Ajker Patrika

হাতিয়ায় টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়, কারও মুখে নেই মাস্ক 

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ০৫
হাতিয়ায় টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়, কারও মুখে নেই মাস্ক 

নোয়াখালীর হাতিয়ায় টিকাকেন্দ্রে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো সামাজিক দূরত্ব ছিল না। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছে। কিন্তু লাইনে ঘা ঘেঁষে দাঁড়ানোর কারণে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য উপজেলার মেঘনা ডায়াগনস্টিক ল্যাবে অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সামনে প্রশস্ত জায়গা থাকায় বেসরকারি এই ল্যাবকে টিকাকেন্দ্র বানানো হয়েছে। কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আটটি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আজ সকাল পর্যন্ত ৮ হাজার ৩১৭ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। 

আজ সকালে সরেজমিন টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। দূরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাড়া করে টিকা দিতে এসেছে। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে তারা। ছাত্রছাত্রীরা পৃথক দুটি লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে। লাইন দুটি টিকাকেন্দ্র থেকে শুরু করে আইনজীবী সমিতির ভবন হয়ে প্রধান সড়কে চলে গেছে। কিন্তু সবাই দাঁড়িয়ে আছে গা ঘেঁষে এবং কারও মুখে মাস্ক নেই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভিড়ে প্রধান সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। 

হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, এ উপজেলায় উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে ৩৪টি, মাদ্রাসা ১৭টি ও কলেজ ৪টি। এর মধ্যে ১২-১৮ বছর বয়সের প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা কার্যক্রম শেষ করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বয়স নির্ধারণ করে একটি তালিকা দেওয়া হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে টিকা। 

হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মাইন উদ্দিন বলেন, গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হাতিয়া উপজেলায় শুরু করা হয় টিকা কার্যক্রম। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৮ জনকে প্রথম ডোজ ও ৫৭ হাজার ৪৬৬ জনকে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা। এ জন্য বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়নভিত্তিক গণটিকা কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। তবে এখন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেও টিকার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন মাহতাব উদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির প্রথম থেকে এ পর্যন্ত হাতিয়াতে ১ হাজার ৯৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩০১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন। 

মাহতাব উদ্দিন আরও বলেন, প্রতিদিনই হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উপসর্গ নিয়ে লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাবে এসে নমুনা পরীক্ষা করছেন। তবে গত দেড় মাসে হাতিয়ায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএমএমইউতে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে যা বললেন প্রাণ গোপালের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা

বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব: গ্রেপ্তার ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী

জামিনে বেরিয়েই ছদ্মনামে হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ডিবি হেফাজতে’ মৃত এজাজ

স্বাধীনতা দিবসে এবার কুচকাওয়াজ হচ্ছে না

নিউজিল্যান্ডের কাছে বাজে হারের ‘বদলা’ নেবেই পাকিস্তান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত