Ajker Patrika

রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা আপাতত কমছে না, জানাল জাতিসংঘ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ জনপ্রতি ১২ মার্কিন ডলার রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সম্প্রতি সংস্থাটি তহবিল সংকটের কারণে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে এপ্রিল মাস থেকে জনপ্রতি ৬ ডলারে নামানোর ঘোষণা দিয়েছিল। তবে এ সিদ্ধান্ত বদল করে ডব্লিউএফপি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরাদ্দের বিষয়ে ডব্লিউএফপি থেকে চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক ১২ ডলার ও নোয়াখালীর ভাসানচরের অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য জনপ্রতি ১৩ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তহবিল সংকটের মধ্যেও খাদ্য সহায়তা ঠিক রাখার বিষয়টি ডব্লিউএফপি নিশ্চিত করেছে বলে জানান তিনি।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এ সিদ্ধান্তের কারণে রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। এর আগে গত ৫ মার্চ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়কে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কমানোর বিষয়ে ডব্লিউএফপির চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল।

এরপর রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বরাবর পিটিশন দাখিল করে বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

এর মধ্যে গত ১৪ মার্চ বিশ্বের বৃহত্তম কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শনে আসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘের মহাসচিব আশ্রয়শিবির পরিদর্শন শেষে তহবিল সংকটের বিষয়টি নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপরই ডব্লিউএফপি থেকে খাদ্য সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত সরে আসার বিষয়টি ইতিবাচক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবির ও নোয়াখালীর ভাসানচরে বর্তমানে ১৩ লাখেরও বেশি মিয়ানামারে জান্তা বাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পরে আশ্রয় নেয় অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে গত এক বছরে রাখাইনে চলমান সংঘাতে প্রাণ বাঁচাতে আরও ৮০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। গত সাড়ে ৭ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমার ফেরত নিয়ে যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত