নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তিন স্তরে অন্যত্র সরানো হবে। দুই-এক দিনের মধ্যেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ইউএনএইচসিআর) মিজানুর রহমান। আজ মঙ্গলবার তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘তুমব্রুতে ত্রিপলের তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা রয়েছেন নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত ও দাগি। যাদের মধ্যে নিবন্ধিতদের নেওয়া হবে পার্শ্ববর্তী কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। অনিবন্ধিতদের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ট্রানজিট সেন্টারে। আর দাগিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরে। এই তিন স্তরে তুমব্রুর রোহিঙ্গাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে।’
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘রোববার ও সোমবারের পর মঙ্গলবার আরও কিছু রোহিঙ্গা পরিবারের হদিস পাওয়া গেছে। সর্বশেষ তথ্যে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তুমব্রু গ্রামের নানা প্রান্তে থাকা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭০ জন। যাদেরকে ৮ গণনাকারী মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তিন দিন নাগাদ চূড়ান্ত ডেটা এন্ট্রি করেছেন। কিন্তু প্রথমে দুই দিনে এ কাজ শেষ করার কথা ছিল।’
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তুমব্রু গ্রামের জন্য বিষফোঁড়া। যত আগে সরানো যায়, তত মঙ্গল। সে কারণে আমি নানাভাবে ঊর্ধ্বতন মহলকে আবেদন-নিবেদন করেছি।’
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) রোমেন শর্মা বলেন, ‘মূলত বিষয়টি ইউএনএইচসিআরের। সঙ্গে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার অফিসের। সে কারণে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’
তবে এটি কার অধীনস্ত এলাকা জানার জন্য বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কাজ করছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘এভাবে রোহিঙ্গারা ছোট্ট একটি গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে পারে না। উর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্তে তাদেরকে আজ-কালের মধ্যে অন্যত্র সরানো হচ্ছে।’
ওসি আরও বলেন, তুমব্রুর স্থানীয় লোকজন চান, অতি দ্রুত এদেরকে এখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হোক।’
এদিকে তুমব্রু বাজার ও আশপাশের লোকজন জানান, তুমব্রু থেকে অনেক রোহিঙ্গা ঘুমধুম, নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া, কক্সবাজার, রামু, চকরিয়া ও চট্টগ্রামে পালিয়েছেন। যে কারণে সোয়া ৪ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র ৩ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা গণনার সময় হদিস মিলেছে। অবশিষ্ট হাজারের অধিক রোহিঙ্গা লাপাত্তা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে কোনারপাড়ার শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবিরে র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে কক্সবাজার ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এত দিন থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। গত ১৮ জানুয়ারি রোহিঙ্গাভিত্তিক দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিসহ সংঘর্ষ বাধে। এতে ৬২১টি বাড়িঘরসহ বাস্তুহারা হয় সোয়া ৪ হাজার রোহিঙ্গা। এর মধ্যে শিশু রয়েছে অন্তত দেড় হাজার। বয়স্ক লোকের সংখ্যা হাজারেরও বেশি।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তিন স্তরে অন্যত্র সরানো হবে। দুই-এক দিনের মধ্যেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ইউএনএইচসিআর) মিজানুর রহমান। আজ মঙ্গলবার তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘তুমব্রুতে ত্রিপলের তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা রয়েছেন নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত ও দাগি। যাদের মধ্যে নিবন্ধিতদের নেওয়া হবে পার্শ্ববর্তী কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। অনিবন্ধিতদের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ট্রানজিট সেন্টারে। আর দাগিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরে। এই তিন স্তরে তুমব্রুর রোহিঙ্গাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে।’
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘রোববার ও সোমবারের পর মঙ্গলবার আরও কিছু রোহিঙ্গা পরিবারের হদিস পাওয়া গেছে। সর্বশেষ তথ্যে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তুমব্রু গ্রামের নানা প্রান্তে থাকা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭০ জন। যাদেরকে ৮ গণনাকারী মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তিন দিন নাগাদ চূড়ান্ত ডেটা এন্ট্রি করেছেন। কিন্তু প্রথমে দুই দিনে এ কাজ শেষ করার কথা ছিল।’
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তুমব্রু গ্রামের জন্য বিষফোঁড়া। যত আগে সরানো যায়, তত মঙ্গল। সে কারণে আমি নানাভাবে ঊর্ধ্বতন মহলকে আবেদন-নিবেদন করেছি।’
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) রোমেন শর্মা বলেন, ‘মূলত বিষয়টি ইউএনএইচসিআরের। সঙ্গে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার অফিসের। সে কারণে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’
তবে এটি কার অধীনস্ত এলাকা জানার জন্য বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কাজ করছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘এভাবে রোহিঙ্গারা ছোট্ট একটি গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে পারে না। উর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্তে তাদেরকে আজ-কালের মধ্যে অন্যত্র সরানো হচ্ছে।’
ওসি আরও বলেন, তুমব্রুর স্থানীয় লোকজন চান, অতি দ্রুত এদেরকে এখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হোক।’
এদিকে তুমব্রু বাজার ও আশপাশের লোকজন জানান, তুমব্রু থেকে অনেক রোহিঙ্গা ঘুমধুম, নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া, কক্সবাজার, রামু, চকরিয়া ও চট্টগ্রামে পালিয়েছেন। যে কারণে সোয়া ৪ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র ৩ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা গণনার সময় হদিস মিলেছে। অবশিষ্ট হাজারের অধিক রোহিঙ্গা লাপাত্তা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে কোনারপাড়ার শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবিরে র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে কক্সবাজার ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এত দিন থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। গত ১৮ জানুয়ারি রোহিঙ্গাভিত্তিক দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিসহ সংঘর্ষ বাধে। এতে ৬২১টি বাড়িঘরসহ বাস্তুহারা হয় সোয়া ৪ হাজার রোহিঙ্গা। এর মধ্যে শিশু রয়েছে অন্তত দেড় হাজার। বয়স্ক লোকের সংখ্যা হাজারেরও বেশি।
কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
৪ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৯ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৯ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
১০ ঘণ্টা আগে