হাসপাতালের গেটে তালা, হাতের ওপর মারা গেল নারীর একমাত্র সম্বল

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ৩৫
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ২২: ০৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল। সকাল থেকেই মূল ফটক তালাবদ্ধ। ভেতরে কেউ নেই। আজ সকাল ৮টা। বন্ধ ফটকের সামনে চিৎকার করে কাঁদছেন এক নারী। সামনে পড়ে রয়েছে একটি কালো বর্ণের ছাগলের নিথর দেহ। 

কথা বলে জানা যায়, মধ্যবয়সী ওই নারীর নাম নার্গিস আক্তার। অসুস্থ গাভীন ছাগলকে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু হাসপাতাল তালাবন্ধ। এখানে হাতের ওপর ছটফট করতে করতে ছাগলটি মারা গেছে। এটিই ছিল তাঁর একমাত্র সম্বল। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল ৮টার দিকে উপজেলা পশু হাসপাতালে আসেন নার্গিস আক্তার। হাসপাতালে ফটক বন্ধ দেখে অস্থির হয়ে একে ওকে জিজ্ঞেস করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাগলটি মারা যায়। মরা ছাগলের সামনে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। তাঁর কান্না দেখে জড়ো হয় আশপাশের লোকজন। 

হাসপাতালের গেটের সামনেই হাতের ওপর মারা গেল গর্ভবতী ছাগলস্থানীয় সাংবাদিক শাহাগীর মৃধা বলেন, সরাইল পশু হাসপাতালের সরকারি বেতনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসার এমন অবহেলার কারণে প্রায়ই গবাদিপশু মারা যায়। 

নার্গিস আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় লালশালুক নামক একটি হোটেলে বুয়ার কাজ করেন। কাজের পাশাপাশি একটি ছাগল পালন করতে। সেটি সম্প্রতি গর্ভবতী হয়। এটিই ছিল তাঁর একমাত্র সম্বল। সন্তানের মতো লালনপালন করতেন। 

হাসপাতাল বন্ধের ব্যাপারে জানতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর হোসেনের ফোন নম্বরে বিকেল ৪টায় বেশ কয়েকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত