হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কেউ চড়ছে ঘোড়ার পিঠে। কেউ নদীতে সাঁতার কাটছে। শিশুরা হাঁটুপানিতে নেমে করছে দুরন্তপনা। পরিবারের অন্য সদস্যরা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে তুলছে ছবি। প্রচণ্ড রোদ কাউকে থামাতে পারেনি। ঈদ-পরবর্তী গত কয়েক দিন একই চিত্র দেখা যাচ্ছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ঐতিহ্যবাহী কমলার দীঘির সমুদ্রসৈকতে।
হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব পাশে বেড়িবাঁধের বাইরে এই সমুদ্রসৈকতের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে পাকা রাস্তায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটারের দূরত্ব হওয়ায় অনেকে আসছেন এখানে। গণপরিবহন চলাচল না করায় সবাই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এসেছেন এই সমুদ্রসৈকতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যক্তিমালিকানার সারি সারি গাড়ি রাখা কেওড়া বাগানের ফাঁকে ফাঁকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই এখানে অবস্থান করে আর অন্ধকার হওয়ার আগেই সবাই যে যার মতো বাড়িতে ফিরে যায়।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম চৌকিদার শংকর চন্দ্র সাহা জানান, ঈদের দিন থেকেই এখানে মানুষের সমাগম হচ্ছে। প্রতিদিন ৭-৮ হাজার মানুষ আসছে এখানে। দুই যুগেরও বেশি সময় এই স্থানে দর্শনার্থীদের পদচারণা থাকলেও এবার সবচেয়ে বেশি মানুষ এখানে আসছে। নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় মানুষ এখানে বেশি আসে না।
মানুষের তৈরি বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজমান। একদিকে তিন কিলোমিটার বিশাল সি বিচ। আছে বিশাল কেওড়াবাগান।
ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদ্যাপন করতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আলা উদ্দিন এসেছেন পরিবার নিয়ে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকের কাছে শুনেছি এই কমলার দীঘির গল্প। সত্যিই দেখার মতো জায়গা এটি। ছোট শিশুরাও আনন্দে আত্মহারা। সহজে নদীতে নামা যায়, কোনো কাদা লাগে না। তীব্র গরমে বনের মধ্যে একটু দাঁড়ালে প্রশান্তি চলে আসে। বিদ্যুতের সরবরাহ নেই। নেই কোনো বৈদ্যুতিক পাকা। এর পরও সবাই ক্লান্তিহীন।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল সহিদ জানান, গত কয়েক বছর ধরে এখানে মানুষ আসছে। তবে এবার যে পরিমাণ মানুষ এসেছে, তা বিগত বছরগুলোতে কখনো আসেনি। কিন্তু অতিরিক্ত মানুষের চাপে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের দিন তীব্র যানজট ছিল। বেড়িবাঁধ থেকে পূর্বদিকে সৈকতে যাওয়ার রাস্তাটি সরু হওয়ায় অনেকের ভিন্ন ভিন্ন পথে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়া লাগছে।
চরঈশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন জানান, ২০২৩ সালে হরিণের খাওয়ার পানি জোগান দেওয়ার জন্য এখানে একটি দীঘি তৈরি করা হয়। মাটিকাটা এক নারী শ্রমিকের নামানুসারে এর নাম রাখা হয় কমলার দীঘি। এর পাশে বন বিভাগ কেওড়াবাগান এবং পরে ঝাউবাগান সৃজন করে। এতে স্থানটি দর্শনীয় হয়ে ওঠে। তিন বছর আগে কেওড়াবাগানের পাশে নদীর কূল ঘেঁষে বিশাল বিচ তৈরি হয়, যা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেক লোক আসছে। গত কয়েক বছর সরকারি–বেসরকারি ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এখানে আসেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষের আনাগোনা বেশি দেখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পরে কয়েকটি ছাতা ও একটি শৌচাগার নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এবার ঈদে মানুষের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে গ্রাম চৌকিদার নিয়োজিত করা হয়। তাঁরা প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট অনেক কম হওয়ায় অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা যাচ্ছে না। সরকারিভাবে পর্যটন করপোরেশন থেকে লোকজন এসেছে। তাঁরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিলে এই স্থান পর্যটন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কেউ চড়ছে ঘোড়ার পিঠে। কেউ নদীতে সাঁতার কাটছে। শিশুরা হাঁটুপানিতে নেমে করছে দুরন্তপনা। পরিবারের অন্য সদস্যরা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে তুলছে ছবি। প্রচণ্ড রোদ কাউকে থামাতে পারেনি। ঈদ-পরবর্তী গত কয়েক দিন একই চিত্র দেখা যাচ্ছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ঐতিহ্যবাহী কমলার দীঘির সমুদ্রসৈকতে।
হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব পাশে বেড়িবাঁধের বাইরে এই সমুদ্রসৈকতের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে পাকা রাস্তায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটারের দূরত্ব হওয়ায় অনেকে আসছেন এখানে। গণপরিবহন চলাচল না করায় সবাই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এসেছেন এই সমুদ্রসৈকতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যক্তিমালিকানার সারি সারি গাড়ি রাখা কেওড়া বাগানের ফাঁকে ফাঁকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই এখানে অবস্থান করে আর অন্ধকার হওয়ার আগেই সবাই যে যার মতো বাড়িতে ফিরে যায়।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম চৌকিদার শংকর চন্দ্র সাহা জানান, ঈদের দিন থেকেই এখানে মানুষের সমাগম হচ্ছে। প্রতিদিন ৭-৮ হাজার মানুষ আসছে এখানে। দুই যুগেরও বেশি সময় এই স্থানে দর্শনার্থীদের পদচারণা থাকলেও এবার সবচেয়ে বেশি মানুষ এখানে আসছে। নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় মানুষ এখানে বেশি আসে না।
মানুষের তৈরি বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজমান। একদিকে তিন কিলোমিটার বিশাল সি বিচ। আছে বিশাল কেওড়াবাগান।
ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদ্যাপন করতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আলা উদ্দিন এসেছেন পরিবার নিয়ে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকের কাছে শুনেছি এই কমলার দীঘির গল্প। সত্যিই দেখার মতো জায়গা এটি। ছোট শিশুরাও আনন্দে আত্মহারা। সহজে নদীতে নামা যায়, কোনো কাদা লাগে না। তীব্র গরমে বনের মধ্যে একটু দাঁড়ালে প্রশান্তি চলে আসে। বিদ্যুতের সরবরাহ নেই। নেই কোনো বৈদ্যুতিক পাকা। এর পরও সবাই ক্লান্তিহীন।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল সহিদ জানান, গত কয়েক বছর ধরে এখানে মানুষ আসছে। তবে এবার যে পরিমাণ মানুষ এসেছে, তা বিগত বছরগুলোতে কখনো আসেনি। কিন্তু অতিরিক্ত মানুষের চাপে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের দিন তীব্র যানজট ছিল। বেড়িবাঁধ থেকে পূর্বদিকে সৈকতে যাওয়ার রাস্তাটি সরু হওয়ায় অনেকের ভিন্ন ভিন্ন পথে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়া লাগছে।
চরঈশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন জানান, ২০২৩ সালে হরিণের খাওয়ার পানি জোগান দেওয়ার জন্য এখানে একটি দীঘি তৈরি করা হয়। মাটিকাটা এক নারী শ্রমিকের নামানুসারে এর নাম রাখা হয় কমলার দীঘি। এর পাশে বন বিভাগ কেওড়াবাগান এবং পরে ঝাউবাগান সৃজন করে। এতে স্থানটি দর্শনীয় হয়ে ওঠে। তিন বছর আগে কেওড়াবাগানের পাশে নদীর কূল ঘেঁষে বিশাল বিচ তৈরি হয়, যা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেক লোক আসছে। গত কয়েক বছর সরকারি–বেসরকারি ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এখানে আসেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষের আনাগোনা বেশি দেখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পরে কয়েকটি ছাতা ও একটি শৌচাগার নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এবার ঈদে মানুষের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে গ্রাম চৌকিদার নিয়োজিত করা হয়। তাঁরা প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট অনেক কম হওয়ায় অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা যাচ্ছে না। সরকারিভাবে পর্যটন করপোরেশন থেকে লোকজন এসেছে। তাঁরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিলে এই স্থান পর্যটন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে শতাধিক ব্যক্তি। বাড়িটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বলে দাবি করেন তারা। ওই বাড়িতে গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা হত্যাকারীরা আশ্রয় নিয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্র...
২ মিনিট আগে‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৯ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
৯ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
৯ ঘণ্টা আগে