বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তে আবারও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রশাসন।
গত রবি ও সোমবার গোলাগুলি বন্ধ ছিল। তবে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘুমধুমের রেজু আমতলী ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোলাগুলি হলেও সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে বসবাসকারীদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কও দেখা দেয়। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের নিক্ষিপ্ত গোলা পড়া ও যুদ্ধবিমানের মহড়ার কারণে সীমান্তে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদ স্থানে সরে এসেছেন।
অন্যদিকে ঘুমধুম সীমান্তে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের আমতলী, তুমব্রু, রেজু ও বাইশফাঁড়ি এলাকায় সীমান্তের ওপারে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। সে দেশের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহীদের গোলাগুলি চলতে থাকে। এর ফলে দুই দফায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায় ১০০ গজের মধ্যে দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এরপর গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মহড়া দেয়। এ সময় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে অন্তত ৫০ রাউন্ড গোলাবর্ষণ হয়। এর মধ্যে দুটি গোলা ঘুমধুমের রেজু আমতলী এলায় এসে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম ওই সময় গণমাধ্যমকে সীমান্তে গোলাগুলির কথা বলেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছিলেন, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
এদিকে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর ) যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মহড়া ও গোলাগুলির ঘটনার পর গত রবি ও সোমবার (৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর) সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই দিন সীমান্তে মিয়ানমারের গোলাগুলির ঘটনা না ঘটায় বাংলাদেশের ঘুমধুম ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। দুই দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। সীমান্তসংলগ্ন ঘুমধুমের লোকজন সকাল ৮টার দিক থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনে। এটা চলে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তবে মঙ্গলবার মিয়ানমারের নিক্ষিপ্ত গোলা বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে পড়েনি। তবে স্থানীয়দের মধ্যে ফের উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। আজ সকালে সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবিকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েকজন সাংবাদিক মঙ্গলবার ঘুমধুম সীমান্তে গেছেন। সাংবাদিক আবদুর রশিদ বলেন, দুই দিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তে ফের গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুমের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উক্যচিং তংচংগা।
গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিদিন বর্মী (মিয়ানমার) সামরিক বাহিনীর গোলাগুলিতে বিদ্যালয়ে বসেই শোনা যেত বিকট শব্দ। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ছিলাম শঙ্কায়। তাই বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমাকে অবহিত করেছিলাম।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় আমাদের (বিজিবি) নজরদারি ও টহল সব সময়ই থাকে। তবে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তে আবারও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রশাসন।
গত রবি ও সোমবার গোলাগুলি বন্ধ ছিল। তবে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘুমধুমের রেজু আমতলী ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোলাগুলি হলেও সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে বসবাসকারীদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কও দেখা দেয়। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের নিক্ষিপ্ত গোলা পড়া ও যুদ্ধবিমানের মহড়ার কারণে সীমান্তে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদ স্থানে সরে এসেছেন।
অন্যদিকে ঘুমধুম সীমান্তে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের আমতলী, তুমব্রু, রেজু ও বাইশফাঁড়ি এলাকায় সীমান্তের ওপারে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। সে দেশের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহীদের গোলাগুলি চলতে থাকে। এর ফলে দুই দফায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায় ১০০ গজের মধ্যে দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এরপর গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মহড়া দেয়। এ সময় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে অন্তত ৫০ রাউন্ড গোলাবর্ষণ হয়। এর মধ্যে দুটি গোলা ঘুমধুমের রেজু আমতলী এলায় এসে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম ওই সময় গণমাধ্যমকে সীমান্তে গোলাগুলির কথা বলেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছিলেন, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
এদিকে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর ) যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মহড়া ও গোলাগুলির ঘটনার পর গত রবি ও সোমবার (৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর) সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই দিন সীমান্তে মিয়ানমারের গোলাগুলির ঘটনা না ঘটায় বাংলাদেশের ঘুমধুম ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। দুই দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। সীমান্তসংলগ্ন ঘুমধুমের লোকজন সকাল ৮টার দিক থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনে। এটা চলে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তবে মঙ্গলবার মিয়ানমারের নিক্ষিপ্ত গোলা বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে পড়েনি। তবে স্থানীয়দের মধ্যে ফের উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। আজ সকালে সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবিকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েকজন সাংবাদিক মঙ্গলবার ঘুমধুম সীমান্তে গেছেন। সাংবাদিক আবদুর রশিদ বলেন, দুই দিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তে ফের গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুমের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উক্যচিং তংচংগা।
গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিদিন বর্মী (মিয়ানমার) সামরিক বাহিনীর গোলাগুলিতে বিদ্যালয়ে বসেই শোনা যেত বিকট শব্দ। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ছিলাম শঙ্কায়। তাই বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমাকে অবহিত করেছিলাম।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় আমাদের (বিজিবি) নজরদারি ও টহল সব সময়ই থাকে। তবে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে