ডিবি পরিচয়ে রাঙামাটিতে হেডম্যানকে অপহরণ, ৫ দিনেও মেলেনি খোঁজ

বরকল (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
Thumbnail image

রাঙামাটিতে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বরকলের চাইচালপাড়ার বাসিন্দা সাবেক হেডম্যান (মৌজা প্রধান) লালতন পাংখোয়া। গত বৃহস্পতিবার রাঙামাটি শহর থেকে নিখোঁজ হন তিনি। 

জানা যায়, রাঙামাটি জেলার বরকলের আইমাছড়া ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬৪ নম্বর চাইচালপাড়া মৌজার সাবেক হেডম্যান ছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে লালতন পাংখোয়ার স্ত্রী গত ১৭ সেপ্টেম্বর বরকল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। 

নিখোঁজ হেডম্যানের ছোট ভাই লালসিয়াম পাংখোয়া বলেন, গত বুধবার সকালে চাইচালপাড়া থেকে রাঙামাটিতে নাক ও চোখের সমস্যা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান আমার ভাই। তাঁর সঙ্গে এলাকার প্রতিবেশী নতুন কুমার চাকমা ও কালবি চাকমা (স্বামী-স্ত্রী) দুজনে ডাক্তার দেখাতে যান। ওই দিন নতুন কুমার চাকমার স্ত্রী ডাক্তার দেখাতে পারলেও আমার ভাই ডাক্তার দেখাতে পারেননি। এরপর তাঁরা রিজার্ভ বাজারে শান্তি আবাসিক (বোর্ডিং) হোটেলে রুম ভাড়া নেন। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে রুমে ৫ জন অচেনা লোক এসে আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। তাঁর মোবাইলও বন্ধ। কোথায় আছেন, জীবিত আছেন নাকি মারা গেছেন তার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। 

কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব বা বিরোধ আছে কি-না জানতে চাইলে লালসিয়াম পাংখোয়া বলেন, কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল না। কে বা কারা এ কাজ করে থাকতে পারে কিছুই অনুমান করতে পারছেন না তিনি।

এ বিষয়ে নতুন কুমার চাকমা বলেন, আমার স্ত্রীর পেটে সমস্যার কারণে গত বুধবার লালতন পাংখোয়াসহ রাঙামাটিতে ডাক্তার দেখাতে যাই। ওই দিন আমার স্ত্রীর ডাক্তার দেখাতে পারলেও হেডম্যান দেখাতে পারেননি। এরপর আমরা রিজার্ভ বাজারের শান্তি বোর্ডিংয়ে রুম ভাড়া নিই। পরদিন দুপুরে ৫ জন অচেনা ব্যক্তি (বাঙালি) এসে রুমে ঢোকেন এবং লালতনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় আমাদের নড়াচড়া না করার হুমকি দেন। এরপর লালতন নিজের পরিচয় দিলে তাঁকে বাইরে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। 

শান্তি বোর্ডিংয়ের ম্যানেজার মিটু কর বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৪-৫ জন লোক হোটেলে এসে লালতনের খোঁজ করে এন্ট্রি বই চেক করেন। এরপর তাঁরা পরিচয় নিশ্চিত হয়ে রুমে ঢুকে লালতন পাংখোয়াকে একটি বাক্সের কথা বলে এবং সঙ্গে থাকা আরেকজন ব্যক্তির কথা জিজ্ঞেস করেন। পরে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে জানতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আমাকে ডাকা হলে একই কথা পুলিশ সুপারকেও বলেছি। 

বরকল মডেল থানার ওসি বলেন, হেডম্যান নিখোঁজের বিষয়টি আমি জানি। তাঁর স্ত্রী থানায় একটি জিডি করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এখনো পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ পেলে জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত