চবিতে সাংবাদিককে হেনস্তার বিচার দাবিতে ৪ ঘণ্টার কলম বিরতি

চবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক (চবিসাস) সমিতির সদস্য ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হেনস্তার ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও কলমবিরতি পালন করা হয়েছে।

আজ রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। এতে একাত্মতা প্রকাশ করেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার কলম বিরতি পালন করেন তাঁরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, যখন সাংবাদিকদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়, তখন মূলত সব শিক্ষার্থীর স্বাধীনতাই কেড়ে নেওয়া হয়। যখন কোনো সাংবাদিক হেনস্তার শিকার হয় তখন অভিযুক্তরা বলে সাংবাদিক জানলে এ রকম করতাম না। তার মানে কি সাংবাদিক না হলেই তাকে মারার কিংবা হেনস্তার অধিকার তার আছে? এর থেকে বোঝা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে নিরাপদ না।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনা চবি ক্যাম্পাসে নতুন নয়। কার্যকর শাস্তি না হওয়ায় বারবার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। নতুবা পরবর্তীতে প্রশাসনের সব ধরনের সংবাদ বর্জনসহ কঠোর আন্দোলন ডাক দিতে বাধ্য হবে সাংবাদিকেরা। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ঘটনার পরে প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু ঘটনার ১৭ দিন পার হলেও বিচার তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যন্ত জমা হয়নি। বিচারের এমন দীর্ঘসূত্রতা বিচারহীনতার নামান্তর।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী কিংবা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। যারা অভিযুক্ত তাদের সবার পরিচয় স্পষ্ট। প্রশাসন তাদের সবাইকে চিনে। তাও এত দিনে বিচার নিশ্চিত করতে না পেরে প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আগেও এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন সেসব ঘটনায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। যার কারণেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনরত সাংবাদিকেরা আমাদেরই শিক্ষার্থী। সবাই যেহেতু আমাদের শিক্ষার্থী, আমি অনুরোধ করব আন্দোলন করার দরকার নেই। আমরা তদন্ত কমিটির সঙ্গে বসব, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ হয়।’ 

উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ সময় কর্তব্যরত সাংবাদিক মারজান আক্তারকে হেনস্তা ও তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ, আল্টিমেটামসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে চবি সাংবাদিক সমিতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত