কেজিডিসিএলে বিতর্কিত কর্মকর্তারা পেলেন পদোন্নতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৫৯
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ২০: ১০

অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাঁচজন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে নিয়োগের সুনির্দিষ্ট অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কর্মকর্তা মামলার সুপারিশ করেছিলেন। যিনি নিয়োগের পদোন্নতির সুপারিশ করেছেন, তিনি আবার সাবেক বিতর্কিত এমডি আইয়ুব খানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত উপমহাব্যবস্থাপক আজিজুল হক। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী গ্যাসে ২০১১-২০১৩ সালের সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ) পদে নিয়োগ কমিটির সদস্য আইয়ুব খান আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাঁদের নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদক সাবেক কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিন তদন্ত শেষে অবৈধ নিয়োগের প্রমাণ পাওয়ায় তিনি মামলার সুপারিশও করেন। দুদকের মামলার সুপারিশের বিষয়টি গোপন রেখে বিতর্কিত ওই পাঁচজনকে সহকারী ব্যবস্থাপক থেকে উপব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেন। 

পদোন্নতি পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে একজন হলেন মো. রফিকুল ইসলাম। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, তিনি কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক এমডি আইয়ুব খানকে ঘুষ দিয়ে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে ২০১০ সালে উপজাতি কোটায় চাকরি নেন। অথচ রফিকুল ইসলামে বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। তিনি একজন বাঙালি। অথচ অভিযোগ রয়েছে তিনি অবাঙালি অর্থাৎ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটায় ভুয়া কাগজপত্র সংগ্রহ করে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে চাকরি নেন। 

কর্ণফুলী গ্যাসের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ওই সময়ে অর্থাৎ ২০১১ সালে শূন্য পদ ছিল মাত্র ২০টি। পদ না থাকা সত্ত্বেও রফিকুল ইসলামকে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকায় ৩০ নম্বরে রাখা হয়। এই অনিয়ম আড়াল করার জন্য তাঁর ২০১১ সালের নিয়োগের মূল নথি গায়েব করা হয়। এ নিয়োগ অবৈধ হওয়ায় দুদক ২০১৯ সালের ৩০ জুন তদন্ত কার্যক্রম শেষে স্মারক নম্বর ২১১৭ অনুযায়ী মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। 

পদোন্নতি পাওয়া এ কে এম তোফাজ্জল হোসেনের নিয়োগের নথিও ওই সময় গায়েব করা হয়। একইভাবে পদোন্নতি পাওয়া মুক্তা পারভীন, আবু তৈয়ব চৌধুরী ও মো. আসাদুজ্জামানের নিয়োগও ছিল অবৈধ। কারণ, তাঁদের নিয়োগের নথি গায়েব করে ফেলেছিল তৎকালীন কমিটি, যা দুদকের তদন্তে উঠে আসে। তাঁদেরকে চার দিন আগে ২৯ ডিসেম্বর পদোন্নতি দেওয়া হয়। 

জানতে চাইলে কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদোন্নতি পেট্রোবাংলা হয়ে আসে। নিশ্চয় তাঁদের কাগজপত্র ঠিক ছিল বিধায় তাঁরা পদোন্নতি পেয়েছেন।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত