পুলিশ আসতেই বৃষ্টির মধ্যেই দৌড়ে পালালেন বর কনেসহ অতিথিরা

প্রতিনিধি
Thumbnail image

রাউজান (চট্টগ্রাম): সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। পাঁচ-ছয় শ অতিথির উপস্থিতিতে রীতিমতো সাজসাজ রব। কেউ খাচ্ছেন, কেউ–বা আবার উপহার বুঝিয়ে দিয়ে পান চিবোতে চিবোতে খোশগল্পে মত্ত। থেমে নেই আয়া–সুয়োর দলও। শাড়ি লেহেঙ্গার ঝকমারি সাজে বিয়ের আনন্দে উদ্বেল তারা।

এত সব আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে সবাই হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন যে, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় গণজমায়েত হয় এমন যেকোনো অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ঘটনাস্থল চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলাধীন নোয়াপাড়া এলাকার কর্ণফুলী কনভেনশন হল। আজ সোমবার দুপুর থেকেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল সেখানে। অতিথি সমাগম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে আসে বিয়ের ক্ষণও।

বেলা ১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে হাজির হয়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রামের (রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন। বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলের সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়াতেই হুলুস্থুল পড়ে যায়। পুলিশ দেখে এদিক–ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে সবাই। পগারপার কমিউনিটি সেন্টার কর্ণফুলী কনভেনশন হলের ব্যবস্থাপক ও আয়োজক ছেলে-মেয়ের মা-বাবাও। প্লেট, খাবারদাবার, উপহার সব ফেলে দৌড়ে পালান অতিথিরা। বাদ যাননি বর রফিকুল ইসলাম ও কনে শাহনাজ বেগমও। সুযোগ বুঝে সন্তর্পণে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন তাঁরা। উৎসবে গমগম করা একটি বিয়েবাড়ি মুহূর্তেই ভুতুড়ে বাড়িতে রূপ নেয়।

পরবর্তী ঘণ্টা দু-এক এদিক–ওদিক খোঁজখবর করে কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বাদশা ও কনের বাবা মো. জামাল উদ্দিনের হদিস মেলে। পরে তাঁরা দুজন এএসপির কাছে এই মর্মে মুচলেকা দেন, তাঁরা সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আর কখনো এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন না।

এ বিষয়ে এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, আনুমানিক পাঁচ-ছয় শ অতিথির উপস্থিতিতে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। কিন্তু আমাদের দেখেই তারা যে যার মতো করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যান। তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও আয়োজকদের প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত