চট্টগ্রাম ওয়াসা: দুই মাসে ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা কম আদায়

সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ১৪
Thumbnail image

চট্টগ্রাম ওয়াসার গ্রাহকদের মধ্যে পানির বিল পরিশোধে অনেকটা অনীহা দেখা দিয়েছে। গত জুন মাসের তুলনায় জুলাই-আগস্ট মিলে কম আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৪৬ লাখ। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দ্রুত সভা করার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা কাজী শহিদুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব শাখার তথ্যমতে, গত জানুয়ারিতে রাজস্ব আদায় হয় ২৩ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, মার্চে ২২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার, এপ্রিলে ২২ কোটি ৮৮ লাখ, মে মাসে ২২ কোটি ৭৬ লাখ ১৮ হাজার, জুনে আদায় হয় ২৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। কিন্তু জুলাইয়ে রাজস্ব ৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা কমে আদায় হয় ১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগস্টে আদায় হয় ১৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। জুনের চাইতে জুলাই-আগস্টে ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, ওয়াসার সংযোগ আছে ৮৬ হাজার ৩০৯টি। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। আবাসিক গ্রাহকেরা এক হাজার লিটার পানি পাচ্ছেন ১৮ টাকায়। বাণিজ্যিক বা অনাবাসিক গ্রাহকেরা একই পরিমাণ পানির জন্য ওয়াসাকে দিচ্ছেন ৩৭ টাকা।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, নগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ৫০ কোটি লিটার। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়া শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-১ ও ২ প্রকল্প থেকে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার করে ২৮ কোটি লিটার এবং মোহরা পানি শোধনাগার ও মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি শোধনাগারে ৯ কোটি লিটার করে ১৮ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হয়। এর সঙ্গে আছে গভীর নলকূপের পানি। সব মিলিয়ে দৈনিক সরবরাহ করা হয় ৪৫ কোটি লিটার পানি।

চট্টগ্রাম ওয়াসায় প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা বিল আদায় হয়। জুলাই-আগস্টে একটু কম আদায় হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মাকসুদ আলম।

এ বিষয়ে কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক মাস বিল আদায় তুলনামূলক কম হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে নানা কারণে বিল আদায়ে ওয়াসার পক্ষ থেকে তেমন তৎপরতা চালানো যায়নি। তবে আমরা উদ্যোগী হচ্ছি। সরকারি সংস্থার টাকা পরিশোধ না করে কোনো উপায় নেই। বরং পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে বেশি বকেয়া পরিশোধ করা গ্রাহকের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।’

গ্রাহকদের পানির মিটারের রিডিং দেখে বিল লেখা এবং বিলের কাগজ পৌঁছানোর জন্য মিটার পরিদর্শক পদে কর্মরত আছেন চার নারীসহ মাত্র ৩৭ জন। মিটার পরিদর্শকের স্বল্পতার কারণেও ওয়াসার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে বলে জানান কাজী শহিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত