নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
গত চার দশক আগেও চট্টগ্রাম নগরীতে ২০০টি পাহাড় ছিল। এর মধ্যে ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে ‘চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম’ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন।
আজ শনিবার দুপুরে জঙ্গল সলিমপুরসহ চট্টগ্রামের সকল পাহাড় সংরক্ষণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং নদী রক্ষার দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসনের পর পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরে কমতে শুরু করে পাহাড়ের সংখ্যা। স্বাধীনতার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৮৮টি পাহাড় পুরোটাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই সময়ে আংশিক কাটা হয় ৯৫টি। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে পরের ১২ বছরে। এই সময়ে শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাহাড় নিধনও।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামের পাহাড় কাটা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক এস এম সিরাজুল হক একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে ‘হিল কাটিং ইন অ্যান্ড অ্যারাউন্ড চিটাগং সিটি’ শীর্ষক একটি গবেষণা করেন। ২০১১ সালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, বেশির ভাগ পাহাড় কাটা হয়েছে পাহাড়তলী, খুলশী, বায়েজিদ, লালখান বাজার মতিঝরনা, ষোলোশহর এবং ফয়েজ লেকে। ১৯৭৬ থেকে ৩২ বছরে চট্টগ্রাম নগর ও আশপাশের ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ এবং ৯৫টি আংশিক কেটে ফেলা হয়।’
আলিউর রহমান আরও বলেন, ১৯৭৬ সালে নগরীর পাঁচ থানা এলাকায় মোট পাহাড় ছিল ৩২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার। ২০০৮ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ২ বর্গকিলোমিটার। এ সময়ে ১৮ দশমিক ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার পাহাড় কাটা হয়। মোট পাহাড়ের প্রায় ৫৭ শতাংশ। নগরীর বায়েজিদ, খুলশী, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি ও পাহাড়তলী থানা এলাকায় এসব পাহাড় কাটা হয়। সবচেয়ে বেশি ৭৪ শতাংশ কাটা পড়ে পাঁচলাইশে।
পাহাড় কাটার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) দায়ী করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিডিএ পাহাড় কেটে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেছে। এই সড়ক নির্মাণের জন্য প্রায় ১৫টি পাহাড় কাটার অনুমতি নেয় তারা। ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি নির্মাণকাজে শর্ত লঙ্ঘন করায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিডিএকে প্রায় ১০ কোটি টাকা জরিমানা করে। সিডিএ এই সড়ক নির্মাণের পর বায়েজিদ থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বাইপাস সড়কের আশপাশে পাহাড় কাটার উৎসব শুরু হয়। যা বর্তমানেও চলমান।
জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগরের ভেতরে ভূমিদস্যুরা ‘আরেক দেশ’ গড়ে তুলেছেন বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগর এলাকা ছিল একসময় পাহাড়ঘেরা নয়নাভিরাম গহিন সবুজে আচ্ছাদিত একটি অঞ্চল। সেখানে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড় ছিল ৩ হাজার ১০০ একর। কিন্তু গত দুই যুগের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জনের ভূমিদস্যু বাহিনী জঙ্গল সলিমপুর এবং আলিনগর এলাকার পাহাড় কেটে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। গড়ে তুলেছে দেশের ভেতরে আরেক দেশ। তাদের সহযোগী হিসেবে আছে আরও অন্তত ৩০০ জন দখলদার বাহিনী। এই ভূমিদস্যুরা ২০০০ সাল থেকে যখন যে দল ক্ষমতায় ছিল, তখন সে দলের ব্যানার টাঙিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য সুদৃঢ় করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সভাপতি চৌধুরী ফরিদসহ আরও অনেকে।
গত চার দশক আগেও চট্টগ্রাম নগরীতে ২০০টি পাহাড় ছিল। এর মধ্যে ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে ‘চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম’ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন।
আজ শনিবার দুপুরে জঙ্গল সলিমপুরসহ চট্টগ্রামের সকল পাহাড় সংরক্ষণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং নদী রক্ষার দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসনের পর পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরে কমতে শুরু করে পাহাড়ের সংখ্যা। স্বাধীনতার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৮৮টি পাহাড় পুরোটাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই সময়ে আংশিক কাটা হয় ৯৫টি। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে পরের ১২ বছরে। এই সময়ে শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাহাড় নিধনও।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামের পাহাড় কাটা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক এস এম সিরাজুল হক একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে ‘হিল কাটিং ইন অ্যান্ড অ্যারাউন্ড চিটাগং সিটি’ শীর্ষক একটি গবেষণা করেন। ২০১১ সালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, বেশির ভাগ পাহাড় কাটা হয়েছে পাহাড়তলী, খুলশী, বায়েজিদ, লালখান বাজার মতিঝরনা, ষোলোশহর এবং ফয়েজ লেকে। ১৯৭৬ থেকে ৩২ বছরে চট্টগ্রাম নগর ও আশপাশের ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ এবং ৯৫টি আংশিক কেটে ফেলা হয়।’
আলিউর রহমান আরও বলেন, ১৯৭৬ সালে নগরীর পাঁচ থানা এলাকায় মোট পাহাড় ছিল ৩২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার। ২০০৮ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ২ বর্গকিলোমিটার। এ সময়ে ১৮ দশমিক ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার পাহাড় কাটা হয়। মোট পাহাড়ের প্রায় ৫৭ শতাংশ। নগরীর বায়েজিদ, খুলশী, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি ও পাহাড়তলী থানা এলাকায় এসব পাহাড় কাটা হয়। সবচেয়ে বেশি ৭৪ শতাংশ কাটা পড়ে পাঁচলাইশে।
পাহাড় কাটার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) দায়ী করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিডিএ পাহাড় কেটে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেছে। এই সড়ক নির্মাণের জন্য প্রায় ১৫টি পাহাড় কাটার অনুমতি নেয় তারা। ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি নির্মাণকাজে শর্ত লঙ্ঘন করায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিডিএকে প্রায় ১০ কোটি টাকা জরিমানা করে। সিডিএ এই সড়ক নির্মাণের পর বায়েজিদ থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বাইপাস সড়কের আশপাশে পাহাড় কাটার উৎসব শুরু হয়। যা বর্তমানেও চলমান।
জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগরের ভেতরে ভূমিদস্যুরা ‘আরেক দেশ’ গড়ে তুলেছেন বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগর এলাকা ছিল একসময় পাহাড়ঘেরা নয়নাভিরাম গহিন সবুজে আচ্ছাদিত একটি অঞ্চল। সেখানে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড় ছিল ৩ হাজার ১০০ একর। কিন্তু গত দুই যুগের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জনের ভূমিদস্যু বাহিনী জঙ্গল সলিমপুর এবং আলিনগর এলাকার পাহাড় কেটে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। গড়ে তুলেছে দেশের ভেতরে আরেক দেশ। তাদের সহযোগী হিসেবে আছে আরও অন্তত ৩০০ জন দখলদার বাহিনী। এই ভূমিদস্যুরা ২০০০ সাল থেকে যখন যে দল ক্ষমতায় ছিল, তখন সে দলের ব্যানার টাঙিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য সুদৃঢ় করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সভাপতি চৌধুরী ফরিদসহ আরও অনেকে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি তেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে