প্রতিনিধি, সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচর। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক করলেও এখনো কবিরাজ এবং হাতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শে চলতে হয় এ উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচরের বাসিন্দাদের। চরের ৪০ হাজার অধিবাসীর জন্য একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে নেই কোনো ডাক্তার, নার্স বা আয়া।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ব্যবহার হচ্ছে পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে। ২০০২ সালে চরের অধিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে নির্মাণ করা হয় একটি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি)। তিন তলার এ কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় যেখানে আউটডোর রোগীদের বসার কথা সেখানে এখন পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের খাবারের ব্যবস্থা। দ্বিতীয় তলায় একটি এমবিবিএস ডাক্তারের কক্ষ থাকলেও সেখানে বসেন একজন উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। যদিও তাঁর কর্মস্থল সন্দ্বীপের আমানউল্লাহ ইউনিয়নে। কিন্তু এই চরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনো লোকবল না থাকায় তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির একটি কক্ষ ব্যতীত সম্পূর্ণ ভবন পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
উড়িরচর পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, একজন পরিদর্শক, একজন নার্স ও এমএলএসএসসহ মোট পাঁচটি পদে লোক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কেউ নেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে।
এই বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উড়িরচর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সব পদ খালি। কোনো লোকবল না থাকায় আমি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিয়েছি। যদিও ওনার পোস্টিং আমানউল্লাহ ইউনিয়নে।
উড়িরচরের বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুর নবী রবিন বলেন, এখানে ডাক্তার এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় ট্রলারে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর ইসলামের স্ত্রী জোহরা বেগম, দুই নং ওয়ার্ডের সাইদা বেগম, ওসমান গণীর স্ত্রী নাজমা বেগমসহ অনেক গর্ভবতী মহিলা চিকিৎসার অভাবে অকালে মারা গেছেন।
উড়িরচরের স্থায়ী বাসিন্দা সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক সহেল রানা বলেন, আমাদের এইখানে একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা। কিন্তু আমরা কখনো কোনো ডাক্তারকে চেম্বারে বসতে দেখি নাই। এই করোনা মহামারিতেও করোনা টেস্ট করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই এই চরে।
উড়িরচরের আরেক বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাকের পারভেজ বলেন, আমাদের বিচ্ছিন্ন উড়িরচরে কোনো ডাক্তার নেই। ডাক্তার দেখানোর জন্য আমাদের সন্দ্বীপ, নোয়াখালী বা চট্টগ্রামে যেতে হয়। যা চরের মানুষের জন্য ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য।
ডাক্তারের বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম বলেন, যিনি ওখানে দায়িত্বে ছিলেন, তিনি শিক্ষা ছুটিতে আছেন। বর্তমানে ওই পদটি শূন্য রয়েছে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুলিশ ফাঁড়ি থাকার ব্যাপারে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, পুলিশ ফাঁড়ির জায়গার নামজারি হওয়ার পর ফাঁড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জনবল সংকট নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক ডা. উ খ্যে উইন বলেন, এই বিষয়ে আমরা অবগত আছি। আমাদের এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে। নিয়োগ হয়ে গেলে আমরা এই সমস্যা সমাধান করতে পারব। এরই মধ্যে সরকার মা-মনি স্পেশাল প্রজেক্ট গ্রহণ করেছে। আমরা ওইখানে মা-মনি প্রজেক্টের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই। অলরেডি ওই জায়গাটা ভিজিট করা হয়েছে, লকডাউনের কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচর। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক করলেও এখনো কবিরাজ এবং হাতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শে চলতে হয় এ উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচরের বাসিন্দাদের। চরের ৪০ হাজার অধিবাসীর জন্য একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে নেই কোনো ডাক্তার, নার্স বা আয়া।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ব্যবহার হচ্ছে পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে। ২০০২ সালে চরের অধিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে নির্মাণ করা হয় একটি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি)। তিন তলার এ কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় যেখানে আউটডোর রোগীদের বসার কথা সেখানে এখন পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের খাবারের ব্যবস্থা। দ্বিতীয় তলায় একটি এমবিবিএস ডাক্তারের কক্ষ থাকলেও সেখানে বসেন একজন উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। যদিও তাঁর কর্মস্থল সন্দ্বীপের আমানউল্লাহ ইউনিয়নে। কিন্তু এই চরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনো লোকবল না থাকায় তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির একটি কক্ষ ব্যতীত সম্পূর্ণ ভবন পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
উড়িরচর পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, একজন পরিদর্শক, একজন নার্স ও এমএলএসএসসহ মোট পাঁচটি পদে লোক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কেউ নেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে।
এই বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উড়িরচর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সব পদ খালি। কোনো লোকবল না থাকায় আমি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিয়েছি। যদিও ওনার পোস্টিং আমানউল্লাহ ইউনিয়নে।
উড়িরচরের বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুর নবী রবিন বলেন, এখানে ডাক্তার এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় ট্রলারে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর ইসলামের স্ত্রী জোহরা বেগম, দুই নং ওয়ার্ডের সাইদা বেগম, ওসমান গণীর স্ত্রী নাজমা বেগমসহ অনেক গর্ভবতী মহিলা চিকিৎসার অভাবে অকালে মারা গেছেন।
উড়িরচরের স্থায়ী বাসিন্দা সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক সহেল রানা বলেন, আমাদের এইখানে একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা। কিন্তু আমরা কখনো কোনো ডাক্তারকে চেম্বারে বসতে দেখি নাই। এই করোনা মহামারিতেও করোনা টেস্ট করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই এই চরে।
উড়িরচরের আরেক বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাকের পারভেজ বলেন, আমাদের বিচ্ছিন্ন উড়িরচরে কোনো ডাক্তার নেই। ডাক্তার দেখানোর জন্য আমাদের সন্দ্বীপ, নোয়াখালী বা চট্টগ্রামে যেতে হয়। যা চরের মানুষের জন্য ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য।
ডাক্তারের বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম বলেন, যিনি ওখানে দায়িত্বে ছিলেন, তিনি শিক্ষা ছুটিতে আছেন। বর্তমানে ওই পদটি শূন্য রয়েছে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুলিশ ফাঁড়ি থাকার ব্যাপারে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, পুলিশ ফাঁড়ির জায়গার নামজারি হওয়ার পর ফাঁড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জনবল সংকট নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক ডা. উ খ্যে উইন বলেন, এই বিষয়ে আমরা অবগত আছি। আমাদের এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে। নিয়োগ হয়ে গেলে আমরা এই সমস্যা সমাধান করতে পারব। এরই মধ্যে সরকার মা-মনি স্পেশাল প্রজেক্ট গ্রহণ করেছে। আমরা ওইখানে মা-মনি প্রজেক্টের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই। অলরেডি ওই জায়গাটা ভিজিট করা হয়েছে, লকডাউনের কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।
চট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
১৪ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ মিনিট আগেমূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
৪১ মিনিট আগে