নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে পুলিশ শ্বশুরের হেফাজত থেকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ফিরে পেতে ও মিথ্যা মামলার হয়রানির প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জয় কুমার শীল নামের এক ব্যবসায়ী। এ সময় তিনি তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে স্ত্রীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জয় কুমার শীলের শ্বশুর পুলিশ কনস্টেবল শুভেন্দু সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'জয় কুমারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তখন সে আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করেছিল। তাদের সামাজিকভাবে কোনো বিয়ে হয়নি। বিয়ের পর আমার মেয়ে সব বুঝতে পারে।'
পুলিশ কনস্টেবল শুভেন্দু সরকার বলেন, 'তার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। তারা সেখানে আমার মেয়েকে তিন মাস আটকে রেখেছিল। পরে আমি তাদের বাসায় গিয়ে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি। আমি পুলিশ দিয়ে তাকে কোনো হয়রানি করছি না। মূলত তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। সে একজন পলাতক আসামি। কিছুদিন আগে সে জেল থেকে বেরিয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে জয় বলেন, '২০২০ সালের ১০ আগস্ট শুভেন্দু সরকারের মেয়ে জ্যোতির্ময়ী সরকারের সঙ্গে সনাতন ধর্মীয় মোতাবেক আমার বিয়ে হয়। নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে উভয়ের বিয়ের হলফনামা করা হয়। উভয় পরিবার পরে বিয়ের সম্মতি দেয়। এত দিন সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কয়েক মাস পর একদিন পুলিশ শ্বশুরের বদলির আদেশ স্থগিত করার অজুহাতে আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চায়। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এরপর থেকে তিনি আমাদের স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য বিচ্ছেদের জন্য নানান অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন।'
জয় বলেন, ‘গত ২৪ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টায় পুলিশ দিয়ে তাঁরা আমাদের ফতেয়াবাদের বাসা থেকে আমার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। একটি মাইক্রোবাসে আমাকে ও অন্য একটি মাইক্রোবাসে আমার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গত ২৫ জানুয়ারি এ বিষয়ে আমার স্ত্রী পুলিশ কমিশনারের কাছে সশরীরে হাজির হয়ে শুভেন্দু সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন।’
জয় কুমার শীল বলেন, ‘মাইক্রোবাসে করে আমাকে চন্দনাইশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে পড়ি। পরে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পুলিশ দ্রুত ছাড়পত্র নিয়ে চেকের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে আমাকে আদালতে চালান করে।
‘এ ছাড়ও ২৭ এপ্রিল জেলে থাকা অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত শ্বশুর আমার স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় মনগড়া চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে এ মামলাতেও আমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অনেক দিন জেলে থাকার পর সম্প্রতি আমি জামিনে বেরিয়েছি।’
এ সময় জয় কুমার বলেন, ‘শুভেন্দু সরকার আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক আটকে রেখে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। এ অবস্থায় আমার স্ত্রী গর্ভের সন্তান নিয়ে চিন্তিত। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তরেও অভিযোগ করা হয়েছে।’
চট্টগ্রামে পুলিশ শ্বশুরের হেফাজত থেকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ফিরে পেতে ও মিথ্যা মামলার হয়রানির প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জয় কুমার শীল নামের এক ব্যবসায়ী। এ সময় তিনি তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে স্ত্রীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জয় কুমার শীলের শ্বশুর পুলিশ কনস্টেবল শুভেন্দু সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'জয় কুমারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তখন সে আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করেছিল। তাদের সামাজিকভাবে কোনো বিয়ে হয়নি। বিয়ের পর আমার মেয়ে সব বুঝতে পারে।'
পুলিশ কনস্টেবল শুভেন্দু সরকার বলেন, 'তার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। তারা সেখানে আমার মেয়েকে তিন মাস আটকে রেখেছিল। পরে আমি তাদের বাসায় গিয়ে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি। আমি পুলিশ দিয়ে তাকে কোনো হয়রানি করছি না। মূলত তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। সে একজন পলাতক আসামি। কিছুদিন আগে সে জেল থেকে বেরিয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে জয় বলেন, '২০২০ সালের ১০ আগস্ট শুভেন্দু সরকারের মেয়ে জ্যোতির্ময়ী সরকারের সঙ্গে সনাতন ধর্মীয় মোতাবেক আমার বিয়ে হয়। নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে উভয়ের বিয়ের হলফনামা করা হয়। উভয় পরিবার পরে বিয়ের সম্মতি দেয়। এত দিন সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কয়েক মাস পর একদিন পুলিশ শ্বশুরের বদলির আদেশ স্থগিত করার অজুহাতে আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চায়। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এরপর থেকে তিনি আমাদের স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য বিচ্ছেদের জন্য নানান অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন।'
জয় বলেন, ‘গত ২৪ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টায় পুলিশ দিয়ে তাঁরা আমাদের ফতেয়াবাদের বাসা থেকে আমার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। একটি মাইক্রোবাসে আমাকে ও অন্য একটি মাইক্রোবাসে আমার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গত ২৫ জানুয়ারি এ বিষয়ে আমার স্ত্রী পুলিশ কমিশনারের কাছে সশরীরে হাজির হয়ে শুভেন্দু সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন।’
জয় কুমার শীল বলেন, ‘মাইক্রোবাসে করে আমাকে চন্দনাইশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে পড়ি। পরে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পুলিশ দ্রুত ছাড়পত্র নিয়ে চেকের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে আমাকে আদালতে চালান করে।
‘এ ছাড়ও ২৭ এপ্রিল জেলে থাকা অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত শ্বশুর আমার স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় মনগড়া চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে এ মামলাতেও আমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অনেক দিন জেলে থাকার পর সম্প্রতি আমি জামিনে বেরিয়েছি।’
এ সময় জয় কুমার বলেন, ‘শুভেন্দু সরকার আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক আটকে রেখে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। এ অবস্থায় আমার স্ত্রী গর্ভের সন্তান নিয়ে চিন্তিত। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তরেও অভিযোগ করা হয়েছে।’
আজ থেকে আগামী এক সপ্তাহ জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালন করবে ছাত্রসংগঠনগুলো। রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে সংগঠনটির আহ্বানে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে চার ঘণ্টাব্যাপী এক জরুরি আলোচনা সভা হয়। দেশব্যাপী চলমান আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্ব নিরসনে ১৯টি ছাত্র সংগঠন
৯ মিনিট আগেশুল্ক আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে মো. পারভেজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির নিশান সাফারি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনায় গাড়িটির গায়ে ‘নিশান সাফারি’ মুছে দিয়ে ‘নিশান পেট্রোল’ লেখা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকা থেকে কাস্টমস গোয়েন্দারা গাড়িটি জব্দ করেন।
১ ঘণ্টা আগেঅহিংস গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম
৯ ঘণ্টা আগেজামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন
১০ ঘণ্টা আগে