে। ঈদের পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত যাত্রীবাহী জাহাজটি একই সূচি অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন করবে।

এদিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে ফেরি চলাচলে গত তিন দিনে পার্কিং ইয়ার্ড ও ফেরির টোল বাবদ পৌনে ৬ লাখ টাকা আদায় হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির হিসাব অনুযায়ী, ফেরির টোল থেকে উদ্বোধনের পরদিন গত মঙ্গলবার ১ লাখ ৫০ হাজার, বুধবার ২ লাখ ৪ হাজার ৪০০ ও গতকাল বৃহস্পতিবার ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। পাশাপাশি তিন দিনে পার্কিং টোল আদায় করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫ টাকা।

বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘উদ্বোধনপরবর্তী মঙ্গলবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে ফেরি চলাচল করছে। এতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া, যানবাহন ভাড়া ও পার্কিং টোল মিলিয়ে পৌনে ৬ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। আজ থেকে টোল আদায়ের হার আরও বাড়বে।’

এদিকে বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, ২৪ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাঁশবাড়িয়া থেকে গুপ্তছড়া ঘাটে ‘কপোতাক্ষ’ নামের একটি ফেরি চলাচলে সময়সূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী ফেরিটি ২৪ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত দিনে দুটি ট্রিপ দিয়েছে। গতকাল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এটি একবার করে চলবে বলে সূচিতে উল্লেখ করা হয়। তবে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বেশি থাকায় গতকাল তিন ট্রিপ দেওয়া হয়েছে বলে গোপাল চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে ফেরি চলাচল সীমিত করতে হচ্ছে। তাই চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেশি করে ফেরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে এই পথে কোস্টাল ফেরি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। তা চালু হলে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার আরও সহজ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত