সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য বীর নিবাসের নির্মাণকাজ দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে। একদিকে নতুন ঘর মেরামতের সামর্থ্য নেই, অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে থেমে আছে নতুন ঘর নির্মাণের কাজ। উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলী বেঁচে থাকতে নতুন ঘরে থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলীর সঙ্গে দেখা করতে যান আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক। তখন বীর নিবাসের অসম্পন্ন অবস্থায় থেমে থাকা কাজের দিকে চেয়ে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘মরার আগে বুঝি এ ঘরে থাকতে পারব না! মরা মানুষের মতো আমার ঘরটি টাঙ্গাইয়া রাখছে। নতুন ঘরের আশায় পুরান ঘরও ঠিক করছি না। মেঘ হইলে বৃষ্টি পড়ে। অসুস্থ শরীর নিয়া কই থাকি, কই ঘুমাই!’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও কয়েকজন এলাকাবাসীর সঙ্গেও কথা হয় প্রতিবেদকের। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ছয়টি আবাসন (বীর নিবাস) নির্মাণের জন্য চলতি বছরের ৭ মার্চ দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজগুলো পায় মেসার্স খন্দকার অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারকে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২৬ জুনের মধ্যে এই ছয়টি বীর নিবাস নির্মাণ শেষ করার কথা ছিল। প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয় ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।
দেখা যায়, ছয়টির মধ্যে পাঁচটি বীর নিবাসের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলীর বীর নিবাসের কাজ হয়েছে অর্ধেকের কম। বর্তমানে দেড় মাস ধরে কাজ বন্ধ আছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার মাস সময় অতিবাহিত হলেও সেই কাজের অগ্রগতি নেই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভাঙা ঘরে ঘুমাই। বৃষ্টি আসলে মাথায় পলিথিন দেই। অসুস্থ শরীর! স্বপ্ন ছিল বীর নিবাসে যেন আমার মৃত্যু হয়। শরীরের যে অবস্থা, ভাঙা ঘরেই মৃত্যু হবে। মরার আগে বুঝি এই বীর নিবাসে ঘুমাতে পারব না। একদিন রাজমিস্ত্রি আসলে আরেক দিন আসে না। জুনেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আজ (শুক্রবার) অক্টোবরের ৭ তারিখ। সাত মাস পার হলো ঘরের কাজ অর্ধেকও হয়নি। আরও ছয় মাস লাগবে ঘরের কাজ শেষ হতে। তত দিন হয়তো আমার হাড়ও মাটির সাথে মিশে যাবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলীর স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন, ‘ঘরের কাজ শেষ হওয়ার কথা চার মাস আগে। ঠিকাদারের কাজের গতি দেখে মনে হচ্ছে এক বছরেও কাজ শেষ হবে না। আমার স্বামী অসুস্থ। যে কোনো সময় মারা যাইতে পারে। খুব শখ ছিল বীর নিবাসে ঘুমাবেন। মনে হয় না মরার আগে আমার স্বামী এই বীর নিবাসে ঘুমাতে পারবে!’
জোসনা বেগম আরও বলেন, ‘দেড় মাস আগে রাজমিস্ত্রিরা বীর নিবাসের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। এই কাজে খুবই নিম্নমানের বালু, ইট ও সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। ইট ধরলেই খুলে যায়। পরিমাণের তুলনায় বালু আর সিমেন্ট অনেক কম দিয়েছে। দেড় মাসের বেশি সময় কাজ বন্ধ, এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নাই।’
এ বিষয়ে বীর নিবাসের নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খন্দকার অ্যান্ড ব্রাদার্সের ঠিকাদার শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিল না পেলে কাজ করব কীভাবে। অর্ধেক বিল দেওয়ার কথা ছিল। এখনো এক টাকা পাইনি। টাকা না পেলে ঠিকাদার কাজ করবে কীভাবে? আর তাঁরা যে অভিযোগ করছেন নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যেটুকু কাজ হয়েছে তাতে মানসম্মত ইট, বালু ও সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে।’
ঠিকাদার শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বীর নিবাসের কাজে আমাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। এক বান্ডিল রড ও ১১ বস্তা সিমেন্ট নাই হয়ে গেছে। তা ছাড়া তাঁরা নকশার বাইরে কাজ করতে চান। এটা নিয়মবহির্ভূত। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হইছে। উধাও হওয়া রড, সিমেন্টের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, ‘বরাদ্দ নাই, তাই কাজ বন্ধ। বরাদ্দ আসলে আবার কাজ শুরু হবে। টাকা ছাড়া তো আর কাজ শুরু করা যাবে না। অপেক্ষা করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ‘এতে কান্নার কী আছে! টাকা বরাদ্দ আসবে, ঠিকাদার তো বিল না পেলে কাজ করবে না। ধাপে ধাপে বিল দেবে, ধাপে ধাপে কাজ হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য বীর নিবাসের নির্মাণকাজ দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে। একদিকে নতুন ঘর মেরামতের সামর্থ্য নেই, অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে থেমে আছে নতুন ঘর নির্মাণের কাজ। উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলী বেঁচে থাকতে নতুন ঘরে থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলীর সঙ্গে দেখা করতে যান আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক। তখন বীর নিবাসের অসম্পন্ন অবস্থায় থেমে থাকা কাজের দিকে চেয়ে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘মরার আগে বুঝি এ ঘরে থাকতে পারব না! মরা মানুষের মতো আমার ঘরটি টাঙ্গাইয়া রাখছে। নতুন ঘরের আশায় পুরান ঘরও ঠিক করছি না। মেঘ হইলে বৃষ্টি পড়ে। অসুস্থ শরীর নিয়া কই থাকি, কই ঘুমাই!’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও কয়েকজন এলাকাবাসীর সঙ্গেও কথা হয় প্রতিবেদকের। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ছয়টি আবাসন (বীর নিবাস) নির্মাণের জন্য চলতি বছরের ৭ মার্চ দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজগুলো পায় মেসার্স খন্দকার অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারকে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২৬ জুনের মধ্যে এই ছয়টি বীর নিবাস নির্মাণ শেষ করার কথা ছিল। প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয় ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।
দেখা যায়, ছয়টির মধ্যে পাঁচটি বীর নিবাসের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলীর বীর নিবাসের কাজ হয়েছে অর্ধেকের কম। বর্তমানে দেড় মাস ধরে কাজ বন্ধ আছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার মাস সময় অতিবাহিত হলেও সেই কাজের অগ্রগতি নেই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভাঙা ঘরে ঘুমাই। বৃষ্টি আসলে মাথায় পলিথিন দেই। অসুস্থ শরীর! স্বপ্ন ছিল বীর নিবাসে যেন আমার মৃত্যু হয়। শরীরের যে অবস্থা, ভাঙা ঘরেই মৃত্যু হবে। মরার আগে বুঝি এই বীর নিবাসে ঘুমাতে পারব না। একদিন রাজমিস্ত্রি আসলে আরেক দিন আসে না। জুনেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আজ (শুক্রবার) অক্টোবরের ৭ তারিখ। সাত মাস পার হলো ঘরের কাজ অর্ধেকও হয়নি। আরও ছয় মাস লাগবে ঘরের কাজ শেষ হতে। তত দিন হয়তো আমার হাড়ও মাটির সাথে মিশে যাবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলীর স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন, ‘ঘরের কাজ শেষ হওয়ার কথা চার মাস আগে। ঠিকাদারের কাজের গতি দেখে মনে হচ্ছে এক বছরেও কাজ শেষ হবে না। আমার স্বামী অসুস্থ। যে কোনো সময় মারা যাইতে পারে। খুব শখ ছিল বীর নিবাসে ঘুমাবেন। মনে হয় না মরার আগে আমার স্বামী এই বীর নিবাসে ঘুমাতে পারবে!’
জোসনা বেগম আরও বলেন, ‘দেড় মাস আগে রাজমিস্ত্রিরা বীর নিবাসের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। এই কাজে খুবই নিম্নমানের বালু, ইট ও সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। ইট ধরলেই খুলে যায়। পরিমাণের তুলনায় বালু আর সিমেন্ট অনেক কম দিয়েছে। দেড় মাসের বেশি সময় কাজ বন্ধ, এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নাই।’
এ বিষয়ে বীর নিবাসের নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খন্দকার অ্যান্ড ব্রাদার্সের ঠিকাদার শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিল না পেলে কাজ করব কীভাবে। অর্ধেক বিল দেওয়ার কথা ছিল। এখনো এক টাকা পাইনি। টাকা না পেলে ঠিকাদার কাজ করবে কীভাবে? আর তাঁরা যে অভিযোগ করছেন নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যেটুকু কাজ হয়েছে তাতে মানসম্মত ইট, বালু ও সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে।’
ঠিকাদার শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বীর নিবাসের কাজে আমাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। এক বান্ডিল রড ও ১১ বস্তা সিমেন্ট নাই হয়ে গেছে। তা ছাড়া তাঁরা নকশার বাইরে কাজ করতে চান। এটা নিয়মবহির্ভূত। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হইছে। উধাও হওয়া রড, সিমেন্টের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, ‘বরাদ্দ নাই, তাই কাজ বন্ধ। বরাদ্দ আসলে আবার কাজ শুরু হবে। টাকা ছাড়া তো আর কাজ শুরু করা যাবে না। অপেক্ষা করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ‘এতে কান্নার কী আছে! টাকা বরাদ্দ আসবে, ঠিকাদার তো বিল না পেলে কাজ করবে না। ধাপে ধাপে বিল দেবে, ধাপে ধাপে কাজ হবে।’
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে