ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সড়কের পাশ থেকে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে ওই হিজড়াকে হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার সেই যুবক।
গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ওই যুবক। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি জানান, তাঁকে ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে চাওয়ায়, ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকা হিজড়াকে হত্যা করেছেন তিনি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন।
গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম রাকিব (২৩)। তিনি জেলার কসবা উপজেলার গুনিনপাড়া (কলেজ পাড়া) এলাকার মো. নাছিরের ছেলে।
নিহত ওই হিজড়ার নাম সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু (২৫)। তিনি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর এলাকার দক্ষিণ সুকদেবপুরের ছাদের আলীর সন্তান। গত শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-কসবা আঞ্চলিক সড়কের গোপীনাথপুর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু হিজড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মনিয়ন্দ এলাকার অজন্তা হিজড়াকে গুরু মানতেন। সেই সুবাদে দুষ্টু কসবা উপজেলায় গোপীনাথপুর থেকে হিজড়া সংগঠনের কাজকর্ম করতেন। আনুমানিক ৭-৮ মাস আগে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর সঙ্গে অটোরিকশাচালক রাকিবের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন সময়ে ওই অটোরিকশায় চলাফেরা করতেন। অটোরিকশাচালক রাকিব প্রায়ই দুষ্টুর ভাড়া বাসায় গিয়ে থাকতেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদও হতো বলে জানা যায়।
অটোরিকশাচালক রাকিবের বরাত দিয়ে ওসি মহিউদ্দিন বলেন, ঈদুল আজহার পরদিন রাতে দুষ্টু হিজড়া তাঁর প্রেমিক অটোরিকশাচালক রাকিবকে কল দেন। পরে রাকিব দুষ্টুকে অটোরিকশায় নিয়ে বাসা থেকে বের হন। কিছু দূর যাওয়ার পর গোপীনাথপুর সেকান্দারপাড়ায় এলাকায় পৌঁছালে দুষ্টু রাকিবকে জানান, সে তাঁর বাড়ি দিনাজপুরে চলে যাবে। এই কথা শুনে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে দুষ্টুকে গালাগাল করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে একটি গাছের ডাল দিয়ে দুষ্টুর মাথায় আঘাত করেন রাকিব। এ সময় দুষ্টু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে একটি ইটের ভাঙা অংশ দিয়ে আবারও দুষ্টুর মাথায় আঘাত করেন রাকিব। পরে আঘাতপ্রাপ্ত দুষ্টুকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে রাকিব পালিয়ে যান। একপর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর গুরু মাকে কল দিয়ে জানান, দুষ্টুর লাশ গোপীনাথপুর সেকান্দারপাড়ায় পড়ে আছে। এরপর ফোন বন্ধ করে রাকিব পালিয়ে যান। কসবা থানা-পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর রাকিব মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে ১৬৪ ধারা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি মহিউদ্দিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সড়কের পাশ থেকে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে ওই হিজড়াকে হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার সেই যুবক।
গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ওই যুবক। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি জানান, তাঁকে ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে চাওয়ায়, ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকা হিজড়াকে হত্যা করেছেন তিনি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন।
গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম রাকিব (২৩)। তিনি জেলার কসবা উপজেলার গুনিনপাড়া (কলেজ পাড়া) এলাকার মো. নাছিরের ছেলে।
নিহত ওই হিজড়ার নাম সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু (২৫)। তিনি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর এলাকার দক্ষিণ সুকদেবপুরের ছাদের আলীর সন্তান। গত শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-কসবা আঞ্চলিক সড়কের গোপীনাথপুর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু হিজড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মনিয়ন্দ এলাকার অজন্তা হিজড়াকে গুরু মানতেন। সেই সুবাদে দুষ্টু কসবা উপজেলায় গোপীনাথপুর থেকে হিজড়া সংগঠনের কাজকর্ম করতেন। আনুমানিক ৭-৮ মাস আগে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর সঙ্গে অটোরিকশাচালক রাকিবের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন সময়ে ওই অটোরিকশায় চলাফেরা করতেন। অটোরিকশাচালক রাকিব প্রায়ই দুষ্টুর ভাড়া বাসায় গিয়ে থাকতেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদও হতো বলে জানা যায়।
অটোরিকশাচালক রাকিবের বরাত দিয়ে ওসি মহিউদ্দিন বলেন, ঈদুল আজহার পরদিন রাতে দুষ্টু হিজড়া তাঁর প্রেমিক অটোরিকশাচালক রাকিবকে কল দেন। পরে রাকিব দুষ্টুকে অটোরিকশায় নিয়ে বাসা থেকে বের হন। কিছু দূর যাওয়ার পর গোপীনাথপুর সেকান্দারপাড়ায় এলাকায় পৌঁছালে দুষ্টু রাকিবকে জানান, সে তাঁর বাড়ি দিনাজপুরে চলে যাবে। এই কথা শুনে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে দুষ্টুকে গালাগাল করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে একটি গাছের ডাল দিয়ে দুষ্টুর মাথায় আঘাত করেন রাকিব। এ সময় দুষ্টু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে একটি ইটের ভাঙা অংশ দিয়ে আবারও দুষ্টুর মাথায় আঘাত করেন রাকিব। পরে আঘাতপ্রাপ্ত দুষ্টুকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে রাকিব পালিয়ে যান। একপর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর গুরু মাকে কল দিয়ে জানান, দুষ্টুর লাশ গোপীনাথপুর সেকান্দারপাড়ায় পড়ে আছে। এরপর ফোন বন্ধ করে রাকিব পালিয়ে যান। কসবা থানা-পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর রাকিব মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে ১৬৪ ধারা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি মহিউদ্দিন।
নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি আবাসনপ্রতিষ্ঠান কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস ছয় দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ না করায় বিপাকে পড়েছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)।
৮ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি তেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী।
৩৩ মিনিট আগেরাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৯ ঘণ্টা আগে